পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৫৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

 
 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৩৪|নেপালে বঙ্গনারী।|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
৩৪ নেপালে বঙ্গনারী॥ সকলের জন্য। রাজা মহারাজা মহারাণী সকলেই অন্তিমে এই শিলা শয্যায় শায়িত হন ও বাঘমতির জলে চরণ রাখিয়া পশুপতিনাথের নাম জপ করিতে করিতে দেহত্যাগ করেন। পূর্ব্বে এই স্থানেই সতীদাহ হইত। এখন পশুপতিনাথের মন্দিরের চতুষ্পর্শ্বে ক্ষুদ্র বৃহৎ শত শত মন্দির আছে, বিশ্বরূপের মন্দির, গুহ্যেশ্বরীর মন্দির ইত্যাদি অসংখ্য মন্দির। গুহেশ্বরীর মন্দিরে একটী উৎস আছে। সেই উৎসের মুখ স্বর্ণময় আবরণে আবৃত, খুলিয়া হাত দিলেই হস্তে উংসের জল। লাগে। গুহেশ্বরীর মন্দিরে সর্বদাই পূজা অর্চনা চলিতেছে। পশুপতির প্রাঙ্গণে সাধু সন্ন্যাসীর অন্ত নাই কোথাও বা শাস্ত্রপাঠ হইতেছে, কোথাও ভজন গীত হইতেছে, কোথাও ঘণ্টাধ্বনি হইতেছে, কেহ বা পুষ্পাঞ্জলি দিতেছে, কেহ বা মস্তকে পবিত্র বারিসিঞ্চন করিতেছে। কেহ বা কপালে টীকা দিতেছে কেহ বা মন্দির প্রদক্ষিণ করিতেছে। দিবারাত্রি যাত্রীসমাগম দিবারাত্রি পূজাঅর্চনা চলিতেছে। এই লোকারণ্যের মধ্যে স্থূলাকার বৃষ মহাশয় সগর্বে বিচরণ করিতেছেন। পশুপতিনাথের মন্দিরের অদূরে পর্ব্বতের উপরে মৃগাস্থলী নামক এক রমণীয় বন আছে। সেখানে বানরসকল দলে দলে বিহার করিতেছে। বৌদ্ধযুগে এই পশুপতিনাথের মন্দিরের সন্নিকটে বৌদ্ধবিহার বৌদ্ধমঠ সকল ছিল। এখন আর কিছুই নাই। পশু পতিনাথের নিকট এখন যে সকল পল্লী আছে তাহা অতি কদর্য্য। প্রতি বৎসর শিবরাত্রির সময় পশুপতিনাথের মন্দিরে বিপুল
সকলের জন্য। রাজা মহারাজা মহারাণী সকলেই অন্তিমে এই শিলা শয্যায় শায়িত হন ও বাঘমতির জলে চরণ রাখিয়া পশুপতিনাথের নাম জপ করিতে করিতে দেহত্যাগ করেন। পূর্ব্বে এই স্থানেই সতীদাহ হইত। এখন পশুপতিনাথের মন্দিরের চতুষ্পর্শ্বে ক্ষুদ্র বৃহৎ শত শত মন্দির আছে, বিশ্বরূপের মন্দির, গুহ্যেশ্বরীর মন্দির ইত্যাদি অসংখ্য মন্দির।


{{gap}}গুহ্যেশ্বরীর মন্দিরে একটী উৎস আছে। সেই উৎসের মুখ স্বর্ণময় আবরণে আবৃত, খুলিয়া হাত দিলেই হস্তে উংসের জল লাগে। গুহেশ্বরীর মন্দিরে সর্ব্বদাই পূজা অর্চ্চনা চলিতেছে। পশুপতির প্রাঙ্গণে সাধু সন্ন্যাসীর অন্ত নাই কোথাও বা শাস্ত্রপাঠ হইতেছে, কোথাও ভজন গীত হইতেছে, কোথাও ঘণ্টাধ্বনি হইতেছে, কেহ বা পুষ্পাঞ্জলি দিতেছে, কেহ বা মস্তকে পবিত্র বারিসিঞ্চন করিতেছে। কেহ বা কপালে টীকা দিতেছে কেহ বা মন্দির প্রদক্ষিণ করিতেছে। দিবারাত্রি যাত্রীসমাগম দিবারাত্রি পূজাঅর্চ্চনা চলিতেছে। এই লোকারণ্যের মধ্যে স্থূলাকার বৃষ মহাশয় সগর্বে বিচরণ করিতেছেন।
“ √ ‘ — ’ ”

{{gap}}পশুপতিনাথের মন্দিরের অদূরে পর্ব্বতের উপরে মৃগাস্থলী নামক এক রমণীয় বন আছে। সেখানে বানরসকল দলে দলে বিহার করিতেছে। বৌদ্ধযুগে এই পশুপতিনাথের মন্দিরের সন্নিকটে বৌদ্ধবিহার বৌদ্ধমঠ সকল ছিল। এখন আর কিছুই নাই। পশুপতিনাথের নিকট এখন যে সকল পল্লী আছে তাহা অতি কদর্য্য। প্রতি বৎসর শিবরাত্রির সময় পশুপতিনাথের মন্দিরে বিপুল