সোনার তরী/সমুদ্রের প্রতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Faisal Hasan (আলোচনা | অবদান)
নতুন পাতা: {{BnHeader |title= সোনার তরী |section = সমুদ্রের প্রতি |previous = যেতে নাহি দিব |next = প্রতীক...
 
Faisal Hasan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
২৫ নং লাইন:
রাশি রাশি শুভ্রহাস্যে, অশ্রুজলে, স্নেহগর্বসুখে
আর্দ্র করি দিয়ে যাও ধরত্রীর নির্মল ললাট
আশীর্বাদে। নিত্যবিগলিত তব অন্তর বিরাট,
আদি অন্ত স্নেহরাশি— আদি অন্ত তাহার কোথা রে!
কোথা তার তল! কোথা কূল! বলো কে বুঝিতে পারে
তাহার অগাধ শান্তি, তাহার অপার ব্যাকুলতা,
তার সুগভীর মৌন, তার সমুচ্ছল কলকথা,
তার হাস্য, তার অশ্রুরাশি!— কখনো-বা আপনারে
রাখিতে পার না যেন, স্নেহপূর্ণস্ফীতস্তনভারে
উন্মাদিনী ছুটে এসে বক্ষে ধর চাপি
নির্দয় আবেগে; ধরা প্রচন্ড পীড়নে উঠে কাঁপি,
রুদ্ধশ্বাসে ঊর্ধশ্বাসে চীৎকারি উঠিতে চাহি কাঁদি,
উন্মত্ত স্নেহক্ষুধায় রাক্ষসীর মতো তারে বাঁধি
পীড়িয়া নাড়িয়া যেন টুটিয়া ফেলিয়া একেবারে
অসীম অতৃপ্তিমাঝে গ্রাসিতে নাশিতে চাহ তারে
প্রকান্ড প্রলয়ে। পরক্ষণে মহা অপরাধী-প্রায়
পড়ে থাকে তটতলে স্তব্ধ হয়ে বিষণ্ণ ব্যাথায়
বিষণ্ণ নিশ্চল— ধীরে ধীরে প্রভাত উঠিয়া এসে
শান্তদৃষ্টি চাহে তোমাপানে; সন্ধ্যাসখী ভালোবেসে
স্নেহকরস্পর্শ দিয়ে সান্ত্বনা করিয়ে চুপে চুপে
চলে যায় তিমিরমন্দিরে; রাত্রি শোনে বন্ধুরূপে
গুমরি ক্রন্দন তব অনুতাপে ফুলে ফুলে।
</center>
</poem>