পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (দশম সম্ভার).djvu/১৭৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
(কোনও পার্থক্য নেই)

২১:০৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चेकूत्वांथा বিজয় বিপত্নীক। স্ত্রী মরার পরেই সে বিলাত যায়। সেখানে কি করিয়াছে, না করিয়াছে, খোজ করিবার জাবগুক নাই, কিন্তু ফিরিয়া পৰ্য্যন্ত অনেকদিন দেখা গিয়াছে স্ত্রী-জাতি লম্বন্ধে তাহার মেজাজটা কিছু রুক্ষ । মা বিবাহের কথা বলায় সে জোর গলায় আপত্তি জানাইয়া তাহাকে নিরস্ত করিয়াছিল। তখন হইতে অদ্যাবধি প্রসঙ্গটা গোলমালেই কাটিয়াছে । গণেশপুরে আসিয়া একজন প্রজার সদরে গোটা-দুই ঘর লইয়া বিজয় নূতন কাছারি ফাদিয়া বসিয়াছে। সেয়েস্তার কাগজ-পত্ৰ গগনের গুহে যাহা পাওয়া গিয়াছে জোর করিয়া এখানে আনা হইয়াছে এবং এখন চেষ্টা চলিতেছে তাহার ভগিনী অহরাধা ও দূর-সম্পর্কের সেই ভাগিনেয় ছোড়াটাকে বহিষ্কৃত করার । বিনোদ ঘোষের সহিত এইমাত্র সেই পরামর্শ-ই হইতেছিল । কলিকাতা হইতে আসিবার সময় বিজয় তাহার সাত-আট বছরের ছেলে কুমারকে সঙ্গে আনিয়াছে । পল্লীগ্রামের সাপ-খোপ বিছা-ব্যাঙের তয়ে ভয়ে মা আপত্তি করিলে বিজয় বলিয়াছিল, মা, তোমার বড়বৌয়ের প্রসাদে তোমায় নাডুগোপাল নাতি-নাতনীর অভাব নেই, কিন্তু এটাকে আর তা ক’রো না। বিপদে-আপদে মাহুষ হতে দাও । শুনা যায়, বিলাতের সাহেবরাও নাকি ঠিক এমনিই বলিয়া থাকে । কিন্তু সাহেবদের কথা ছাড়াও এ-ক্ষেত্রে একটু গোপন ব্যাপার আছে। বিজয় যখন বিলাতে, তখন মাতৃহীন ছেলেটার একটু অযত্বেই দিন গিয়াছে। তাহার ভগ্নস্বাস্থ্য । পিতামহী অধিকাংশ সময়েই থাকেন শয্যাগত, মুতরাং যথেষ্ট বিত্ত-বিভব থাকা সত্ত্বেও কুমারকে দেখিবার কেহ ছিল না, কাজেই দুঃখে-কষ্টেই সে-বেচার বড় হইয়াছে। বিলাত হইতে বাড়ি ফিরিয়া এই খবরটা বিজয়ের কানে গিয়াছিল। গণেশপুরে আসিবার কালে বৌদিদি হঠাৎ দরদ দেখাইয়া বলিয়াছিল, ছেলেটা সঙ্গে যাচ্চে ঠাকুরপো, পাড়াগা জায়গা, একটু সাবধানে থেকে । কবে ফিয়বে ? যত শীঘ্ৰ পারি। শুনেচি আমাদের সেখানে একটা বড় বাড়ি আছে—বাবা কিনেছিলেন । কিনেছিলেন, কিন্তু কেনা মানেই থাকা নয় বৌদি। বাড়ি আছে, কিন্তু দখল নেই। কিন্তু তুমি যখন নিজে যাচ্চো ঠাকুরপো, তখন দখল আসতেও দেরি হবে না। আশা ত তাই করি । দখল এলে কিন্তু একটা খবর দিও। ८कन cबौनि ? > so)