পাতা:সুকুমার রায় রচনাবলী-প্রথম খণ্ড.djvu/২১৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:

<section begin="A214" />আর গোটা কুকুরটাই যদি ভজুর হয়, তবে রামার আর থাকিল কি? কুকুর হইতে কুকুর বাদ দিলে বাকি রইল শূন্যি!
<section begin="A214" />আর গোটা কুকুরটাই যদি ভজুর হয়, তবে রামার আর থাকিল কি? কুকুর হইতে কুকুর বাদ দিলে বাকি রইল শূন্যি!


{{gap}}এখন তোমরা যদি ইহার মীমাংসা করিয়া দাও।
{{gap}}এখন তোমরা যদি ইহার মীমাংসা করিয়া দাও।
৫ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
{{right|সন্দেশ—১৩২৫}}
{{right|সন্দেশ—১৩২৫}}


<section end="A214" />

<section end="A214" />
<section begin="B214" />{{right|{{larger|'''উকিলের বুদ্ধি'''}}
<section begin="B214" />{{right|{{larger|'''উকিলের বুদ্ধি'''}}}}


{{gap}}গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে পঁচিশ টাকা নিয়েছিল, সুদে আসলে তাই এখন পাঁচশো টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষএকশো টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, “পাঁচশো টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পার তো জেলে যাও।” সতরাং চাষার আর রক্ষা নেই।
{{gap}}গরিব চাষা, তার নামে মহাজন নালিশ করেছে। বেচারা কবে তার কাছে পঁচিশ টাকা নিয়েছিল, সুদে আসলে তাই এখন পাঁচশো টাকায় দাঁড়িয়েছে। চাষা অনেক কষ্টে একশো টাকা জোগাড় করেছে; কিন্তু মহাজন বলছে, “পাঁচশো টাকার এক পয়সাও কম নয়; দিতে না পার তো জেলে যাও।” সতরাং চাষার আর রক্ষা নেই।

এমন সময় শামলা-মাথায়, চশমা-চোখে তুখোড়-বৃদ্ধি উকিল এসে বলল, “ঐ একশো টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।” চাষা তার হাতে ধরলো, পায়ে ধরলো, বলল, “আমায় বাঁচিয়ে দিন।" উকিল বলল, “তবে শোন,
{{gap}}এমন সময় শাম্‌লা-মাথায়, চশমা-চোখে তুখোড়-বুদ্ধি উকিল এসে বলল, “ঐ একশো টাকা আমায় দিলে, তোমার বাঁচবার উপায় করতে পারি।” চাষা তার হাতে ধরলো, পায়ে ধরলো, বলল, “আমায় বাঁচিয়ে দিন।” উকিল বলল, “তবে শোন,
আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপ কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলকে, গাল দিক আর প্রশ্ন কর্ক, তুমি তার জবাবটি দেবে না—খালি পঠিার মতো ‘ব্যা—’ করবে। তা যদি করতে পার, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।” চাষা বলল, “আপনি কতা যা বলেন, তাতেই আমি রাজি ।”

আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি সাতবছর আগে পচিশটাকা কজ নিয়েছিলে ?” চাষা তার মাখের দিকে চেয়ে
{{missing image}}
সা.স.র—২৭ 을 이

<section end="B214" />
আমার ফন্দি বলি। যখন আদালতের কাঠগড়ায় গিয়ে দাঁড়াবে, তখন বাপু কথাটথা কয়ো না। যে যা খুশি বলুক, গাল দিক আর প্রশ্ন করুক, তুমি তার জবাবটি দেবে না—খালি পাঁঠার মতো ‘ব্যা—’ করবে। তা যদি করতে পার, তা হলে আমি তোমায় খালাস করিয়ে দেব।” চাষা বলল, “আপনি কর্তা যা বলেন, তাতেই আমি রাজি ।”

{{gap}}আদালতে মহাজনের মস্ত উকিল, চাষাকে এক ধমক দিয়ে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি সাতবছর আগে পঁচিশটাকা কর্জ নিয়েছিলে?” চাষা তার মুখের দিকে চেয়ে<section end="B214" />
পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):পাদটীকা (অন্তর্ভুক্ত হবে না):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{rh|সু.স. র.—২৭||২০৯}}