পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (ষোড়শ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/২৪০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

TarunnoBot (আলোচনা | অবদান)
Text from Google OCR
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৬:০৬, ২৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

నలి: রবীন্দ্র-রচনাবলী পূর্ণর প্রবেশ পূর্ণ। অত্যন্ত পুরোনো। কাল-পরশু যে খবর চলছিল আজও তাই চলছে । শ্ৰীশ । কাল-পরশু শীতের হাওয়া বচ্ছিল, আজ বসন্তের হাওয়া দিয়েছে— এতে দুটাে-একটা নতুন খবরের আশা করা যেতে পারে । পূর্ণ। দক্ষিণের হাওয়ায় যে-সব খবরের স্বষ্টি হয় কুমারসভার খবরের কাগজে তার স্থান নেই। তপোবনে একদিন অকালে বসন্তের হাওয়া দিয়েছিল, তাই নিয়ে কালিদাসের কুমারসম্ভব কাব্য রচনা হয়েছে— আমাদের কপালগুণে বসন্তের হাওয়ায় কুমার-অসম্ভব কাব্য হয়ে দাড়ায় । বিপিন। হয় তো হোক-না পূর্ণবাবু— সে কাবো যে দেবতা দগ্ধ হয়েছিলেন এ কাব্যে তাকে পুনর্জীবন দেওয়া যাক । পূর্ণ। এ কাব্যে চিরকুমার-সভা দগ্ধ হোক। যে দেবতা জলেছিলেন তিনি জালান। না, আমি ঠাট্টা করছি নে শ্ৰীশবাবু, আমাদের চিরকুমার-সভাটি একটি আস্ত জতুগৃহবিশেষ । আগুন লাগলে রক্ষে নেই। তার চেয়ে বিবাহিত সভা স্থাপন করে, স্ত্রীজাতি সম্বন্ধে নিরাপদ থাকবে। যে ইট পাজায় পুড়েছে তা দিয়ে ঘর তৈরি করলে আর পোড়বার ভয় থাকে না হে। শ্ৰীশ । যে-সে লোক বিবাহ ক’রে বিবাহ জিনিসটা মাটি হয়ে গেছে পূৰ্ণবাবু সেই জন্যেই তে কুমারসভা। আমার যতদিন প্রাণ আছে ততদিন এ সভায় প্রজাপতির প্রবেশ নিষেধ । বিপিন। পঞ্চশর ? শ্ৰীশ । আসুন তিনি। একবার তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠত হয়ে গেলে, বাস, আর ভয় নেই । পূর্ণ। দেখে শ্ৰীশবাবু— ঐশ। দেখব আর কী। তাকে খুজে বেড়াচ্ছি। এক চোট দীর্ঘনিশ্বাস ফেলব, কবিতা আওড়াব, কনকবলয়ভংসরিক্তপ্রকোষ্ঠ হয়ে যাব, তবে রীতিমতে সন্ন্যাসী হতে পারব। আমাদের কবি লিখেছেন— নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জালাইয়া যাও প্রিয়া, তোমার অনল দিয়া । কবে যাবে তুমি সমুখের পথে দীপ্ত শিখাটি বাহি আছি তাই পথ চাহি ।