আরোগ্য (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর)/১০: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
প্রতিস্থাপন
Mahir256 (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৯ নং লাইন:
|প্রবেশদ্বার =
}}
<pages index="আরোগ্য-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu" from=23 to=24/>
<div style="padding-left:2em;">
<poem>
অলস সময়-ধারা বেয়ে
মন চলে শূন্য-পানে চেয়ে ।
সে মহাশূন্যের পথে ছায়া-আঁকা ছবি পড়ে চোখে ।
কত কাল দলে দলে গেছে কত লোকে
সুদীর্ঘ অতীতে
জয়োদ্ধত প্রবল গতিতে ।
এসেছে সাম্রাজ্যলোভী পাঠানের দল ,
এসেছে মোগল ;
বিজয়রথের চাকা
উড়ায়েছে ধূলিজাল , উড়িয়াছে বিজয়পতাকা ।
শূন্যপথে চাই ,
আজ তার কোনো চিহ্ন নাই ।
নির্মল সে নীলিমায় প্রভাতে ও সন্ধ্যায় রাঙালো
যুগে যুগে সূর্যোদয় সূর্যাস্তের আলো ।
আরবার সেই শূন্যতলে
আসিয়াছে দলে দলে
লৌহবাঁধা পথে
অনলনিশ্বাসী রথে
প্রবল ইংরেজ ,
বিকীর্ণ করেছে তার তেজ ।
জানি তারো পথ দিয়ে বয়ে যাবে কাল ,
কোথায় ভাসায়ে দেবে সাম্রাজ্যের দেশবেড়া জাল ;
জানি তার পণ্যবাহী সেনা
জ্যোতিষ্কলোকের পথে রেখামাত্র চিহ্ন রাখিবে না ।
মাটির পৃথিবী-পানে আঁখি মেলি যবে
দেখি সেথা কলকলরবে
বিপুল জনতা চলে
নানা পথে নানা দলে দলে
যুগ যুগান্তর হতে মানুষের নিত্য প্রয়োজনে
জীবনে মরণে ।
ওরা চিরকাল
টানে দাঁড় , ধরে থাকে হাল ,
ওরা মাঠে মাঠে
বীজ বোনে , পাকা ধান কাটে ।
ওরা কাজ করে
নগরে প্রান্তরে ।
রাজছত্র ভেঙে পড়ে , রণডঙ্কা শব্দ নাহি তোলে ,
জয়স্তম্ভ মূঢ়সম অর্থ তার ভোলে ,
রক্তমাখা অস্ত্র হাতে যত রক্ত-আঁখি
শিশুপাঠ্য কাহিনীতে থাকে মুখ ঢাকি ।
ওরা কাজ করে
দেশে দেশান্তরে ,
অঙ্গ-বঙ্গ-কলিঙ্গের সমুদ্র-নদীর ঘাটে ঘাটে ,
পঞ্জাবে বোম্বাই-গুজরাটে ।
গুরুগুরু গর্জন গুন্‌গুন্‌ স্বর
দিনরাত্রে গাঁথা পড়ি দিনযাত্রা করিছে মুখর ।
দুঃখ সুখ দিবসরজনী
মন্দ্রিত করিয়া তোলে জীবনের মহামন্ত্রধ্বনি ।
শত শত সাম্রাজ্যের ভগ্নশেষ- ' পরে
ওরা কাজ করে ।
 
 
</poem>
</div>
 
[[বিষয়শ্রেণী:কবিতা]]
[[বিষয়শ্রেণী:আরোগ্য]]