পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/৮৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

→‎মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি: "& 8 রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ । নৌকাযোগে গৃহাভিম..." দিয়ে পাতা
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৯:৫৫, ২২ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

& 8 রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ । নৌকাযোগে গৃহাভিমুখে যাত্রা করিলোম। পরদিন হইতেই শরীর মুস্থ হইতে আরম্ভ হইল।” - এখন মফস্বল হইতে পীড়িত হইয়া লোকে স্বস্থ হইবার জন্ত কলিকাতা নগরীতে আগমন করে ; তখন কলিকাতাতে দুইমাস থাকিলেই লোকের শরীর ভগ্ন হইত এবং কলিকাতা হইতে বাহির হইলে তৎপর দিনই শরীর সুস্থ হইতে আরম্ভ হইত ! সে সময়ে কলিকাতার যে অবস্থা ছিল তাহাতে এরূপ ঘটনা কিছুই বিচিত্র ছিল না। তখন জলের কল ছিল না ; প্রত্যেক ভবনে এক একটা কূপ ও প্রত্যেক পল্লীতে দুই চারিট পুষ্করিণী ছিল। এই সকল পচা দুৰ্গন্ধময় জলপূর্ণ পুষ্করিণীতে কলিকাতা পরিপূর্ণ ছিল। অনুমান করি, যখন কলিকাতার পত্তন হয় তখন বর্তমান রাজধানীর আদিম স্থানে দুই একটা ক্ষুদ্র গ্রাম ভিন্ন সমগ্র স্থান ধানের ক্ষেত ছিল । সহর যেমন বাড়িয়াছে লোকে ধানের ক্ষেতে পুষ্করিণী খনন করিয়া করিয়া বাস্তু ভিটা প্রস্তুত করিয়াছে। এইরূপে প্রত্যেক গৃহস্থের গৃহের সঙ্গে সঙ্গে এক একটী ক্ষুদ্র পুষ্করিণী হইয়াছে। এই অনুমানের আর একট প্রমাণ এই যে উক্ত পুষ্করিণী সকল সহরের পূৰ্ব্বাংশেই অধিক পরিমাণে দৃষ্ট হইত ; কারণ সুতানুটী, গোবিন্দপুর প্রভৃতি আদিম গ্রাম সকল নদী পাশ্বেই অবস্থিত ছিল ; সেখানে অধিক পুষ্করিণীর প্রয়োজন ছিল না । এই পুষ্করিণী গুলি জরের উৎস স্বরূপ ছিল। এতদ্ভিন্ন গবর্ণমেণ্ট স্থানে স্থানে কয়েকটা দীঘিকা খনন করিয়াছিলেন, তাহাতে কাহাকেও স্বান করিতে দিতেন না ; সেইগুলি লোকের পানাৰ্থ ছিল। তন্মধ্যে লালদিঘী সৰ্ব্বপ্রধান ছিল। উড়িয়া ভারিগণ ঐ জল বহন করিয়া গৃহে গৃহে যোগাইত। যখন জলের এই প্রকার ছয়বস্থা তুখন অপরদিকে সহরের বহিরাকৃতি অতি ভয়ঙ্কর ছিল। এখনকার ফুটপাথের পরিবর্তে প্রত্যেক রাজপথের পাশ্বে এক একটা সুবিস্তীর্ণ নৰ্দ্দাম ছিল। কোন কোনও নর্দামার পরিসর আট দশ হাতের অধিক ছিল। ঐ সকল নর্দাম কর্দম ও পঙ্কে এরূপ পূর্ণ থাকিত, যে একবার একটা ক্ষিপ্ত হস্তী ঐরুপ একটা নর্দামাতে পড়িয়া প্রায় অৰ্দ্ধেক প্রোথিত হইয়া যায়, অতি কষ্টে তাহাকে তুলিতে হইয়াছিল। এই সকল নর্দাম হইতে যে দুৰ্গন্ধ উঠিত তাহাকে বৰ্দ্ধিত ও ঘনীভূত করিবার জন্তই যেন প্রতি গৃহেই পথের পাশ্বে এক একটা শৌচাগার ছিল। তাহাদেম অনেকের মুখ দিন রাত্রি অনাবৃত থাকিত। নাসারন্ধ, উত্তমরূপে বস্ত্রদ্বারা আবৃত না করিয়া সেই সকল পথ দিয়া চলিতে পারা যাইত না । মাছি ও মশার উপদ্রবে দিন রাত্রির