পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৪৬: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
→মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি: "মন চুপ কর্লে। বন্ধু এসে বল্লেন, "যা ভালো তা সত্য, তা কখনো..." দিয়ে পাতা � |
|||
পাতার অবস্থা | পাতার অবস্থা | ||
- | + | মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে | |
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে): | ||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
মন চুপ কর্লে। বন্ধু এসে বল্লেন, "যা ভালো তা সত্য, তা কখনো যায় না; সমস্ত জগৎ তাকে রত্নের মতো বুকের হারে গেঁথে রাখে।" |
{{gap}}মন চুপ কর্লে। বন্ধু এসে বল্লেন, "যা ভালো তা সত্য, তা কখনো যায় না; সমস্ত জগৎ তাকে রত্নের মতো বুকের হারে গেঁথে রাখে।" |
||
আমি রাগ করে' |
{{gap}}আমি রাগ করে' বল্লেম, "কী করে' জান্লে? দেহ কি ভালো নয়? সে দেহ গেল কোনখানে?" |
||
ছোটো ছেলে যেমন রাগ করে' মাকে মারে তেমনি করেই বিশ্বে আমার যা-কিছু আশ্রয় সমস্তকেই মারতে লাগ্লেম। বল্লেম, "সংসার বিশ্বাসঘাতক!" |
{{gap}}ছোটো ছেলে যেমন রাগ করে' মাকে মারে তেমনি করেই বিশ্বে আমার যা-কিছু আশ্রয় সমস্তকেই মারতে লাগ্লেম। বল্লেম, "সংসার বিশ্বাসঘাতক!" |
||
হঠাৎ চম্কে উঠ্লেম। মনে হল, কে বল্লে, "অকৃতজ্ঞ!" |
{{gap}}হঠাৎ চম্কে উঠ্লেম। মনে হল, কে বল্লে, "অকৃতজ্ঞ!" |
||
জানলার বাইরে দেখি ঝাউগাছের আড়ালে তৃতীয়ার চাঁদ উঠচে, যে গেচে যেন তারি হাসির লুকোচুরি। তারা-ছিটিয়ে-দেওয়া অন্ধকারের ভিতর থেকে একটি ভর্ৎসনা এল, "ধরা দিয়েছিলেম সেটাই কি ফাঁকি, আর আড়াল পড়েচে, এইটেকেই এত জোরে বিশ্বাস?" |
{{gap}}জানলার বাইরে দেখি ঝাউগাছের আড়ালে তৃতীয়ার চাঁদ উঠচে, যে গেচে যেন তারি হাসির লুকোচুরি। তারা-ছিটিয়ে-দেওয়া অন্ধকারের ভিতর থেকে একটি ভর্ৎসনা এল, "ধরা দিয়েছিলেম সেটাই কি ফাঁকি, আর আড়াল পড়েচে, এইটেকেই এত জোরে বিশ্বাস?" |