পাতা:পণ্ডিতমশাই-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১১৫: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
WikitanvirBot (আলোচনা | অবদান) বট গুগল ওসিআর থেকে প্রাপ্ত লেখা যোগ করছে |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
১৬:০৪, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
চতুর্দশ পরিচ্ছেদ ১১৫ । উঃ—এই ব্রাহ্মণই একদিন সমস্ত পৃথিবীর গর্বের বস্তু ছিল—ভাবলেও বুক ফেটে যায় হে বৃন্দাবন : চললুম, পার ত ছেলেটারে বঁচিয়ে রেখে ভাই ! বলিয়া দ্রুতপদে বাহির হইয় গেল । - কেশব চলিয়া গেলে, চরণ পিতাঁকে কাছে পাইয়া, মার কাছে যাব, বলিয়া ভগনক কায় জুড়িয়া দিল। সে স্বভাবতঃ শান্ত, কোন দিনই জিদ করিতে জনিত না, কিন্তু আজ তাহাকে ভুলাইয়া রাখা নিতান্ত কঠিন ' কার্য হইয়া উঠিল। ক্রমশ: বেলা যত পড়িয়া আসিতে লাগিল, রোগে ", যন্ত্রণা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাইতে লাগিল, তৃষ্ণার হাহাকার এবং মায়ের কাছে যাইবার উন্মত্ত্ব-শংকারে সে সমস্ত লোককে পাগল করিয়া তুলিল। এই চীৎকার বন্ধ হইল অপরাহ্লে, যখন হাতে পায়ে পেটে খিল ধরিয়া কণ্ঠ রোধ হইয় গেল। চৈত্রের স্বল্প দিলমান শেষ হয়-হয়, এমন সময়ে কেশব ডাক্তার লইয়া বাড়ি চুকিল। ডাক্তার তাঙ্গরই সমবয়সী এবং বন্ধু ; ঘরে ঢুকিয়া চরণের দিকে চাহিয়াই মুখ গন্তীর করিা একধারে বসিলেন। কেশব সভয়ে তাহার মুখপানে চাহিতেই তিনি কি বলিতে গিয়া বুল্লাবনের প্রতি লক্ষ্য করিয়া থামিয়া গেলেন। - বুলবন তাহ দেখিল, শান্তভাবে কহিল, ই, আমিই বাপ বাট; কিন্তু কিছুমাত্র সঙ্কোচের প্রয়োজন নেই, আপনার যা ইচ্ছা স্বচ্ছদে বলুন। বোপ, বারো ঘণ্টাকল বিনা চিকিৎসায় একুমাত্র সন্তানকে নিয়ে বসে থাকতে পারে, তার সমস্ত সহ হয় ডাক্তারবাবু। • পিতার এত বড় ধৈৰ্য্যে ডাক্তার মনে নে শুস্তিত হইয়া গেল। তথাপি ডাক্তার হ’লেও সে মানুষ, যে কথা তাঙ্কার বলিবার ছিল, পিতার মুখের উপর উচ্চারণ করিতে পারিল না, মাথা হেঁট করিল।. বৃন্দাবন বুধিয়া কহিল, কেশব, এখন আমি চললুম। পাশেই ঠাকুর