সে/৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
JoyBot (আলোচনা | অবদান)
rp
JoyBot (আলোচনা | অবদান)
→‎top: rplc
৪ নং লাইন:
|previous =[[../]][[সে/৪|৪]]
|next =[[../]][[সে/৬|৬]]
|notes =শান্তিনিকেতন</br />পৌষ ১৩৪৩
|author =রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
|year =
১০ নং লাইন:
|portal =
|categories =রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর}}
<div style="padding-left:2em;font-size:1.3em">
সকালে বসে চা খাচ্ছি এমন সময় সে এসে উপস্থিত ।
 
৪১ নং লাইন:
আচ্ছা বলি শোনো —
 
স্মৃতিরত্নমশায় মোহনবাগানের গোল - কীপারি করে ক্যাল্‌কাটার কাছ থেকে একে একে পাঁচ গোল খেলেন । খেয়ে খিদে গেল না , উলটো হল , পেট চোঁ - চোঁ করতে লাগল । সামনে পেলেন অক্‌‍টর্লনি মনুমেণ্ট । নীচে থেকে চাটতে চাটতে চুড়ো পর্যন্ত দিলেন চেটে । বদরুদ্দিন মিঞা সেনেট হলে বসে জুতো সেলাই করছিল , সে হাঁ - হাঁ করে ছুটে এল । বললে , আপনি শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিত হয়ে এত বড়ো জিনিসটাকে এঁটো করে দিলেন !
 
‘ তোবা তোবা' বলে তিনবার মন্যুমেণ্টের গায়ে থুথু ফেলে মিঞাসাহেব দৌড়ে গেল স্টেট্‌স‍্ম্যান - আপিসে খবর দিতে ।
৭৯ নং লাইন:
আচ্ছা , তুমি হলে কী রকম লিখতে ।
 
বলি , রাগ করবে না ? দাদা , তোমার চেয়ে আমার কেরামতি যে বেশি তা নয় , কম বলেই সুবিধে । আমি হলে বলতুম —
 
তাসমানিয়াতে তাস খেলার নেমন্তন্ন ছিল , যাকে বলে দেখা-বিন্‌‍তি । সেখানে কোজুমাচুকু ছিলেন বাড়ির কর্তা , আর গিন্নির নাম ছিল শ্রীমতী হাঁচিয়েন্দানি কোরঙ্কুনা । তাঁদের বড়ো মেয়ের নাম পাম্‌কুনি দেবী , স্বহস্তে রেঁধেছিলেন কিণ্টিনাবুর মেরিউনাথু , তার গন্ধ যায় সাত পাড়া পেরিয়ে ।
 
গন্ধে শেয়ালগুলো পর্যন্ত দিনের বেলা হাঁক ছেড়ে ডাকতে আরম্ভ করে নির্ভয়ে , লোভে কি ক্ষোভে জানি নে। কাকগুলো জমির উপর ঠোঁট গুঁজে দিয়ে মরিয়া হয়ে পাখা ঝাপটায় তিন ঘণ্টা ধরে । এ তো গেল তরকারি । আর , জালা জালা ভর্তি ছিল কাঙ্‌চুটোর সাঙ্‌চানি । সে দেশের পাকা পাকা আঁক্‌সুটো ফলের ছোবড়া - চোঁয়ানো । এই সঙ্গে মিষ্টান্ন ছিল ইক্‌‍টিকুটির ভিক্‌‍টিমাই , ঝুড়িভর্তি । প্রথমে ওদের পোষা হাতি এসে পা দিয়ে সেগুলো দ'লে দিল ; তার পরে ওদের দেশের সব চেয়ে বড়ো জানোয়ার , মানুষে গোরুতে সিঙ্গিতে মিশোল , তাকে ওরা বলে গাণ্ডিসাঙ্‌ডুং , তার কাঁটাওয়ালা জিব দিয়ে চেটে চেটে কতকটা নরম করে আনলে । তার পরে তিনশো লোকের পাতের সামনে দমাদ্দম হামানদিস্তার শব্দ উঠতে লাগল । ওরা বলে , এই ভীষণ শব্দ শুনলেই ওদের জিবে জল আসে ; দূর পাড়া থেকে শুনতে পেয়ে ভিখারি আসে দলে দলে । খেতে খেতে যাদের দাঁত ভেঙে যায় তারা সেই ভাঙা দাঁত দান করে যায় বাড়ির কর্তাকে । তিনি সেই ভাঙা দাঁত ব্যাঙ্কে পাঠিয়ে দেন জমা করে রাখতে , উইল করে দিয়ে যান ছেলেদের । যার তবিলে যত দাঁত তার তত নাম । অনেকে লুকিয়ে অন্যের সঞ্চিত দাঁত কিনে নিয়ে নিজের বলে চালিয়ে দেয় । এই নিয়ে বড়ো বড়ো মকদ্দমা হয়ে গেছে । হাজারদাঁতিরা পঞ্চাশদাঁতির ঘরে মেয়ে দেয় না । একজন সামান্য পনেরোদাঁতি ওদের কেট্‌কু নাড়ু খেতে গিয়ে হঠাৎ দম আট্‌কিয়ে মারা গেল , হাজারদাঁতির পাড়ায় তাকে পোড়াবার লোক পাওয়াই গেল না । তাকে লুকিয়ে ভাসিয়ে দিলে চৌচঙ্গী নদীর জলে । তাই নিয়ে নদীর দুই ধারের লোকেরা খেসারতের দাবি করে নালিশ করেছিল , লড়েছিল প্রিভিকৌন্সিল পর্যন্ত।
 
আমি হাঁপিয়ে উঠে বললুম , থামো , থামো ! কিন্তু জিগেস করি , তুমি যে কাহিনীটা আওড়ালে তার বিশেষ গুণটা কী ।
'https://bn.wikisource.org/wiki/সে/৫' থেকে আনীত