পাতা:প্রবাসী (অষ্টবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৫৫৭: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

AC TC
সম্পাদনা সারাংশ নেই
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১৯ নং লাইন: ১৯ নং লাইন:
{{gap}}এই সময়ে উক্ত দেশীয় পাদরীর “{{TC|ষড়দর্শন সংগ্রহ|ষড়দর্শন সংগ্রহ}}” গ্রন্থ এবং ডাক্তার রাজেন্দ্রলালের “বিবিধার্থ সংগ্রহ” নামক মাসিক পত্র প্রকাশিত হয়। বিবিধার্থ সংগ্রহের ভাষা—“আমরা পল্লিবাসীজনের প্রতি অমর্ষাম্বিত হইয়া দুর্ব্বল পরামর্শ পক্ষের উল্লেখ করিতেছি; কিন্তু তাহাই যে সর্ব্বত্রেরই রীতি হউক এমন আমাদের অভিসন্ধি নহে।” এই বিবিধার্থ সংগ্রহ ভিন্ন ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল “{{TC|রহস্য সন্দর্ভ|রহস্য সন্দর্ভ}},” “{{TC|পত্র কৌমুদী|পত্র কৌমুদী}},” “{{TC|শিবাজীর জীবনী|শিবাজীর জীবনী}},” “{{TC|মিবারের ইতিহাস|মিবারের ইতিহাস}}” প্রভৃতি অনেক গ্রন্থ লিখিয়া গিয়াছেন। ইনি, বাঙ্গলা, সংস্কৃত, হিন্দী, পার্সী, ঊর্দ্দূ, ইংরাজী, গ্ৰীক্, লাটীন, ফরাসী, জার্ম্মান প্রভৃতি বহুবিধ ভাষায় ব্যুৎপন্ন ছিলেন।
{{gap}}এই সময়ে উক্ত দেশীয় পাদরীর “{{TC|ষড়দর্শন সংগ্রহ|ষড়দর্শন সংগ্রহ}}” গ্রন্থ এবং ডাক্তার রাজেন্দ্রলালের “বিবিধার্থ সংগ্রহ” নামক মাসিক পত্র প্রকাশিত হয়। বিবিধার্থ সংগ্রহের ভাষা—“আমরা পল্লিবাসীজনের প্রতি অমর্ষাম্বিত হইয়া দুর্ব্বল পরামর্শ পক্ষের উল্লেখ করিতেছি; কিন্তু তাহাই যে সর্ব্বত্রেরই রীতি হউক এমন আমাদের অভিসন্ধি নহে।” এই বিবিধার্থ সংগ্রহ ভিন্ন ডাক্তার রাজেন্দ্রলাল “{{TC|রহস্য সন্দর্ভ|রহস্য সন্দর্ভ}},” “{{TC|পত্র কৌমুদী|পত্র কৌমুদী}},” “{{TC|শিবাজীর জীবনী|শিবাজীর জীবনী}},” “{{TC|মিবারের ইতিহাস|মিবারের ইতিহাস}}” প্রভৃতি অনেক গ্রন্থ লিখিয়া গিয়াছেন। ইনি, বাঙ্গলা, সংস্কৃত, হিন্দী, পার্সী, ঊর্দ্দূ, ইংরাজী, গ্ৰীক্, লাটীন, ফরাসী, জার্ম্মান প্রভৃতি বহুবিধ ভাষায় ব্যুৎপন্ন ছিলেন।


{{gap}}এইরূপে ক্রমশঃ উন্নতিলাভ করিয়া ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বঙ্গসাহিত্য বিশেষ প্রকারে শ্রীসম্পন্ন হইয়াছিল। এই সময়ে পণ্ডিত {{TC|মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার}} বঙ্গভাষার উন্নতিসাধনে সবিশেষ যত্নপর হয়েন। তাঁহার “শিশুশিক্ষা” তিন ভাগ প্রকাশিত হইয়া প্রথম শিক্ষার্থী বাঙ্গালী বালকগণের বিশেষ উপকারে আইসে। মদনমোহন “সর্ব্ব শুভঙ্করী” নাম্নী একখানা মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত করেন। এতদ্ব্যতীত তাঁহার রচিত “রসতরঙ্গিণী”, “বাসবদত্তা” প্রভৃতি পদ্যকাব্য তৎকালে বঙ্গ সাহিত্যের শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছিল।
{{gap}}এইরূপে ক্রমশঃ উন্নতিলাভ করিয়া ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বঙ্গসাহিত্য বিশেষ প্রকারে শ্রীসম্পন্ন হইয়াছিল। এই সময়ে পণ্ডিত {{AC|মদনমোহন তর্কালঙ্কার|মদনমোহন তর্কালঙ্কার}} বঙ্গভাষার উন্নতিসাধনে সবিশেষ যত্নপর হয়েন। তাঁহার “শিশুশিক্ষা” তিন ভাগ প্রকাশিত হইয়া প্রথম শিক্ষার্থী বাঙ্গালী বালকগণের বিশেষ উপকারে আইসে। মদনমোহন “সর্ব্ব শুভঙ্করী” নাম্নী একখানা মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত করেন। এতদ্ব্যতীত তাঁহার রচিত “রসতরঙ্গিণী”, “বাসবদত্তা” প্রভৃতি পদ্যকাব্য তৎকালে বঙ্গ সাহিত্যের শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছিল।


{{gap}}ইহার পরই গুপ্ত কবির কাল। সে সময় কবিবর {{TC|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বর গুপ্ত}} বাঙ্গলা সাহিত্যে কিরূপ প্রভাব সম্পন্ন হইয়াছিলেন তাহা {{TC|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|বঙ্কিমবাবু}} প্রভৃতি তাঁহার শিষ্যগণের প্রভাবেই পরিলক্ষিত হইতে পারে।
{{gap}}ইহার পরই গুপ্ত কবির কাল। সে সময় কবিবর {{AC|ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত|ঈশ্বর গুপ্ত}} বাঙ্গলা সাহিত্যে কিরূপ প্রভাব সম্পন্ন হইয়াছিলেন তাহা {{AC|বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়|বঙ্কিমবাবু}} প্রভৃতি তাঁহার শিষ্যগণের প্রভাবেই পরিলক্ষিত হইতে পারে।