পাতা:Intermediate Bengali Selections.pdf/৪৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

SumitaBot (আলোচনা | অবদান)
বট গুগল ওসিআর থেকে প্রাপ্ত লেখা যোগ করছে
 
Kaushik sur (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
২৬ সুশিক্ষিত ও অশিক্ষিত লোকের সুখের তারতম্য
২৬ সুশিক্ষিত ও অশিক্ষিত লোকের সুখের তারতম্য

পিতৃ-পিতামহাদি পূৰ্বপুরুষেরা যে প্ৰাচীন পথ অবলম্বন করিয়া চলিতেছেন, তাহাই সেই ব্যক্তির মতে সৰ্বোত্তম। তাহ নিতান্ত যুক্তি-বিরুদ্ধ ও একান্ত অসঙ্গত হইলেও, তাহার অভিপ্ৰায় পরিবর্তনসহ নয়। স্বজাতির দোষদর্শন ও অপর জাতির গুণাবলোকনবিষয়ে তাহার নিমীলিত নেত্ৰ উল্মীলিত হইবার নয়। তাহার মতানুসারে আমাদের বুদ্ধিরও আর উন্নতি হইবে না, বিদ্যারও আর উন্নতি হইবে না, ধৰ্ম্মেরও আর উন্নতি হুইবে না, সুখেরও আর উন্নতি হইবে না। তাহার বিশ্বাস এই, আমরা সৰ্ব্বাপেক্ষ অপকৃষ্ট যুগে জন্মগ্রহণ করিয়াছি, অতএব উত্তরোত্তর অধোগতি প্ৰাপ্ত হইতে থাকিব ।
পিতৃ-পিতামহাদি পূর্ব্বপুরুষেরা যে প্ৰাচীন পথ অবলম্বন করিয়া চলিতেছেন, তাহাই সেই ব্যক্তির মতে সর্ব্বোত্তম। তাহা নিতান্ত যুক্তি-বিরুদ্ধ ও একান্ত অসঙ্গত হইলেও, তাহার অভিপ্ৰায় পরিবর্ত্তনসহ নয়। স্বজাতির দোষদর্শন ও অপর জাতির গুণাবলোকনবিষয়ে তাহার নিমীলিত নেত্ৰ উন্মীলিত হইবার নয়। তাহার মতানুসারে আমাদের বুদ্ধিরও আর উন্নতি হইবে না, বিদ্যারও আর উন্নতি হইবে না, ধৰ্ম্মেরও আর উন্নতি হইবে না, সুখেরও আর উন্নতি হইবে না। তাহার বিশ্বাস এই, আমরা সৰ্ব্বাপেক্ষা অপকৃষ্ট যুগে জন্মগ্রহণ করিয়াছি, অতএব উত্তরোত্তর অধোগতি প্ৰাপ্ত হইতে থাকিব ।
করুণাময় পরমেশ্বর বিশ্বরাজ্য-পরিপালনার্থ যে সমস্ত মঙ্গলময় নিয়ম সংস্থাপন করিয়া সৰ্ব্বত্র প্রচার করিয়া রাখিয়াছেন, অশিক্ষিত ব্যক্তি সে সমুদায় অবগত নয়। তাহার অজ্ঞানাবৃত অন্তঃকরণ সৰ্ব্বস্থানেই নানা বিভীষিকা কল্পনা করে। ভূত, প্ৰেত, পিশাচ ইত্যাদি অবাস্তবিক পদার্থ তাহার হৃদয়-ক্ষেত্রে নিরন্তর বিচরণ করে। সে ব্যক্তি সদাই শঙ্কিত, নিয়তই উৎকষ্ঠিত এবং কত প্ৰকার কুসংস্কারপাশে বদ্ধ হইয়া থাকে। শুভাশুভ দিন-ক্ষণ তাহান্স কতই আশঙ্কা ও কতই উদ্বেগ উৎপাদন করে। বিহঙ্গ-বিশেষের স্বরবিশেষই বা কত ত্ৰাস ও কত উৎকণ্ঠ উপস্থিত করে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই ষে, সমস্ত অসত্য বিষয়ে তাহার যেরূপ বিশ্বাস আছে, তাহা কদাচ বিচলিত হইবার নয় ; কিন্তু বিজ্ঞানের অনুশীলন দ্বারা যে সমস্ত যথার্থবিষয় নিরূপিত হইয়াছে ও যে সকল অভিনব তত্ত্ব উদ্ভাবিত হইয়াছে, তাহাতে তাহার প্রত্যয় জন্মান সুকঠিন কৰ্ম্ম । লঙ্কাদ্বীপ মানুষ্যের নিবাস-ভূমি ও সকলেরই গম্য স্থান, ভূ-মণ্ডলের
করুণাময় পরমেশ্বর বিশ্বরাজ্য-পরিপালনার্থ যে সমস্ত মঙ্গলময় নিয়ম সংস্থাপন করিয়া সৰ্ব্বত্র প্রচার করিয়া রাখিয়াছেন, অশিক্ষিত ব্যক্তি সে সমুদায় অবগত নয়। তাহার অজ্ঞানাবৃত অন্তঃকরণ সৰ্ব্বস্থানেই নানা বিভীষিকা কল্পনা করে। ভূত, প্ৰেত, পিশাচ ইত্যাদি অবাস্তবিক পদার্থ তাহার হৃদয়-ক্ষেত্রে নিরন্তর বিচরণ করে। সে ব্যক্তি সদাই শঙ্কিত, নিয়তই উৎকণ্ঠিত এবং কতপ্ৰকার কুসংস্কারপাশে বদ্ধ হইয়া থাকে। শুভাশুভ দিন-ক্ষণ তাহার কতই আশঙ্কা ও কতই উদ্বেগ উৎপাদন করে। বিহঙ্গ-বিশেষের স্বরবিশেষই বা কত ত্ৰাস ও কত উৎকণ্ঠা উপস্থিত করে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই ষে, সমস্ত অসত্য বিষয়ে তাহার যেরূপ বিশ্বাস আছে, তাহা কদাচ বিচলিত হইবার নয় ; কিন্তু বিজ্ঞানের অনুশীলন-দ্বারা যে সমস্ত যথার্থ বিষয় নিরূপিত হইয়াছে ও যে সকল অভিনব তত্ত্ব উদ্ভাবিত হইয়াছে, তাহাতে তাহার প্রত্যয় জন্মান সুকঠিন কৰ্ম্ম । লঙ্কাদ্বীপ মনুষ্যের নিবাস-ভূমি ও সকলেরই গম্য স্থান, ভূ-মণ্ডলের