পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (নবম সম্ভার).djvu/১৩০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৪:৪৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ আপনি ত শুধু কেবল পুরুষমানুষ নয়, ন্যায়নিষ্ঠ ভদ্র পুরুষমানুষ । এর পর ঘাড় থেকে আমাকে নামাবেন কি করে ? ততখানি ছোট কাজ ত আপনি পেরে উঠবেন না ! অজিত গাঢ়-কণ্ঠে কহিল, পারতেই হবে এ-আশঙ্কা তুমি কেন করচ কমল ? কমল হাসিল, কহিল, আশঙ্কা আমার নিজের জন্ত করিনে অজিতবাবু, করি শুধু আপনার জন্য। পারলে ভয় ছিল না, পারবেন না বলেই ভাবনা। শুধু একটা রাত্রির ভুলের বদলে এতবড় শাস্তি আপনার মাথায় চাপাতে আমার মায়া হয়। আর না, চলুন ফিরে যাই । কথাগুলো অজিতের কানে গেল, কিন্তু অন্তরে পৌছিল না। চক্ষের পলকে তাহার শিরার রক্ত পাগল হইয়া গেল—বক্ষের সন্নিকটে তাহাকে সবলে আকর্ষণ করিয়া লইয়া মুক্ত-কণ্ঠে কহিয়া উঠিল, আমাকে বিশ্বাস করতে কি তুমি পার না কমল ? মুহুর্তের তরে কমলের নিশ্বাস রুদ্ধ হইয়া আসিল, কহিল, পারি। তবে কিসের জন্য ফিরতে চাও কমল, আমরা চলে যাই । চলুন। গাড়ী চালাইতে গিয়া অজিত হঠাৎ থামিয়া কহিল, বাসা থেকে সঙ্গে নেবার কি তোমার কিছু নেই ? না। কিন্তু আপনার ? অজিতকে ভাবিতে হইল। পকেটে হাত দিয়া কহিল, টাকাকড়ি কিছুই সঙ্গে নেই—তার ত দরকার। কমল কহিল, গাড়ীখানা বেচে ফেললেই অনায়াসে টাকা পাওয়া যাবে। অজিত বিস্মিত হইয়া বলিল, গাড়ী বেচবো ? কিন্তু এ ত আমার নয়— আণ্ডবাবুর। I কমল কহিল, তাতে কি ? আণ্ডবাবু লজ্জায় ঘৃণায় গাড়ীর নাম কখনও মুখেও আনবেন না । কোন চিন্তা নেই—চলুন। শুনিয়া অজিত স্তব্ধ হইয়া রহিল। তাহার বা হাতখানা তখনও কমলের কাধের উপর ছিল, খলিত হইয়া নীচে পড়িল। বহুক্ষণ নিঃশব্দে থাকিয়া বলিল, ভূমি আমাকে উপহাস করচ ? 茜 না, সত্যি বলচি । ! সত্যিই বলচ এবং সত্যিই ভাবচ পরের জিনিস আমি চুরি করতে পারি? এ-কাজ তুমি নিজে পার ? - ১২৪