পাতা:হিন্দু অথবা প্রেসিডেন্‌সী কলেজের ইতিবৃত্ত - রাজনারায়ণ বসু.pdf/৩৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(কোনও পার্থক্য নেই)

০৪:৪২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ৪৮ )

ছিলেন। তিনি শব্দশাস্ত্রে প্রগাঢ় পণ্ডিত ছিলেন। তিনি কথোপকথনের সময়ে বড় বড় কথা ব্যবহার করিতেন। তাঁহাকে এক দিবস কোন স্কুলের অধ্যক্ষ সেই স্কুলের পারিতোষিক বিতরণের সভায় সভাপতির কার্য্য করিতে অনুরোধ করাতে তিনি বলিয়া ছিলেন যে, “I am a vegetable being averse to locomotion.” “আমি কোথাও যাই না। আমি চলৎশক্তি রহিত একটী উদ্ভিদ।”

 ঐ সময়ে ক্লিন্ট সাহেব নামে একজন শিক্ষক ছিলেন। তিনি গণিত ও সাহিত্য উভয় শাস্ত্রেই সুপণ্ডিত ছিলেন। তিনি রিচার্ডশনের খ্যতিতে অতিশয় ঈর্ষান্বিত হইয়াছিলেন। তাঁহার নিকট রিচার্ডশন সাহেবের সুখ্যাতি করিলে তিনি বলিতেন যে, “A ship in India is but a boat in England” “ভারতবর্ষের জাহাজ বিলাতের নৌকা মাত্র।” তিনি “boat” শব্দকে “bout” এইরূপ উচ্চারণ করিতেন। ১৮৪৩ অব্দে রিচার্ডশন সাহেব বিলাতে যান। ১৮৪৩ হইতে ১৮৪৮ অব্দ পর্য্যন্ত কর সাহেব প্রিন্সিপল পদে নিযুক্ত ছিলেন। আপাততঃ তাঁহাকে অতি কঠোর স্বভাব বলিয়া বোধ হইত। কিন্তু বাস্তবিক তিনি সেরূপ ছিলেন না। তাঁহার হৃদয় স্নেহার্দ্র ছিল। তিনি বিলাতে গিয়া “Domestic Economy of the Hindus” এবং “Glimpses of Ind" নামক দুইখানি পুস্তক লিখিয়াছেন। ১৮৪৬ খৃষ্টাব্দে কাপ্তেন সাহেব পুনরায় বিলাত হইতে প্রত্যাগমন করেন, ও কৃষ্ণনগর কলেজের প্রোফেশর পদে নিযুক্ত হয়েন। তৎপরে তিনি হুগলী কলেজের প্রিন্সিপল হয়েন। তৎপরে ১৮৪৮ অব্দের