পাতা:রামতনু লাহিড়ী ও তৎকালীন বঙ্গসমাজ.djvu/২৯৪: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

Taheralmahdi (আলোচনা | অবদান)
Taheralmahdi (আলোচনা | অবদান)
পাতার অবস্থাপাতার অবস্থা
-
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি
+
মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে
পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):পাতার প্রধান অংশ (পরিলিখিত হবে):
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
পারা যাইবে না। ১৮৫৬ সালের মধ্যে নীলকরদিগের অত্যাচারের কথা কর্তৃপক্ষের ও কলিকাতাবাসী ইংরাজগণের কর্ণগোচর হওয়াতে সেই মনের ভাব প্রবল হইয়া উঠে। তদনুসারে ১৭৫৭ সালের জানুয়ারি মাসে, কলিকাতা হাইকোর্টের চীফ জষ্টিস্ সুপ্রসিদ্ধ সার বার্ণেল পীকক্‌ গবর্ণর জেনারেলের মন্ত্রিসভাতে কোম্পানির মফস্বলস্থ ফৌজদারি আদালতের এলাকা বৰ্দ্ধিত করিবার ও ইংরাজগণকে তদধীন করিবার উদ্দেশ্যে এক বিল উপস্থিত করেন। ইহাতে ইংরাজগণের মধ্যে আবার এক আন্দোলন উপস্থিত হয়। কিন্তু এবারে তাহারা কোম্পানির আদালতের অধীন হইব না, এই রবটী না তুলিয়া, এদেশীয় বিচারকদিগের বিচারাধীন হইব না, এবং ইংরাজ জুরির সহায়তা ভিন্ন তাহাদের বিচার হইবে না, এই বাণী ধরিলেন। ইহা কতকটা ইলবার্ট বিলের আন্দোলনের ন্যায়। ইংরাজদিগের চেম্বর অব কমার্স, ট্রেভূল এসোসিএসন, ইণ্ডিগো প্লান্টার্স এসোসিএশন প্রভৃতি সমুদয় সভা এই আন্দোলনে যোগ দিরা টাউনহলে এক প্রকাণ্ড সভা করিলেন। রামগোপাল ঘোষ প্রভৃতি ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিএশনের প্রধান প্রধান সভ্যগণ এই আন্দোলনের প্রতি উদাসীন থাকিলেন না । তাহায়া হরিশের ও হিন্দু পেট্টিয়টের সাহায্যে দেশের লোককে জাগ্ৰত করিয়া তুলিলেন। দেশের মন্তি গণ্য সমুদয় শিক্ষিত ব্যক্তি সমবেত হইয়া ১৮৫৭ সালের এপ্রেল মাসে টাউন হলে এক সভা করিলেন। ঐ সভাতে কোর্ট অব ডাইরেক্টারদিগের নিকটে প্রেরণের জন্ত এক আবেদন পত্র গুহীত হইল। সে আবেদন পত্রে ১৮০০ লোকের স্বাক্ষর হইয়াছিল। কিন্তু তৎপরেই মিউটনীর হাঙ্গামা উপস্থিত হওয়াতে তৎপরবর্তী নবেম্বর মাসের পূৰ্ব্বে তাহ "যথাস্থানে প্রেরণ করা হয় নাই। এদেশীয়দিগের আবেদন পত্রের দশা যাহা হয়, ঐ আবেদন পত্রের দশাও তাহাই হইয়াছিল। রাজস্থা বাহা ভাল বুঝিলের তাহাই করিলেন, আবেদনকান্ধীদিগের ফেউ ফেউ করা সার হইল। এপ্রেল মাসে টাউনহলে যে সভা হয়, তাহার উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে স্ববিখ্যাত বাগ্মী জর্জ টমসন সাহেবের উপস্থিতি একটা বিশেষ ঘটনা। তিনি ঐ সালে আবার একবার এদেশে আমিরাছিলেন। তৎপরে বোধ হয় মিউটনীর গোলমাল উপস্থিত হওয়াতে নিজ কার্ধ্যসাধনের সুযোগ দেখিয়া দেশে ফিরিয়া যান । g
