পাতা:কাশীদাসী মহাভারত.djvu/২৩১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Alangkrita (আলোচনা | অবদান) →মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি: " ঘেঁটুর প্রার্থনা মন্ত্র--ঘণ্টাকর্ণ মহাবীর সর্ব্বব্যাধ..." দিয়ে পাতা � |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
০৭:৫৮, ৩১ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
ঘেঁটুর প্রার্থনা মন্ত্র--ঘণ্টাকর্ণ মহাবীর সর্ব্বব্যাধি বিনাশন।
এত শুনি মন্দপাল চিন্তিত অন্তরে। স্বর্গবাসে দুঃখ মম না সহে শরীরে।। পুনঃ গিয়া জন্ম লব পৃথিবী ভিতরে। পুত্র জন্মাইয়া স্বর্গে আসিব সত্বর।। কোন যোনি হৈলে হয় ঝটতি সন্তান। পক্ষিযোনি হব বলি চিন্তে মতিমান।। ততক্ষণ দেবদেহ ত্যজি দ্বিজবর। পক্ষিযোনি প্রাপ্ত হৈল সংসার ভিতর।। হইল শার্ঙ্গিক পক্ষী খাণ্ডব কাননে। শার্ঙ্গিকারে ভার্য্যা সে করিল কতদিনে।। কতদিনে খাণ্ডবেতে লাগিল দহন। ধ্যানেতে জানিল মন্দপাল তপোধন।। চারি পুত্র শিশু তার পক্ষ নাহি উঠে। হেনকালে অগ্নি মধ্যে ঠেকিল সঙ্কটে।। অগ্নিতে তরিতে শিশু না দেখি উপায়। পুত্ররক্ষা হেতু মুনি ধ্যানেতে ধেয়ায়।। সঙ্কল্প করেন আজি শ্রীকৃষ্ণ পাণ্ডবে। এক জীব না রাখিব এইত খাণ্ডবে।। অগ্নি যদি রাখে তবে জীবে পুত্রগণ। এত ভাবি করে দ্বিজ অগ্নিরে স্মরণ।। ব্রাম্ভণের ইষ্ট তুমি হও কৃপাবান। এই চারিগুটি পুত্ত্রে দেহ প্রাণদান।। দ্বিজ স্তুতিবশে অগ্নি দিলেন অভয়। শুনি মন্দপাল হৈল সানন্দ হৃদয়।। খাণ্ডবে লাগিল অগ্নি মহা ভয়ঙ্কর। শার্ঙ্গিকা পুত্রের সহ চিন্তিত অন্তর।। অশক্ত অজাত পক্ষ তোমা চারিজন। গর্ত্ত মধ্যে প্রবেশিয়া রাখহ জীবন।। অনেক মধুর বাক্যে শার্ঙ্গিকা বলিল। তথাপিও চারি শিশু গর্ত্তে নাহি গেল।। শিশু সব কহে মাতা কেন কর দ্বন্দ্ব। তোমায় আমায় মাতা কিসের সম্বন্ধ।। মায়ামোহে পড়ি কেন হারাও জীবন। আপনি থাকিলে কত পাইবে নন্দন।। নিজ শক্তি থাকতে মরিবা কেন পুড়ি। আইসে অনল দেখ শীঘ্র যাহ উড়ি।। পুত্ত্রের বচন শুনি শার্ঙ্গিকা উড়িল। কানন দহিয়া তবে পাবক আইল।। প্রচণ্ড অনল তাহে মহাবায়ু বহে। পর্ব্বত আকার জীবজন্তুগণ দহে।। দেখিয়া কাতর চারি মুনির নন্দন। অগ্নি প্রতি যোড়করে করে নিবেদন।। অনেক করিল স্তুতি শিশু চারিজন। তুষ্ট হৈয়া বলে তারে দেব হুতাশন।। না করিও ভয় মন্দপালের তনয়। পূর্ব্বেতে তোমায় আমি দিয়াছি অভয়।। শিশুগণ বলে যদি হৈল কৃপাবান। মনোনীত বর দেহ মাগি তব স্থান।। এ স্থানেতে আছয়ে মার্জ্জার দুষ্টগণ। আমা সবা ধরিবারে আসে অনুক্ষণ।। তা সবারে ভস্ম কর আমার গোচর। ঈষৎ হাসিয়া ভস্ম করে বৈশ্বানর।। চারি শিশু প্রতি অগ্নি দিলেন অভয়। সকল খাণ্ডব বন হৈল ভস্মময়।। দেবগণ সহ ইন্দ্র বিস্ময় মানিয়া। অন্তরীক্ষে থাকি তবে কহিল ডাকিয়া।। যাহা করিলেন তবে নর-নারায়ণ। এ কর্ম্ম করিতে শক্য নহে কোন জন।। এই হেতু এক বাক্য বলি যে এখন। মনোনীত বর মাগ শুন দুইজন।। অর্জ্জুন বলেন বর দিবা সুরেশ্বর। আমায় অজয় অস্ত্র দেহ পুরন্দর।। ইন্দ্র বলে দিব অস্ত্র কত দিন গেলে। শিবে তুষ্ট যখন করিবা তপোবলে।। শ্রীকৃষ্ণ বলেন বর মাগি যে তোমায়। অর্জ্জুনেরে স্নেহে তুমি হইবা সহায়।। হৃষ্টমনে বর দিয়া গেল গেল পুরন্দর। কৃষ্ণার্জ্জুনে বিদায় করিল বৈশ্বানর।। ------