পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/১৯৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Alangkrita (আলোচনা | অবদান) →মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি: " দণ্ডাক্ষসূত্রহস্তঞ্চ মার্কণ্ডেয়ং বিচিন্তয়েৎ।। ক..." দিয়ে পাতা � |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
১৫:৫৮, ৮ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
দণ্ডাক্ষসূত্রহস্তঞ্চ মার্কণ্ডেয়ং বিচিন্তয়েৎ।।
কুন্তীসহ অন্তঃপুরে গিয়া যাজ্ঞসেনী। একে একে সম্ভাষেন কৌরবরমণী।। তবে ধৃতরাষ্ট্র বলে ভাই পঞ্চজনে। হস্তিনা বসতি তব নহে সুশোভনে।। খাণ্ডবপ্রস্থেতে যাহ পঞ্চ সহোদর। অর্ধরাজ্য ভোগ কর ইন্দ্রের সোসর।। শুনি যুধিষ্ঠিত করিলেন অঙ্গীকার। খাণ্ডবপ্রস্থেতে সব কৈল আগুসার।। পাণ্ডবের আগমন জনি যদুবর। বলভদ্র সঙ্গে যান হস্থিনানগর।। ধৃতরাষ্ট্র যা বলিল পাণ্ডবের প্রতি। খাণ্ডবে রহিতে কৃষ্ণ দেন অনুমতি।। বলভদ্র জনার্দ্দন পঞ্চ সহোদর। শুভক্ষণে করিলেন আরম্ভ নগর।। প্রাচীর হইল উচ্চ আকাশ সমান। চতুর্দ্দিকে গড়খাই সমুদ্রপ্রমাণ।। উচ্চ উচ্চ মন্দির করিল মনোরম। কিবা সে অমরাবতী ভোগবতী সম।। প্রাচীর উপরে সব অস্ত্র পূর্ণ কৈল। ভক্ষ্য ভোজ্য পদাতিক প্রজাগণ থু'ল।। কুবের-ভাণ্ডার জিনি পূরাইল ধন। শুক্লবর্ণে সব গৃহ বিচিত্র-শোভন।। বেদান্ত পাঠকগণ ক্ষত্র বৈশ্য জাতি। নগরের মধ্যস্থলে করিল বসতি।। পাঠক লেখক বৈদ্য চিকিৎসক জন। সদ্গোপ বনিক্ জাতি যত শূদ্রগণ।। স্থানে স্থানে নগরে রোপিল বৃক্ষগণ। পিপ্পলী কদম্ব আম্র পনস কানন।। জম্বীর পলাশ তাল তমাল বকুল। নাগেশ্বর কেতকী চম্পক রাজফুল।। পাটলী খদির বেল বদরী কবরী। পারিজাত আমলকী পর্কটী মহিরী।। কদলী গুবাক নারিকেল ও খর্জ্জুর। নানাবর্ণে বৃক্ষ শোভে যেন সুরপুর।। স্থানে স্থানে খোদাইল দিঘী পুষ্করিণী। জলচর পক্ষিগণ সদা করে ধ্বনি।। দ্বিতীয় ইন্দ্রের পুর দেখি সুশোভন। ইন্দ্রপ্রস্থ নাম রাখিলেন নারায়ণ।। পাণ্ডবেরে স্থাপি তথা হলধর হরি। বিদায় হইয়া যান দ্বারকানগরী।। পাণ্ডবের রাজ্যপ্রাপ্তি শুনে যেইজন। স্থানভ্রষ্ট স্থান পায় দরিদ্র-খণ্ডন।। আদিপর্ব্ব ভারত ব্যাসের বিচরিত। পাঁচালী প্রবন্ধে ভণে কাশীরাম গীত।। ------ দ্রৌপদীর সহিত সময় নির্দ্ধারণ। জন্মেজয় বলে মুনি কর অবধান। শুনিবারে ইচ্ছা বড় ইহার বিধান।। পঞ্চ ভাই এক স্ত্রীতে কেমনে চলিল। বিভেদ নহিল দিন কেমনে বঞ্চিল।। মুনি বলে নরপতি শুন সাবধানে। ইন্দ্রপ্রস্থে গেল যবে ভাই পঞ্চজনে।। কতদিনে করিল নারদ আগমন। কৃষ্ণা সহ পাণ্ডব পূজিল শ্রীচরণ।। করযোড় করি দণ্ডাইল ছয় জন। বসিবারে মুনি আজ্ঞা দিলেন তখন।। নারদ বলেন শুন পাণ্ডুর নন্দন। এক পত্নী পতি যে তোমরা পঞ্চজন।। ভাই ভাই বিচ্ছেদ করিয়া থাক পাছে। স্ত্রী হেতু বিরোধ হয় পূর্ব্বে হেন আছে।। সুন্দ উপসুন্দ বলি দুই ভাই ছিল। স্ত্রীর হেতু দুই ভাই যুদ্ধ করি মৈল।। যুধিষ্ঠির বলিলেন কহ মুনিবর। কি হেতু করিল যুদ্ধ দুই সহোদর।। নারদ বলেন পূর্ব্বে কশ্যপ-নন্দন। হিরণ্যকশিপু হিরণ্যাক্ষ দুইজন।। নিকুম্ভ অসুর হিরণ্যাক্ষ দৈত্যবংশে। সুন্দ উপসুন্দ দুই তাহার ঔরসে।। মহাবল দুই ভাই মহা কলেবর। অসুরকুলেতে শ্রেষ্ঠ মহাভয়ঙ্কর।। দুই জন মিলি তবে যুক্তি কৈল সার। তপোবলে করিব ত্রৈলোক্য অধিকার।।