পাতা:দায়ে খুন - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

ট্যাগ: মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
 
ট্যাগ: মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||{{larger|দায়ে খুন।}}|১৩}}
{{rule}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
দায়ে খুন। • টাকার অধিক দিবেন না। ভাল করিয়া তাহার মনোমত কার্য্য করিতে পারিলে, প্রত্যেক বৎসরে পচিশ টাকা হিসাবে বাড়াইয়া দিবেন। এইরূপে ক্রমে তাঁহার বেতন মাসিক তিনশত টাকায় আসিয়া উপস্থিত হইবে, তাহার পর তাঁহার বেতন আর অধিক বাড়িবে না। এখন মহাশয়! দেখুন দেখি, মাসিক একশত টাকা হিসাবে বেতন হইলেও, বাৎসরিক হিসাবে আপনার বেতন হইল-বারশত টাকা, অর্থাৎ যাহা এখন আপনি পাইবেন বলিয়া ঠিক হইয়াছিল, তাহার দ্বিগুণ। এরূপ অবস্থায়ও আপনি আমার প্রস্তাবিত বিষয়ে সম্মত হইতে পারিবেন কি না, সেই বিষয়ে একটু বিবেচনা করিয়া দেখুন। তাহার এই কথা শুনিয়া আমি মনে করিলাম, এই ব্যক্তি যাহা বলিতেছে, তাহা ত প্রকৃতই। যখন পরাধীনতা স্বীকার করিয়া চাকরী করিতেই প্রবৃত্ত হইয়াছি, তখন যে স্থানে অধিক অর্থ পাওয়া যাইতেছে, সেই স্থান পরিত্যাগ করি কেন? বিশেষতঃ যে ব্যক্তি আমার বাড়ীতে আসিয়া আমাকে তোষামোদ করিয়া, অধিক বেতনে আমাকে একটী চাকরী প্রদান করিতেছে, তখন সেই চাকরীই বা আমি হেলায় পরিত্যাগ করি কেন? মাসিক পঞ্চাশ টাকার পরিবর্তে একশত টাকাই বা গ্রহণ না। করি কেন? আমি বেশ বুঝিতে পারিতেছি যে, এরূপ অবস্থায় এরূপ সুযোগ পরিত্যাগ করা, কোন ক্রমেই যুক্তিসঙ্গত নহে।
টাকার অধিক দিবেন না। ভাল করিয়া তাহার মনোমত কার্য্য করিতে পারিলে, প্রত্যেক বৎসরে পঁচিশ টাকা হিসাবে বাড়াইয়া দিবেন। এইরূপে ক্রমে তাঁহার বেতন মাসিক তিনশত টাকায় আসিয়া উপস্থিত হইবে, তাহার পর তাঁহার বেতন আর অধিক বাড়িবে না। এখন মহাশয়! দেখুন দেখি, মাসিক একশত টাকা হিসাবে বেতন হইলেও, বাৎসরিক হিসাবে আপনার বেতন হইল—বারশত টাকা, অর্থাৎ যাহা এখন আপনি পাইবেন বলিয়া ঠিক হইয়াছিল, তাহার দ্বিগুণ। এরূপ অবস্থায়ও আপনি আমার প্রস্তাবিত বিষয়ে সম্মত হইতে পারিবেন কি না, সেই বিষয়ে একটু বিবেচনা করিয়া দেখুন।


{{gap}}তাহার এই কথা শুনিয়া আমি মনে করিলাম, এই ব্যক্তি যাহা বলিতেছে, তাহা ত প্রকৃতই। যখন পরাধীনতা স্বীকার করিয়া চাকরী করিতেই প্রবৃত্ত হইয়াছি, তখন যে স্থানে অধিক অর্থ পাওয়া যাইতেছে, সেই স্থান পরিত্যাগ করি কেন? বিশেষতঃ যে ব্যক্তি আমার বাড়ীতে আসিয়া আমাকে তোষামোদ করিয়া, অধিক বেতনে আমাকে একটী চাকরী প্রদান করিতেছে, তখন সেই চাকরীই বা আমি হেলায় পরিত্যাগ করি কেন? মাসিক পঞ্চাশ টাকার পরিবর্তে একশত টাকাই বা গ্রহণ না করি কেন? আমি বেশ বুঝিতে পারিতেছি যে, এরূপ অবস্থায় এরূপ সুযোগ পরিত্যাগ করা, কোন ক্রমেই যুক্তিসঙ্গত নহে।
“ √ ‘ — ’ ”
{{rule|3em}}

{{nop}}