পাতা:হিন্দু অথবা প্রেসিডেন্‌সী কলেজের ইতিবৃত্ত - রাজনারায়ণ বসু.pdf/২৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(কোনও পার্থক্য নেই)

০৩:৫০, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৩৯ )

লেক্‌চর দিতেন। এই জন পিটার গ্রান্ট পরে সুপ্রীম কোর্টের জজ হইয়াছিলেন। তিনি আমাদের ভূতপূর্ব্ব লেফটেনেন্ট গবর্নর গ্রান্ট সাহেবের পিতা।

 এই সময়ে ডিরােজিও সাহেব কলেজের চতুর্থ শিক্ষক ছিলেন। ছাত্রেরা তাঁহার প্রতি অত্যন্ত অনুরক্ত ছিল। তাঁহার একটা বিশেষ ক্ষমতা ছিল যে, তিনি বালকদিগের মন বিশেষ রূপে আকর্ষণ করিতে পারিতেন। তিনি স্কুলের সময়ের পূর্ব্বে ও পরে বালকদিগের সহিত কথোপকথনচ্ছলে নানা বিষয়ে শিক্ষা দিতেন। তিনি তাহাদিগকে Mental Philosophy অর্থাৎ মনস্তত্ত্ব, ইংরাজী সাহিত্য প্রভৃতি বিষয়ে উপদেশ দিতেন। তাঁহার উপদেশের প্রভাবে ছাত্রগণের মনে হিন্দুধর্ম্মের প্রতি অনাস্থার উদয় হইয়াছিল। তাঁহাদিগের মধ্যে কেহ কেহ উপবীত পর্য্যন্ত পরিত্যাগ করিয়া ছিলেন। কেহ কেহ ইষ্টমন্ত্র জপ করিবার সময় তাহা জপ না করিয়া পােপ নামক ইংরাজী কবি দ্বারা অনুবাদিত হোমর প্রণীত ইলিয়ড কাব্যের পদ সকল মনে মনে পাঠ করিতেন। এই সকল দেখিয়া শুনিয়া কলেজের অধ্যক্ষেরা ভীত হইয়া উঠিলেন। ডিরােজিওর সম্বন্ধে আমার প্রণীত একখানি পুস্তকে যাহা লিখিয়াছি, তাহা এক্ষণে পাঠ করিতেছি—

 “ডিরােজিও সাহেব একজন ফিরিঙ্গী ছিলেন। তিনি কলেজের চতুর্থ শিক্ষক ছিলেন। কিন্ত ছাত্রেরা তাঁহাকেই অধিক চিনিত, প্রধান শিক্ষককে তত চিনিত না। তিনি প্রগাঢ় বিদ্যা ও অকৃত্রিম স্নেহ দ্বারা ছাত্রদিগকে এমন বশীভূত করিয়াছিলেন যে, তাঁহাকে তাহারা ছাড়িতে চাহিত