পাতা:শরৎ সাহিত্য সংগ্রহ (ত্রয়োদশ সম্ভার).djvu/১০৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
(কোনও পার্থক্য নেই)

২১:৩৩, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পথের দাবী পূর্ণ হইয়া গিয়াছিল। তাই প্রত্যুত্তরে বলিয়া ফেলিল, জগন্নাথের পথে দাড়িয়ে ক্রীস্টান মিশনারীরা যাত্রীদের অনেক ব্যথা দেয়। তবুও সেই ঠুটো জগন্নাথকে ত্যাগ করে কেউ হাত-ওয়াল খ্ৰীষ্টকেও ভজে না। টাে নিয়েই তাদের কাজ চলে যায়, এই আশ্চৰ্য্য! স্বমিত্র রাগ করিলেন না, হাসিয়া বলিলেন, সংসারে আশ্চর্ধ্য আছে বলেই ত মানুষের বাচা অসম্ভব হয়ে ওঠে না অপূৰ্ব্ববাবু গাছের পাতার রঙ যে সবাই সবুজ দেখে না এ তারা,জানেও না। তবুও যে লোকে তাকে সবুজ বলে, সংসারে এই কি কম আশ্চৰ্য্য ! সতীত্বের সত্যিকার মূল্য জানলে কি— কুমিত্ৰা ! যে লোকটি নিঃশব্দে এভক্ষণ লিখিতেছিল সে উঠিয়া দাড়াইল । সকলেই সঙ্গে সঙ্গে দাড়াইয়া উঠিল । অপূর্ব দেখিল, গিরীশ মহাপাত্র। g ভারতী তাহার কানে কানে বলিল, উনিই আমাদের ডাক্তার। উঠে দাড়ান । কলের পুতুলের মত অপূর্ব উঠিয় দাড়াইল, কিন্তু ক্রুদ্ধ মনোহরের শেষ কথাগুলা তাহার চক্ষের নিমেষে মনে পড়িয়া সমস্ত দেহের রক্ত যেন হিম হইয়া গেল । গিরীশ কাছে আসিয়া কহিলেন, আমাকে বোধ হয় আপনি ভুলে যাননি ? অামাকে এর সবাই ভাক্তার বলেন। এই বলিয়া তিনি হাসিলেন। অপূৰ্ব্ব হাসিতে পারিল না ; কিন্তু আস্তে আস্তে বলিল, আমার কাকাবাবুর খাতায় কি একটা ভয়ানক নাম লেখা আছে— গিরীশ সহসা তাহার দুই হাত নিজের হাতের মধ্যে টানিয়া লইয়া চুপিচুপি কহিলেন, সব্যসাচী ত ? এই বলিয়া পুনশ্চ হাসিয়া বলিলেন, কিন্তু রাত হয়ে গেছে অপূৰ্ব্ববাবু, চলুন আপনাকে একটু এগিয়ে দিয়ে আসি। পথটা তেমন ভাল নয়,— পাঠান ওয়ার্কমেনগুলোর মদ খেলে আর যেন কাণ্ডজ্ঞান থাকে না। চলুন। এই বলিয়া যেন একপ্রকার জোর করিয়া তাহাকে ঘর হইতে বাহির করিয়া আনিলেন । স্বমিত্রাকে একটা নমস্কার করা হইল না, ভারতীকে একটা কথা বলা হইল না,— কিন্তু সবচেয়ে যে কথাটা তাহার বুকে ধাক্কা মারিল সে ওই বাধানো খাতাটা,—তাহার নাম তাহাতে লেখা রহিল । թթ