পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (একাদশ সম্ভার).djvu/২৪০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
TarunnoBot (আলোচনা | অবদান) Text from Google OCR |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
২১:১৪, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
শরৎ-সাহিত্য-সংগ্রহ . কিরণময়ী কহিল, তোমার মানামানির ওপর ত কিছু নির্ভর করে না ঠাকুরপো! আমাদের এই দেহটিও ত নিতান্ত নশ্বর, একেবারে পার্থিব বস্ত । কিন্তু তাতে ত দুঃখের কারণ দেখিনে । শিশু ভূমিষ্ঠ হবার পর থেকে যতদিন না তার জড় দেহটার মধ্যে স্বষ্টি-শক্তি সঞ্চয় করে ততদিন প্রেমের সিংহদ্বার তার সম্মুখে বন্ধই থাকে। সে সিংহদ্বার সে প্রবৃত্তির তাড়নাতেই ডিঙিয়ে যায় । তার পূৰ্ব্বে সে তার বাপ-মাকে ভাই-বোনকে ভালবাসে, বন্ধু-বান্ধবকে ভালবালে, কিন্তু তার পঞ্চভূতের দেহটা বড় না হওয়া পৰ্য্যন্ত তোমার স্বৰ্গীয় প্রেমের কোন সংবাদ রাখবারই তার অধিকার জন্মায় না। ততদিন পৰ্য্যস্ত স্বৰ্গীয় আকর্ষণ তাকে একতিল নড়াতে পারে না। পৃথিবীর মাকৰ্ষণ ত চিরদিনই আছে, কিন্তু সে আকর্ষণে আত্মসমর্পণ করতে গাছের পাক ফলটিই পারে, কাচাৰ পারে না। তার আঁশ, শাস পৃথিবীর রসেই পাকে, স্বর্গের রসে পাকে না। স্বন্দর ফুল রূপ দিয়ে, গন্ধ দিয়ে, মধু দিয়ে মৌমাছি টেনে এনে ফলে পরিণত হয়, সেই ফল আবার ঠিক সময় মাটিতে পড়ে অস্কুরে পরিণত হয়—এই তার প্রকৃতি, এই তার প্রবৃত্তি, এই তার স্বৰ্গীয় প্রেম । বিশ্ব জুড়ে এই যে অবিচ্ছিন্ন স্বষ্টির খেলা, রূপের খেলা চলচে, স্বৰ্গীয় নয় বলে এতে দুঃখ করবার বা লজ্জা পাবার ত কিছুই দেখিনে । একটুখানি থামিয়া কিরণময়ী বলিল, অবগু অন্ধকারে ভূতের ভয়ে যদি চোখ বুজেই জারাম পাও, আমি চাইতে তোমাকে বলিনে, কিন্তু প্রবৃত্তির তাড়ন চাইনে, অথচ স্বগীয় প্রেম উপভোগ করব—প্রেমের ব্যবসা অত সোজা নয়। দিবাকর প্রশ্ন করিল, পৃথিবীতে তবে পবিত্র প্রেম, ঘৃণিত প্রেম, এ দুটো আছে কেন ? * • , কিরণময়ী হাসিয়া উঠিল। বলিল, তোমার তর্কটা ঠিক সতীশ ঠাকুরপোর মত হ’লো। সংসারে ও ছুটে থাকবার কথা বলেই আছে। মাছুষের প্রবৃত্তি জিনিসটা যুক্তি নয় বলেই আছে। যাকে স্বণিত বলচ, সেটা আসলে স্ববুদ্ধির অভাব। অর্থাৎ যাকে ভালবাসা উচিত ছিল না, তাকেই ভালবাস । অসাবধানে গাছ থেকে পড়ে হাত-পা ভাঙার অপরাধ মাধ্যাকর্ষণের উপর চাপান, আর প্রেমকে কুৎসিত ঘৃণিত বলা সমান কথা । ঠাকুরপো, এমনি করেই সংসারে একের অপরাধ অপরের মাথায় চেপে যায়, বলিয়া সহসা কিরণময়ী চুপ করিয়া নিজের জন্তরের মধ্যে কি কথা যেন তলাইয়া দেখিয়া আসিল। পরক্ষণেই কহিল, তোমাকে পূর্বেই বলেচি, জীবের প্রতি অণু-পরমাণু প্রতি রক্তকণা নিজের উৎকৃষ্টতর পরিণতির মধ্যে বিকাশ লাভ করবার লোভ কোনমতেই সম্বরণ করতে পারে না। যে দেহে তার জন্ম সেই দেহের মধ্যে যখন তার পরিণতির নির্দিষ্ট সীমা শেষ হয়ে যায় তখন সেই তার ধৌবন । তখনই শুধু সে बैं★♚ ●