পাতা:অদ্ভুত ফকির - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৩৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

ট্যাগ: মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
 
ট্যাগ: মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
 
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):শীর্ষক (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh||অদ্ভুত ফকির।|৩৯}}
{{rule}}
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
অদ্ভুত ফকির। বার বার বৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেছিল, তখন আমার আর এক সন্দেহ হয়। আমি দেখিলাম, তোমার পায়ের সহিত ফকিরের পা ও কুটীর মধ্যস্থ সেই পায়ের দাগ ঠিক এক। তখনই আমি তোমার আর ফকিরের প্রত্যেক অঙ্গ তুলনা করি-দেখিলাম, যদিও তোমাদের মুখের কোন সাদৃশ্য নাই, তথাপি অন্যান্য অঙ্গের বেশ মিল আছে। আমি কিন্তু তখন তোমার মুখে তোমাদের যমজ ভাইএর গল্প শুনি নাই। যখনই সে কথা শুনিলাম, তখনই আমার পূর্ব সন্দেহ আরও দৃঢ়ীভূত হইল। অবশেষে যখন তোমরা কুটীর হইতে বাহির হইয়া আমার অপেক্ষা করিতেছিলে, সেই সময় আমি এই লোটা ও মাটীর এই সয়া দেখিতে পাই। লেটার জল ও সায় কি এক প্রকার রং ছিল। তখন আমি পুনরায় ফকিরের দেহ পরীক্ষা করি—দেখিলাম, তাহার মুখে ও সর্বাঙ্গে ঐ রং-মাখান। যদিও তখন রং বেশ শুকাইয়া গিয়াছিল, তবুও দেখিলে বোধ হইল, যেন সম্প্রতি রং করা হইয়াছে। এই সকল দেখিয়া আমার সন্দেহ আরও বৃদ্ধি হইল; কিন্তু তখন কোন কথা না বলিয়া এগুলি আরও লুকায়িত রাখিলাম ও তোমাদের সহিত ঘোগ দিলাম। রাত্রিকালে তোমার মুখে সমস্ত কথা শুনিয়া স্পষ্টই বুঝতে পারিলাম, উহা তোমারই কাজ। তখন আর আমার কোন সন্দেহ রহিল না। তুমিই যে সেই ফকির, আর তুমিই যে গৌরী বাবুকে খুন করিয়াছ তাহা বেশ জানিতে পারিলাম। কুলরে যে পায়ের দাগ দেখা গিয়াছিল, তাহা তোমারই পায়ের দাগ। তুমিই গৌরীশঙ্করকে তোমার কুটীরে ডাকিয়া আনিয়াছিলে, পরে সুবিধা পাইয়া এই নির্জন কুটীরের মধ্যে সেই ভয়ানক লাঠীর সাহায্যে তাহাকে হত্যা
বার বার বৃষ্টি নিক্ষেপ করিতেছিল, তখন আমার আর এক সন্দেহ হয়। আমি দেখিলাম, তোমার পায়ের সহিত ফকিরের পা ও কুটীর মধ্যস্থ সেই পায়ের দাগ ঠিক এক। তখনই আমি তোমার আর ফকিরের প্রত্যেক অঙ্গ তুলনা করি—দেখিলাম, যদিও তোমাদের মুখের কোন সাদৃশ্য নাই, তথাপি অন্যান্য অঙ্গের বেশ মিল আছে। আমি কিন্তু তখন তোমার মুখে তোমাদের যমজ ভাইএর গল্প শুনি নাই। যখনই সে কথা শুনিলাম, তখনই আমার পূর্ব্ব সন্দেহ আরও দৃঢ়ীভূত হইল। অবশেষে যখন তোমরা কুটীর হইতে বাহির হইয়া আমার অপেক্ষা করিতেছিলে, সেই সময় আমি এই লোটা ও মাটীর এই সরা দেখিতে পাই। লেটার জল ও সরায় কি এক প্রকার রং ছিল। তখন আমি পুনরায় ফকিরের দেহ পরীক্ষা করি—দেখিলাম, তাহার মুখে ও সর্ব্বাঙ্গে ঐ রং-মাখান। যদিও তখন রং বেশ শুকাইয়া গিয়াছিল, তবুও দেখিলে বোধ হইল, যেন সম্প্রতি রং করা হইয়াছে। এই সকল দেখিয়া আমার সন্দেহ আরও বৃদ্ধি হইল; কিন্তু তখন কোন কথা না বলিয়া এগুলি আরও লুক্কায়িত রাখিলাম ও তোমাদের সহিত যোগ দিলাম। রাত্রিকালে তোমার মুখে সমস্ত কথা শুনিয়া স্পষ্টই বুঝতে পারিলাম, উহা তোমারই কাজ। তখন আর আমার কোন সন্দেহ রহিল না। তুমিই যে সেই ফকির, আর তুমিই যে গৌরী বাবুকে খুন করিয়াছ তাহা বেশ জানিতে পারিলাম। কুটীরে যে পায়ের দাগ দেখা গিয়াছিল, তাহা তোমারই পায়ের দাগ। তুমিই গৌরীশঙ্করকে তোমার কুটীরে ডাকিয়া আনিয়াছিলে, পরে সুবিধা পাইয়া এই নির্জন কুটীরের মধ্যে সেই ভয়ানক লাঠীর সাহায্যে তাহাকে হত্যা

“ √ ‘ — ’ ”