পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/১০৮: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
(কোনও পার্থক্য নেই)

২০:৪১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরৎ-সাহিত্য-সংগ্ৰহ সবিতা কৌতুক করিয়া বলিলেন, তোমার কি-রকম মনে হয় সারদা ? জমকালে ধরনের মস্ত মাস্থ্য—না ? সারদা বলিল, না মা, তা মনে হয় না। কিন্তু তখন থেকেই তো ভাবছি, কোন চেহারাই যেন পছন্দ হচ্চে না । কেন হচ্চে না সারদা ? হচ্চে না বোধ হয় এইজন্য মা, তিনি তো কেবল রেণুর বাপ নন, তিনি আপনারও স্বামী যে ! মনে মনে কিছুতেই যেন দুজনকে একসঙ্গে মেলাতে পারচিনে । সবিতা হাসিয়া বলিলেন, ধরে যদি এমন হয়—একজন বুদ্ধ বৈষ্ণব—আমার চেয়ে বয়সে অনেক বড়–মাথায় শিখ, চুলগুলি প্রায় পেকে আসচে, গোঁর বর্ণ, দীর্ঘ দেহ, পূজায়, উপবাসে, আচারে, নিয়মে শীর্ণ- এমন মানুষকে তোমার পছন্দ হয় সারদা ? না মা, হয় না। আপনার হয় ? না হয়ে উপায় কি সারদা ? স্বামী পছন্দ-অপছন্দের জিনিস নয়, তাকে নির্বিচারে মেনে নিতে হয়। তুমি বলবে এ হোলো শাস্ত্রের বিধি, মানুষের মনের বিধি নয়। কিন্তু এ তর্ক কারণ করে জানো মা, তারাই ক’রে যারা সত্যি ক’রে আজও মানুষের মনের খবর পায়নি, যাদের দুৰ্গতির আগুন জেলে জীবনের পথ হাতড়ে বেড়াতে হয়নি। সংসার-যাত্রায় স্বামীর রূপ-যৌবনের প্রশ্নটা মেয়েদের তুচ্ছ কথা মা, দুদিনেই হিসেবের বাইরে পড়ে যায়। সারদা অশিক্ষিত হইলেও এমন কথাটাকে ঠিক সত্য কথা বলিয়া গ্রহণ করিতে পারিল না, বুঝিল, এ তার পরিতাপের গ্লানি, প্রতিক্রিয়ার অতল আলোড়িত হৃদয়ের ঐকান্তিক মার্জন ভিক্ষা । ইচ্ছা হইল না প্রতিবাদ করিয়া তাহার বেদনা বাড়ায়, কিন্তু চুপ করিয়াও থাকিতে পারিল না, বলিল, একটা কথা ভারি জানতে ইচ্ছে করে गां, किजु সবিত কহিলেন, কিন্তু কি মা ? প্রশ্ন করে লজ্জা দিতে আর আমাকে চাও না— এই তো ? অার লজ্জা বাড়বে না সারদা, তুমি স্বচ্ছন্দে জিজ্ঞাসা কর । তথাপি সারদার কুষ্ঠা ঘুচে না। সে চুপ করিয়া আছে দেখিয়া তিনি নিজেই বলিলেন, হয়তো জানতেও চাও এই যদি সত্যি তবে আমারই বা এতবড় দুৰ্গতি ঘটলো কেন ? এর উত্তর অনেক দিন অনেকরকম ভেবে দেখচি, কিন্তু আমার গত জীবনের কৰ্ম্মফল ছাড়া এ-প্রশ্নের আজও জবাব পাইনি মা । যদিচ সারদা নিজেও কৰ্ম্মফল মানে, তথাপি নতুন-মার এ উত্তরে তাহার মন সায় দিতে পারিল না, সে চুপ করিয়াই রহিল। সবিতা তাহার মুখের প্রতি চাহিয়া ইহা বুঝিলেন, বলিলেন, আর এক-জন্মের অজানা কৰ্ম্মফলের ঘাড়ে দোষ চাপিয়ে এ-জন্মের இர