পাতা:মিবার-গৌরব-কথা - হেমলতা দেবী.pdf/৩২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা?
 
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
বিবাহের পর মালদেব যখন হামিরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি আমার নিকট কিরূপ যৌতুক চাও”? তখন তিনি পত্নীকে একথা উল্লেখ করিলে মালদেব দুহিতা বলিলেন “তুমি আর কিছুই গ্রহণ করিও না, কেবল পিতার উপযুক্ত কর্ম্মচারী জালকে প্রার্থনা করিও, তাঁহার সহায়তায় তোমার অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে।” হামির তাহাই করিলেন।
বিবাহের পর মালদেব যখন হামিরকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “তুমি আমার নিকট কিরূপ যৌতুক চাও”? তখন তিনি পত্নীকে একথা উল্লেখ করিলে মালদেব দুহিতা বলিলেন “তুমি আর কিছুই গ্রহণ করিও না, কেবল পিতার উপযুক্ত কর্ম্মচারী জালকে প্রার্থনা করিও, তাঁহার সহায়তায় তোমার অভীষ্ট সিদ্ধ হইবে।” হামির তাহাই করিলেন।


{{gap}}মালদেবদুহিতার গর্ভে হামিরের জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্ষেত্র সিংহ জন্মগ্রহণ করিলেন। চিতোরের অধিষ্ঠাতৃ দেবতা ক্ষেত্রপালের নামানুসারে কুমারের নাম ক্ষেত্র সিংহ রাখা হইল। রাজকুমার যখন শিশু, তখন দৈবজ্ঞেরা গণনা করিয়া বলিলেন যে বালকের উপর ক্ষেত্রপালের রোষদৃষ্টি পড়িয়াছে, দেবতার কোপের শান্তি না হইলে শিশুর আর কল্যাণ নাই। এই বিষম কথা শুনিয়া পিতামাতা অপার চিন্তায় নিমগ্ন হইলেন। হামিরের পত্নী শেষে স্বীয় পিতাকে বলিয়া পাঠাইলেন, যে চিতোরে ক্ষেত্রপালের বিধি পূর্ব্বক পূজা অর্চ্চনা না করিলে পুত্রের আর মঙ্গল নাই। মালদেব এই কথা শুনিয়া কন্যা এবং দৌহিত্রকে লইয়া যাইবার জন্য একদল অশ্বারোহী সৈন্য পাঠাইলেন। হামিরের-পত্নী পুত্রকে লইয়া বিশ্বস্ত
{{gap}}মালদেবদুহিতার গর্ভে হামিরের জ্যেষ্ঠ পুত্র ক্ষেত্র সিংহ জন্মগ্রহণ করিলেন। চিতোরের অধিষ্ঠাতৃ দেবতা ক্ষেত্রপালের নামানুসারে কুমারের নাম ক্ষেত্র সিংহ রাখা হইল। রাজকুমার যখন শিশু, তখন দৈবজ্ঞেরা গণনা করিয়া বলিলেন যে বালকের উপর ক্ষেত্রপালের রোষদৃষ্টি পড়িয়াছে, দেবতার কোপের শান্তি না হইলে শিশুর আর কল্যাণ নাই। এই বিষম কথা শুনিয়া পিতামাতা অপার চিন্তায় নিমগ্ন হইলেন। হামিরের পত্নী শেষে স্বীয় পিতাকে বলিয়া পাঠাইলেন, যে চিতোরে ক্ষেত্রপালের বিধি পূর্ব্বক পূজা অর্চ্চনা না করিলে পুত্রের আর মঙ্গল নাই। মালদেব এই কথা শুনিয়া কন্যা এবং দৌহিত্রকে লইয়া যাইবার জন্য একদল অশ্বারোহী সৈন্য পাঠাইলেন। হামিরের-পত্নী পুত্রকে লইয়া বিশ্বস্ত