পাতা:হিন্দু অথবা প্রেসিডেন্‌সী কলেজের ইতিবৃত্ত - রাজনারায়ণ বসু.pdf/২৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

 
(কোনও পার্থক্য নেই)

০৪:১৫, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৪২ )

তিনি কলেজে ধর্ম্ম ও সমাজ বিষয়ে উপদেশ দিতেন, তজ্জন্য কলেজের অধ্যক্ষেরা তাঁহার প্রতি বিরক্ত হওয়াতে তিনি রাত্রিতে আপনার ইটালিস্থ বাসায় উপদেশ দিবার নিয়ম করিলেন। তাঁহার ছাত্রেরা তাঁহাকে এমনি ভাল বাসিত যে, অন্ধকার রাত্রি ঝড় বৃষ্টি দুর্য্যোগ হইলেও তাহাদিগের মধ্যে কেহ কেহ বাগবাজার হইতে ইটালী যাইতে সঙ্কোচ করিত না। ডিরোজিওর শিষ্যেরা তাঁহার নিকট হইতে যে পাশ্চাত্ত্য আলোক প্রাপ্ত হইয়াছিল, তাহা তাহাদিগের মস্তক ঘূর্নিত করিয়া দিয়াছিল। তাহারা হিন্দু সমাজের নিয়ম সকল অবহেলা করিতে লাগিল। ডিরোজিওর শিষ্যগণের আচরণ হেতু তাঁহার অত্যন্ত নিন্দা হইতে লাগিল, এজন্য মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষেরা তাঁহাকে কর্ম্মচ্যুত করেন। হিন্দুকলেজ হইতে বহিষ্কৃত হইবার কিছু দিন পরে ডিরােজিও সাহেবের মৃত্যু হয়। যখন তাঁহার মৃত্যু হয়, তখন তাঁহার বয়ঃক্রম তেইশ বৎসর মাত্র ছিল।”

 ডিরােজিও সাহেবের উপরে কলেজের অধ্যক্ষদিগের দ্বারা তিনটী অপবাদ আরোপিত হয়। সে তিনটী অপবাদ এই—ঈশ্বরের তাস্তিত্বে অবিশ্বাস, পিতা মাতার প্রতি অবহেলা করিতে শিক্ষা দেওয়া ও ভ্রাতা ভগিনীর পরস্পর বিবাহ অনুমােদন করা। কিন্তু তিনি এ তিনটী অপবাদই অস্বীকার করেন। কলেজের বিজিটর উইলসন সাহেব তাঁহাকে পত্র লেখেন যে, আপনি যদি এ সকল অপবাদ অমুলক বলিয়া স্পষ্টরূপে প্রমাণ করিতে পারেন, তাহা হইলে কলেজের অধ্যক্ষদিগকে এ বিষয়ে আমি আহ্লাদ পূর্ব্বক জানাইব।