পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দ্বাদশ সম্ভার).djvu/২০৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
(কোনও পার্থক্য নেই)

২১:০১, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

cनैर६ब नबैिs করতে কত চিকিৎসা। কাউকে ডাকতে দ্বিত না, কিন্তু ওকথা থাক। তোকে ডাকলাম একটা দরকারি পরামর্শের জন্ত । o রেং নীরবে রাখালের দিকে মুখ তুলিয়া চাহিয়া রহিল। বার-দুই গলাটা ঝাড়িয়া লইয়া খবরের কাগজখানি ভঁাজ করিতে করিতে রাখাল বলিল, বলছিলুম কি, কাকাবাবু একটু সামলে উঠলেই তো এখান থেকে ডেরাডাও তুলতে হবে। আপাততঃ কলকাতায় গিয়ে কাকাবাবু সম্পূর্ণ সেয়ে না ওঠা পৰ্যন্ত আগের মতে একটা ছোট বাসা ভাড়া করে না হয় থাকা যাবে। কিন্তু তার পরে— রাখাল বলিতে বলিতে চুপ করিল। তাহার কণ্ঠস্বর দ্বিধাজড়িত। রেণু তেমনই জিজ্ঞামূ-দৃষ্টতে চাহিয়া রহিল। চিস্তিতমুখে রাখাল কহিল, তার পরে যে কি ব্যবস্থা হতে পারে সেই কৰাই ভাবচি। এখানে তো আর ফিরে আসা চলবে না ! রেণু শাস্ত গলায় বলিল, কেন ? রাধাল বিস্মিত হইয়া কহিল, তাও কি বুঝতে পারিস্নি রেণু, এতদিন এখানে বাস করে ? দেখচিসূ তো জ্ঞাতিদের আচার-ব্যবহার ! কাকাবাবুর এতবড় অমুখ, একটা উকি মেরে খোজ নেয় না কেউ । রেণু অন্ধক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া কহিল, কিন্তু তুমি তো জানো রাজুর, কলকাতায় বারোমাস থাকা আমাদের অবস্থায় কুলোবে না। এখানে বাগ তাড়া লাগে না, বিয়ের মাইনে মাত্র এক টাকা । আনাঙ্গ-তরকারি কিনে খেতে হয় না। খরচ কত অল্প । রাখাল বলিল, কিন্তু কাকাবাবুর বা শরীরের অবস্থা, ওঁর পরে তো নির্ভর করা চলে না বোন ! একটু ভেবে দেখ ওঁর অবর্তমানে তোর আশ্রয় কোথায় ? এধানে জ্ঞাতিরা তো তোদের সম্পর্কই ত্যাগ করেছেন। সৎমা আগেই পৃথক হয়ে নিজের পিতৃকুলে সরে পড়েছেন। কলকাতায় ফিরে যে-কদিনই থাকা হোক, তার মধ্যে তোর একটা বিয়ের ব্যবস্থা হয়ে গেলে কাকাবাবু তখন আমার কাছে নিশ্চিন্ত হয়ে থাকতে পারবেন । তার যা সামান্য আয় আছে, আমার সঙ্গে একত্রে থাকলে স্বচ্ছদে স্বচ্ছল ভাবেই চলে যাবে। কারুর সাহায্য নিতে হবে না আমি থাকতে । রেণু চুপ করিয়া শুনিতেছিল। তাহার মৌনতার উৎসাহিত হইয়া রাখাল বলিতে লাগিল, আমি অনেক ভেবে-চিন্তে দেখেচি বোন, এছাড়া অন্ত সুব্যবস্থা আর কিছু হতে পারে না। মেয়ের ভবিষ্যতের দুর্তাবনাই কাকাবাবুকে সবচেয়ে বেশী বিত্রত করে তুলেছিল। তোমাকে সংপাত্রে সম্প্রদান করতে পারলে তার মনের গুরুতর ছশ্চিন্তা কেটে যাবে। তখন তিনি সহজেই সুস্থ হয়ে উঠবেন আশা করি। রে মৃদ্ধকণ্ঠে বলিল, বাবাকে ফেলে আমি কোথাও যেতে পারবো মা রাজ্জ্বল । t