পাতা:তিনসঙ্গী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৯: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৯:২৮, ২১ মার্চ ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ কথা * 《속 এখানকার স্টেটের একটা পরিত্যক্ত ডাকবাংলা ভাড়া নিয়ে নিজের খরচে সেটা বাসযোগ্য করেছেন । এইটে হল ইতিহাসের খসড়া, বাকিটুকু বঙ্কিমের চিঠি থেকে মিলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আমার গল্পের আদিপর্ব শেষ হয়ে গেল । ছোটোগল্পের আদি ও অন্তে বেশি ব্যবধান থাকে না । জিনিসটাকে ফলিয়ে বলবার লোভ করব না, ওর স্বভাব নষ্ট করতে চাই নে । অচিরার সঙ্গে স্পষ্ট কথা বলার যুগ এল সংক্ষেপেই । সেদিন চড়িভাতি হয়েছিল তনিকা নদীর তীরে । অধ্যাপক ছেলেমানুষের মতন হঠাৎ আমাকে জিগ গেসা করে বসলেন, “নবীন, তোমার কি বিবাহ হয়েছে।” প্রশ্নটা এতই সুস্পষ্ট ভাবব্যঞ্জক যে, আর কেউ হলে ওটা চেপে যেত । আমি উত্তর করলুম, “না, এখনো তো হয় নি।” অচিরার কাছে কোনো কথাই এড়ায় না । সে বললে, “দাতু, ঐ এখনো শবদটা সংশয়গ্রস্ত কন্যাকর্তাদের মনকে সাস্তুনা দেবার জন্তে । ওর কোনো যথার্থ মানে নেই।” “একেবারে মানে যে নেই, এ কথা নিশ্চিত স্থির করলেন কী করে ।” “এটা গণিতের প্রব্লেম— তাও হাইয়ার ম্যাথম্যাটিক্স বললে যা বোঝায়, তা নয়। পূর্বেই শোনা গেছে, আপনি ছত্রিশ বছরের ছেলেমানুষ । হিসেব করে দেখলুম, এর মধ্যে আপনার মা অন্তত পাঁচ-সাতবার আপনাকে বলেছেন, ‘বাবা, ঘরে বউ আনতে চাই ।” আপনি বলেছেন, ‘তার আগে চাই লোহার সিন্দুকে টাকা আনতে । মা চোখের জল মুছে চুপ করে রইলেন। তার পরে ইতিমধ্যে আপনার আর-সব হয়েছে, কেবল ফঁাসি ছিল বাকি । শেষকালে এখানকার রাজসরকারে যখন মোটা মাইনের পদ জুটল, মা আবার