পাতা:কাদম্বরী.djvu/৬৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Pritam8981682009 (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
+
বৈধকরণ
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
{{dhr|5em}}
{{dhr|5em}}


</includeonly><section end="1"/>
</includeonly>
<section end="1"/>
<section begin="2"/>{{gap}}এই কথা বলিতে বলিতে চন্দ্রোদয় হইল। নবোদিত চন্দ্রের আলোক অন্ধকারমধ্যে পতিত হওয়াতে বোধ হইল যেন, জাহ্নবীর তরঙ্গ যমুনার জলের সহিত মিলিত হইয়াছে। সুধাংশুসমাগমে যামিনী জ্যোৎস্নারূপ দশনপ্রভা বিস্তার করিয়া যেন আহ্লাদে হাসিতে লাগিল। চন্দ্রোদয়ে গাম্ভীর্য্যশালী সাগরও ক্ষুব্ধ হইয়া তরঙ্গরূপ বাহু প্রসারণ পূর্ব্বক বেলা আলিঙ্গন করে। সে সময়ে অবলার মন চঞ্চল হইবে আশ্চর্য্য কি? চন্দ্রের সহায়তা ও মলয়ানিলের অনুকূলতায় আমার হৃদয়স্থিত মদনানল প্রবল হইয়া জ্বলিয়া উঠিল। চন্দ্রের দিকে নেত্রপাত করিয়াও চারি দিকে মৃত্যুমুখ দেখিতে লাগিলাম। অন্ধকারে লক্ষ্য স্থির করিতে না পারিয়া কুসুমচাপ নিস্তব্ধ হইয়াছিল, এক্ষণে সময় পাইয়া শরাসনে শরসন্ধান পূর্ব্বক বিরহিণীদিগের অন্বেষণ করিতে লাগিল। আমিই উহার প্রথম লক্ষ্য হইলাম। নেত্রযুগল নিমীলিত ও অঙ্গ অবশ করিয়া মূর্চ্ছা অজ্ঞাতসারে আমাকে আক্রমণ করিল। তরলিকা সভয়ে ও সসম্ভ্রমে গাত্রে শীতল চন্দনজল সেচন পূর্ব্বক তালবৃন্ত দ্বারা বীজন করিতে লাগিল। ক্রমে চৈতন্য প্রাপ্ত হইয়া নয়ন উন্মীলন পূর্ব্বক দেখিলাম, তরলিকা বিষণ্ণ বদনে ও দীন নয়নে রোদন করিতেছে। আমি লোচন উন্মীলন করিলে আমাকে জীবিত দেখিয়া অতিশয় হৃষ্ট হইল, বিনয়বাক্যে কহিল, ভর্ত্তৃদারিকে!<section end="2"/>
<section begin="2"/>{{gap}}এই কথা বলিতে বলিতে চন্দ্রোদয় হইল। নবোদিত চন্দ্রের আলোক অন্ধকারমধ্যে পতিত হওয়াতে বোধ হইল যেন, জাহ্নবীর তরঙ্গ যমুনার জলের সহিত মিলিত হইয়াছে। সুধাংশুসমাগমে যামিনী জ্যোৎস্নারূপ দশনপ্রভা বিস্তার করিয়া যেন আহ্লাদে হাসিতে লাগিল। চন্দ্রোদয়ে গাম্ভীর্য্যশালী সাগরও ক্ষুব্ধ হইয়া তরঙ্গরূপ বাহু প্রসারণ পূর্ব্বক বেলা আলিঙ্গন করে। সে সময়ে অবলার মন চঞ্চল হইবে আশ্চর্য্য কি? চন্দ্রের সহায়তা ও মলয়ানিলের অনুকূলতায় আমার হৃদয়স্থিত মদনানল প্রবল হইয়া জ্বলিয়া উঠিল। চন্দ্রের দিকে নেত্রপাত করিয়াও চারি দিকে মৃত্যুমুখ দেখিতে লাগিলাম। অন্ধকারে লক্ষ্য স্থির করিতে না পারিয়া কুসুমচাপ নিস্তব্ধ হইয়াছিল, এক্ষণে সময় পাইয়া শরাসনে শরসন্ধান পূর্ব্বক বিরহিণীদিগের অন্বেষণ করিতে লাগিল। আমিই উহার প্রথম লক্ষ্য হইলাম। নেত্রযুগল নিমীলিত ও অঙ্গ অবশ করিয়া মূর্চ্ছা অজ্ঞাতসারে আমাকে আক্রমণ করিল। তরলিকা সভয়ে ও সসম্ভ্রমে গাত্রে শীতল চন্দনজল সেচন পূর্ব্বক তালবৃন্ত দ্বারা বীজন করিতে লাগিল। ক্রমে চৈতন্য প্রাপ্ত হইয়া নয়ন উন্মীলন পূর্ব্বক দেখিলাম, তরলিকা বিষণ্ণ বদনে ও দীন নয়নে রোদন করিতেছে। আমি লোচন উন্মীলন করিলে আমাকে জীবিত দেখিয়া অতিশয় হৃষ্ট হইল, বিনয়বাক্যে কহিল, ভর্ত্তৃদারিকে!<section end="2"/>