পাতা:নেপালে বঙ্গনারী - হেমলতা দেবী.pdf/৬৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বট পরিষ্কার করছে, কোন সমস্যা?
 
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
এবং নিষ্প্রভ করিয়াছে এমন আর কিছুই নয়। নেপালে বৌদ্ধধর্ম্মের পতনের ইহাই প্রধান কারণ।
এবং নিষ্প্রভ করিয়াছে এমন আর কিছুই নয়। নেপালে বৌদ্ধধর্ম্মের পতনের ইহাই প্রধান কারণ।


{{C|{{x-larger|'''ধর্ম্মমত।'''}}}}
{{C|{{x-larger|'''ধর্ম্মমত।'''}}}}


{{gap}}বৌদ্ধদর্শনশাস্ত্র দুইটি প্রধান শাখায় বিভক্ত,—আস্তিক এবং নাস্তিক। এক সম্প্রদায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করে, অন্য সম্প্রদায় আদিবুদ্ধ এই নামে সর্ব্বজ্ঞ সর্ব্বশক্তিমান্ জগতের স্রষ্টাপাতা বিধাতা, পুরুষকে অভিহিত করে। আদিবুদ্ধ অনাদিকাল হইতে শান্তভাবে অবস্থিতি করিতেছেন, অনন্তকাল এই ভাবেই স্থিতি করিবেন। আদিবুদ্ধ স্বয়ম্ভু ভগবান্ আদিবর্ম্ম বা আদি প্রজ্ঞার (জড় শক্তির), সহিত মিলিত হইয়া এই বিচিত্র জগৎ রচনা করিয়াছেন। ইহাই নেপালের বৌদ্ধধর্ম্মের মূল ধর্ম্মমত। ইহারা মানবাত্মার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার করে। আদিবুদ্ধের অংশ এবং, সেই সত্তায় বিলীন হওয়াই মুক্তি বলিয়া বিবেচনা করে।
{{gap}}বৌদ্ধদর্শনশাস্ত্র দুইটি প্রধান শাখায় বিভক্ত,—আস্তিক এবং নাস্তিক। এক সম্প্রদায় ঈশ্বরের অস্তিত্ব অস্বীকার করে, অন্য সম্প্রদায় আদিবুদ্ধ এই নামে সর্ব্বজ্ঞ সর্ব্বশক্তিমান্ জগতের স্রষ্টাপাতা বিধাতা, পুরুষকে অভিহিত করে। আদিবুদ্ধ অনাদিকাল হইতে শান্তভাবে অবস্থিতি করিতেছেন, অনন্তকাল এই ভাবেই স্থিতি করিবেন। আদিবুদ্ধ স্বয়ম্ভু ভগবান্ আদিবর্ম্ম বা আদি প্রজ্ঞার (জড় শক্তির), সহিত মিলিত হইয়া এই বিচিত্র জগৎ রচনা করিয়াছেন। ইহাই নেপালের বৌদ্ধধর্ম্মের মূল ধর্ম্মমত। ইহারা মানবাত্মার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার করে। আদিবুদ্ধের অংশ এবং, সেই সত্তায় বিলীন হওয়াই মুক্তি বলিয়া বিবেচনা করে।


{{gap}}আদিবুদ্ধ ইচ্ছাক্রমে পঞ্চবুদ্ধের সৃষ্টি করিয়াছেন। আস্তিক নাস্তিক উভয় সম্প্রদায়ই আদিশক্তির ত্রিত্ব স্বীকার করিয়া থাকেন। বৌদ্ধশাস্ত্রে তাহা ত্রিরত্ন নামে অভিহিত, যথা—বুদ্ধ, ধর্ম্ম ও সংঙ্ঘ। এই ত্রিরত্নের মধ্যে আস্তিকেরা বুদ্ধের এবং নাস্তিকেরা ধর্ম্মের প্রাধান্য স্বীকার করিয়া থাকেন। বুদ্ধ প্রাণ শক্তি অথবা চিৎধর্ম্ম জড়শক্তি এবং সঙ্ঘ উভয়ের - মিলন সম্ভুত, এই দৃশ্যমান্ জগৎ, কিন্তু অন্য এক অর্থে সকল সম্প্রদায়ই এই ত্রিরত্নের ব্যাখ্যা করিয়া থাকেন; যথা—বুদ্ধ—শাক্যসিংহ, ধর্ম্ম—তাঁহার বিধি
{{gap}}আদিবুদ্ধ ইচ্ছাক্রমে পঞ্চবুদ্ধের সৃষ্টি করিয়াছেন। আস্তিক নাস্তিক উভয় সম্প্রদায়ই আদিশক্তির ত্রিত্ব স্বীকার করিয়া থাকেন। বৌদ্ধশাস্ত্রে তাহা ত্রিরত্ন নামে অভিহিত, যথা—বুদ্ধ, ধর্ম্ম ও সংঙ্ঘ। এই ত্রিরত্নের মধ্যে আস্তিকেরা বুদ্ধের এবং নাস্তিকেরা ধর্ম্মের প্রাধান্য স্বীকার করিয়া থাকেন। বুদ্ধ প্রাণ শক্তি অথবা চিৎধর্ম্ম জড়শক্তি এবং সঙ্ঘ উভয়ের - মিলন সম্ভুত, এই দৃশ্যমান্ জগৎ, কিন্তু অন্য এক অর্থে সকল সম্প্রদায়ই এই ত্রিরত্নের ব্যাখ্যা করিয়া থাকেন; যথা—বুদ্ধ—শাক্যসিংহ, ধর্ম্ম—তাঁহার বিধি