পাতা:গল্পগুচ্ছ (চতুর্থ খণ্ড).pdf/১৯০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
 
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
কর্ণা పిటపి বলো। সে একটা আশ্রয় পাইলে, লোকের চোখের আড়াল হইতে পারিলে বাঁচে । তার মনে হইতেছে, যেন সকলেই তাহার মাখের দিকে চাহিয়া আছে। তাহা ছাড়া কর্ণা এমন শ্রান্ত কাতর হইয়া পড়িয়াছে যে আর সে সহিতে পারে না। একবার মনে করিল স্বরপের প্রস্তাবে সায় দিয়া যাইবে । কিন্তু বরাপের উপর তাহার এমন একটা ভয় আছে যে পা আর উঠিতে চায় না। কর্ণা ভাবিল, এই গাছের তলায় নিশ্চেন্ট হইয়া পড়িয়া থাকি, না খাইয়া না দাইয়া মরিয়া যাইব । কিন্তু রক্ত মাংসের শরীরে কত সহিবে বলো—এ ভাবনা আর বেশিক্ষণ পথান পাইল না। স্বরপের প্রস্তাবে সম্মত হইল। সন্ধ্যা হইল।
কর্ণা ও স্বরুপ এখন ট্রেনের মধ্যে।
বিংশ পরিচ্ছেদ
স্বরুপ ও কর্ণা কাশীতে আছে। কর্ণার দরবস্থা বলিবার নহে। সবাদা ভয়ে ভয়ে থাকিয়া সে যে কী অবস্থায় দিন যাপন করিতেছে তাহা সেই জানে। স্বরপের ভ্রম অনেক দিন হইল ভাঙিয়াছে, এখন বুঝিয়াছে কর্ণা তাহাকে ভালোবাসে না । সে ভাবিতেছে, “একি উৎপাত ! এত করিয়া আনিলাম, গাড়িভাড়া দিলাম— সকলই ব্যথ হইল! সে যে বিরক্ত হইয়াছে তাহা আর বলিবার নহে। সে মনে করিয়াছিল এতদিন কবিতায় যাহা লিখিয়া আসিয়াছে, কল্পনায় চিত্র করিয়াছে, আজ সেই প্রেমের সুখ উপভোগ করবে। কিন্তু সে কাছে আসিলে কর্ণা ভয়ে জড়োসড়ো আড়ষ্ট হইয়া মরিয়া যায়, তাহার সঙ্গে কথাই কহে না। স্বরুপ ভাবিল, একি উৎপাত ! এ গলগ্রহ বিদায় করিতে পারিলে যে বাঁচি। ভাবিল দিন-কতক কাছে থাকিতে থাকিতেই ভালোবাসা হইবে। সবরপে তো তাহার যথাসাধ্য করিল, কিন্তু কর্ণার ভালোবাসার কোনো চিহ্ন দেখিল না।
কর্ণা বেচারির তো আরাম বিশ্রাম নাই। এক তো সবক্ষণ পরের বাড়িতে অচেনা পরষের সঙ্গে আছে বলিয়া সবদাই আত্মগলানিতে দগধ হইতেছে। তাহা ছাড়া স্বরপের ভাব-গতিক দেখিয়া সে তো ভয়ে আকুল— সে কাছে বসিয়া গান গায়, কবিতা শনাইতে থাকে, মনের দুঃখ নিবেদন করে, অবশেষে মহা রক্ষেভাবে গাড়িভাড়ার টাকার জন্য নালিশ করিবে বলিয়া শাসাইতে আরম্ভ করিয়াছে। কর্ণা যে কী করিবে কিছুই ভাবিয়া পায় না, ভয়ে বেচারি সারা হইতেছে। স্বরপে রাত দিন খিট খিট করে, এমন-কি কর্ণাকে মাঝে মাঝে ধমকাইতে আরম্ভ করিয়াছে। কর্ণার কিছু বলিবার মুখ নাই, সে শধে কাঁদিতে থাকে।
এইরপে কত দিন যায়, সবরপের এলাহাবাদে যাইবার সময় হইয়াছে। সে ভাবিতেছে, এখন কর্ণাকে লইয়া কী করি। এইখানে কি ফেলিয়া যাইব । না, এত করিয়া আনিলাম, গাড়িভাড়া দিলাম, এতদিন রাখিলাম, অবশেষে কি ফেলিয়া যাইব । আরও দিন-কতক দেখা যাক ৷” ".
অনেক ভাবিয়া-সাবিয়া কর্ণাকে তো ডাকিল। কর্ণা ভাবিল, যাইব কি না। কিন্তু না যাইয়াই বা কী করি। এখানে কোথায় থাকিব। এত দরে দেশে অচেনা
জায়গায় কার কাছে যাইব। দেশে থাকিতাম তব কথা থাকিত।