পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৬২: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|৩৮|নেপালে বঙ্গনারী।|}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
৩৮ নেপালে বঙ্গনারী। 1 বৌদ্ধদিগের ভিতর দুইটি প্রধান শাখা আছে,—মহাযান। বা উত্তরদেশীয়, হীনযান বা দক্ষিণদশীয় মহাযান সম্প্রদায়ই বোধ হয় এই নামের গৌরব স্বয়ং গ্রহণ করিয়াছেন, নতুবা হীনযান সম্প্রদায়ের মধ্যে বৌদ্ধধর্মের বিশুদ্ধতা অধিক পরিলক্ষিত হয়। নেপালের বৌদ্ধদিগকে মহাযান বলিব কি হীনযান আখ্যা দিব তাহা নিশ্চিতরূপে বলা যায় না। অশোকের মহিমা এখনও তথায় ঘোষিত হয়, অশোকের প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধমন্দির। সকল এখনও তথায় দণ্ডায়মান আছে; কিন্তু তিব্বতের সহিত নেপালের ধর্মগত এবং বংশগত সৌহৃদ্য অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। নেপালের বৌদ্ধধর্মের আর এক বিশেষত্ব যাহা কুত্রাপি নাই তাহা এখানে আছে। নেপালের বৌদ্ধগণ হিন্দুদিগের ন্যায়। বিভিন্ন বর্ণে বিভক্ত। এইরূপ জাতিভেদ তিব্বতেও নাই, চীনেও নাই, সিংহলেও নাই। ইহা নেপালের নেওয়ারগণের মধ্যেই বিবর্তিত হইয়াছে। এই কারণেই নেপালের বৌদ্ধগণকে মহাযান বা হীনযান কোন বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত বলিতে পারিতেছি॥ নেপালের বৌদ্ধদিগের ভিতর প্রচলিত বর্ণবিভাগ সম্বন্ধে) কিঞ্চিৎ আভাস দিতেছি;বর্ণবিভাগ। পূর্বে যাহারা ভিক্ষু সন্নাসী—বিহারবাসী ছিল, এখন নেপালের বৌদ্ধদিগের মধ্যে তাহারা ব্রাহ্মণের স্থান অধিকার করিয়াছে; তাহারা “বাহরা” নামে অভিহিত হয়। “বন্দ্য হইতে “বাহরা” নামের উৎপত্তি। বৌদ্ধদিগের মধ্যে ইহাই
{{gap}}বৌদ্ধদিগের ভিতর দুইটি প্রধান শাখা আছে,—মহাযান বা উত্তরদেশীয়, হীনযান বা দক্ষিণদশীয় মহাযান সম্প্রদায়ই বোধ হয় এই নামের গৌরব স্বয়ং গ্রহণ করিয়াছেন, নতুবা হীনযান সম্প্রদায়ের মধ্যে বৌদ্ধধর্ম্মের বিশুদ্ধতা অধিক পরিলক্ষিত হয়। নেপালের বৌদ্ধদিগকে মহাযান বলিব কি হীনযান আখ্যা দিব তাহা নিশ্চিতরূপে বলা যায় না। অশোকের মহিমা এখনও তথায় ঘোষিত হয়, অশোকের প্রতিষ্ঠিত বৌদ্ধমন্দির। সকল এখনও তথায় দণ্ডায়মান আছে; কিন্তু তিব্বতের সহিত নেপালের ধর্ম্মগত এবং বংশগত সৌহৃদ্য অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। নেপালের বৌদ্ধধর্ম্মের আর এক বিশেষত্ব যাহা কুত্রাপি নাই তাহা এখানে আছে। নেপালের বৌদ্ধগণ হিন্দুদিগের ন্যায় বিভিন্ন বর্ণে বিভক্ত। এইরূপ জাতিভেদ তিব্বতেও নাই, চীনেও নাই, সিংহলেও নাই। ইহা নেপালের নেওয়ারগণের মধ্যেই বিবর্ত্তিত হইয়াছে। এই কারণেই নেপালের বৌদ্ধগণকে মহাযান বা হীনযান কোন বিশেষ সম্প্রদায়ভুক্ত বলিতে পারিতেছি না। নেপালের বৌদ্ধদিগের ভিতর প্রচলিত বর্ণবিভাগ সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আভাস দিতেছি;


{{C|{{x-larger|'''বর্ণবিভাগ।'''}}}}
“ √ ‘ — ’ ”

{{gap}}পূর্ব্বে যাহারা ভিক্ষু সন্নাসী—বিহারবাসী ছিল, এখন নেপালের বৌদ্ধদিগের মধ্যে তাহারা ব্রাহ্মণের স্থান অধিকার করিয়াছে; তাহারা “বাঁহরা” নামে অভিহিত হয়। “বন্দ্য” হইতে “বাঁহরা” নামের উৎপত্তি। বৌদ্ধদিগের মধ্যে ইহাই