পাতা:গৌড়রাজমালা.djvu/১১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
{{gap}}সেই অনধিকারীর নাম এখনও অপরিজ্ঞাত রহিয়া গিয়াছে। কিন্তু তিনি ৮৮৮ শকাব্দায় [৯৬৬ খৃষ্টাব্দে] বরেন্দ্রমণ্ডলে শিবমন্দির প্রতিষ্ঠিত করিয়া, আপনাকে “কাম্বোজাম্বয়জ গৌড়পতি” বলিয়া প্রস্তরস্তম্ভে যে শ্লোক উৎকীর্ণ করাইয়াছিলেন, সেই শ্লোক-সংযুক্ত প্রস্তর-স্তম্ভটি অদ্যাপি বরেন্দ্রমণ্ডলেই [দিনাজপুরাধিপতির উদ্যান মধ্যে] বর্ত্তমান আছে। তাহার সহিত বাঙ্গালীর ইতিহাসের সম্বন্ধ কি, “গৌড়রাজমালায়” তাহা বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যাত হইয়াছে। এইরূপে বাঙ্গালীর ইতিহাসে,—পালরাজবংশের অধিকারকালে,—কাম্বোজাম্বয়জ [আগন্তুক] গৌড়পতির সন্ধান-লাভের পর, অনুসন্ধান-সমিতির সুযোগ্য সম্পাদক মহাশয় সেই নবাবিষ্কৃত ঐতিহাসিক সমাচার একটি ইংরাজী প্রবন্ধে লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন। তাহ। স্বনামখ্যাত সুপণ্ডিত স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সরস্বতী মহাশয়ের কৃপায়] এসিয়াটিক্ সোসাইটীর পত্রিকায় এবং [একটি বাঙ্গালা প্রবন্ধে] ‘সাহিত্য’ পত্রে মুদ্রিত হইয়াছে।
{{gap}}সেই অনধিকারীর নাম এখনও অপরিজ্ঞাত রহিয়া গিয়াছে। কিন্তু তিনি ৮৮৮ শকাব্দায় [৯৬৬ খৃষ্টাব্দে] বরেন্দ্রমণ্ডলে শিবমন্দির প্রতিষ্ঠিত করিয়া, আপনাকে “কাম্বোজাম্বয়জ গৌড়পতি” বলিয়া প্রস্তরস্তম্ভে যে শ্লোক উৎকীর্ণ করাইয়াছিলেন, সেই শ্লোক-সংযুক্ত প্রস্তর-স্তম্ভটি অদ্যাপি বরেন্দ্রমণ্ডলেই [দিনাজপুরাধিপতির উদ্যান মধ্যে] বর্ত্তমান আছে। তাহার সহিত বাঙ্গালীর ইতিহাসের সম্বন্ধ কি, “গৌড়রাজমালায়” তাহা বিস্তৃতভাবে ব্যাখ্যাত হইয়াছে। এইরূপে বাঙ্গালীর ইতিহাসে,—পালরাজবংশের অধিকারকালে,—কাম্বোজাম্বয়জ [আগন্তুক] গৌড়পতির সন্ধান-লাভের পর, অনুসন্ধান-সমিতির সুযোগ্য সম্পাদক মহাশয় সেই নবাবিষ্কৃত ঐতিহাসিক সমাচার একটি ইংরাজী প্রবন্ধে লিপিবদ্ধ করিয়াছিলেন। তাহ। স্বনামখ্যাত সুপণ্ডিত স্যর আশুতোষ মুখোপাধ্যায় সরস্বতী মহাশয়ের কৃপায়] এসিয়াটিক্ সোসাইটীর পত্রিকায় এবং [একটি বাঙ্গালা প্রবন্ধে] ‘সাহিত্য’ পত্রে মুদ্রিত হইয়াছে।


{{gap}}দ্বিতীয় ভাগে যে প্রজা-বিদ্রোহ উল্লিখিত হইয়াছে, তাহা পাল-রাজবংশের পঞ্চদশ নরপাল কুমারপালের প্রধান মন্ত্রী [কামরূপাধিপতি] বৈদ্যদেবের [কমৌলীতে আবিষ্কৃত] তাম্রশাসনের একটি শ্লোকে সূচিত হইয়াছিল। ভীমকে নিহত করিবার পর, বরেন্দ্রীর [জনকভূর] পুনরুদ্ধার-সাধনের কথা এই শ্লোকে রামপালদেবের প্রধান কীর্ত্তি-কথা বলিয়া উল্লিখিত থাকিতেও, অধ্যাপক ভিনিস, তাহার ব্যাখ্যাকালে, “জনকভূমিকে” মিথিলা বলিয়া ব্যাখ্যা করায়, বাঙ্গালীর ইতিহাসের এই উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি তমসাচ্ছন্ন চইয়া পড়িয়াছিল। বরেন্দ্রমণ্ডলে এখনও এই
{{gap}}দ্বিতীয় ভাগে যে প্রজা-বিদ্রোহ উল্লিখিত হইয়াছে, তাহা পাল-রাজবংশের পঞ্চদশ নরপাল কুমারপালের প্রধান মন্ত্রী [কামরূপাধিপতি] বৈদ্যদেবের [কমৌলীতে আবিষ্কৃত] তাম্রশাসনের একটি শ্লোকে সূচিত হইয়াছিল। ভীমকে নিহত করিবার পর, বরেন্দ্রীর [জনকভূর] পুনরুদ্ধার-সাধনের কথা এই শ্লোকে রামপালদেবের প্রধান কীর্ত্তি-কথা বলিয়া উল্লিখিত থাকিতেও, অধ্যাপক ভিনিস্, তাহার ব্যাখ্যাকালে, “জনকভূমিকে” মিথিলা বলিয়া ব্যাখ্যা করায়, বাঙ্গালীর ইতিহাসের এই উল্লেখযোগ্য ঘটনাটি তমসাচ্ছন্ন চইয়া পড়িয়াছিল। বরেন্দ্রমণ্ডলে এখনও এই