পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৫৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
{{rh||নেপালের প্রধান তীর্থ পশুপতিনাথ।|২৯}} |
|||
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
স্মৃতিচিহ্নসকল হিন্দুতীর্থ ও দেবমন্দিরে পরিণত হইয়াছে। পুরীর জগন্নাথ এবং নেপালের পশুপতিনাথ এই শ্রেণীর তীর্থ বলিয়া বোধ হয়। নেপালের ইতিহাসে পশুপতিনাথের জন্মকথা এইরূপ বিবৃত আছে। পুরাকালে নেপাল উপত্যকা বিশাল নাগবাস নামে হ্রদ ছিল। তথয় নাগকুল বাস করিত। সত্যযুগে বিপাশ্ব বুদ্ধ বন্দুমতি দেশ হইতে আসিয়া নাগবাসহ্রদের পশ্চিমে নাগার্জ্জুণ নামে পর্ব্বতে বাস করেন এবং হ্রদের জলে একটী পদ্মের মূল রোপণ করেন। তৎপরে তিনি শিষ্যগণকে সেখানে রাখিয়া স্বদেশ প্রত্যাবর্ত্তন করেন। ঐ যুগেই পদ্মের মূল হইতে শতদল বিকশিত হইল এরং তন্মধ্যে স্বয়ম্ভু ভগবান প্রকাশিত হইলেন। বাণী শ্রবণ করিয়া শিখিবুদ্ধ আমরাপুরী হইতে আসিয়া সেই আলোকে বিলীন হইয়া যান। তৎপরে ত্রেতাযুগে বিশ্বভূ বুদ্ধ অণুপম হইতে আসিয়া ফুলচক পর্বত হইতে জ্যোতি দর্শন করিয়া লক্ষ পুষ্পের অঞ্জলি দেন। |
|||
{{gap}}উক্ত ত্রেতা যুগে মঞ্জুশ্রী বুদ্ধ চীন দেশ হইতে আসিয়া দিব্য জ্যোতি দর্শন করেন। এবং তিনি তরবারীর আঘাতে কাটওয়ার নামক স্থান দিয়া হ্রদের জল বাহির করিয়া দেন। হ্রদের জলের সহিত নাগগণ বাহির হইয়া গেলে, তিনি কর্কটক নামে নাগরাজকে অনুরোধ করিয়া টাউদা নামক জলাশয়ে স্থাপন করিলেন; এবং উপত্যকায় সমুদায় ধন সম্পত্তির উপর তাঁহার আধিপত্য অপ্রতিহত হইল। তিনি বিশ্বরূপের মধ্যে স্বয়ম্ভুজ্যোতি দর্শন করিলেন। এবং বিশ্বরূপের ভিতর গুহ্যেশ্বরীকে দর্শন করিলেন। |
|||
“ √ ‘ — ’ ” |