পারা যাইবে না। ১৮৫৬ সালের মধ্যে নীলকরদিগের অত্যাচারের কথা কর্তৃপক্ষের ও কলিকাতাবাসী ইংরাজগণের কর্ণগোচর হওয়াতে সেই মনের ভাব প্রবল হইয়া উঠে। তদনুসারে ১৭৫৭ সালের জানুয়ারি মাসে, কলিকাতা হাইকোর্টের চীফ জষ্টিস্ সুপ্রসিদ্ধ সার বার্ণেস পীকক্‌ গবর্ণর জেনারেলের মন্ত্রিসভাতে কোম্পানির মফস্বলস্থ ফৌজদারি আদালতের এলাকা বৰ্দ্ধিত করিবার ও ইংরাজগণকে তদধীন করিবার উদ্দেশ্যে এক বিল উপস্থিত করেন। ইহাতে ইংরাজগণের মধ্যে আবার এক আন্দোলন উপস্থিত হয়। কিন্তু এবারে তাহারা কোম্পানির আদালতের অধীন হইব না, এই রবটী না তুলিয়া, এদেশীয় বিচারকদিগের বিচারাধীন হইব না, এবং ইংরাজ জুরির সহায়তা ভিন্ন তাহাদের বিচার হইবে না, এই বাণী ধরিলেন। ইহা কতকটা ইলবার্ট বিলের আন্দোলনের ন্যায়। ইংরাজদিগের চেম্বর অব কমার্স, ট্রেড্‌স এসোসিএসন, ইণ্ডিগো প্লান্টার্স এসোসিএশন প্রভৃতি সমুদয় সভা এই আন্দোলনে যোগ দিয়া টাউনহলে এক প্রকাণ্ড সভা করিলেন। রামগোপাল ঘোষ প্রভৃতি ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান এসোসিএশনের প্রধান প্রধান সভ্যগণ এই আন্দোলনের প্রতি উদাসীন থাকিলেন না। তাহারা হরিশের ও হিন্দু পেট্টিয়টের সাহায্যে দেশের লোককে জাগ্ৰত করিয়া তুলিলেন। দেশের মান্য গণ্য সমুদয় শিক্ষিত ব্যক্তি সমবেত হইয়া ১৮৫৭ সালের এপ্রেল মাসে টাউন হলে এক সভা করিলেন। ঐ সভাতে কোর্ট অব ডাইরেক্টারদিগের নিকটে প্রেরণের জন্য এক আবেদন পত্র গৃহীত হইল। সে আবেদন পত্রে ১৮০০ লোকের স্বাক্ষর হইয়াছিল। কিন্তু তৎপরেই মিউটনীর হাঙ্গামা উপস্থিত হওয়াতে তৎপরবর্ত্তী নবেম্বর মাসের পূৰ্ব্বে তাহা যথাস্থানে প্রেরণ করা হয় নাই। এদেশীয়দিগের আবেদন পত্রের দশা যাহা হয়, ঐ আবেদন পত্রের দশাও তাহাই হইয়াছিল। রাজরা বাহা ভাল বুঝিলেন তাহাই করিলেন, আবেদনকারীদিগের ফেউ ফেউ করা সার হইল। এপ্রেল মাসে টাউনহলে যে সভা হয়, তাহার উল্লেখযোগ্য বিষয়ের মধ্যে সুবিখ্যাত বাগ্মী জর্জ টমসন সাহেবের উপস্থিতি একটা বিশেষ ঘটনা। তিনি ঐ সালে আবার একবার এদেশে আসিয়াছিলেন। তৎপরে বোধ হয় মিউটনীর গোলমাল উপস্থিত হওয়াতে নিজ কার্ধ্যসাধনের সুযোগ না দেখিয়া দেশে ফিরিয়া যান।

পূৰ্ব্বেই বলিয়াছ এই কালের একজন প্রধান পুরুষ ছিলেন
{{gap}}পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি এই কালের একজন প্রধান পুরুষ ছিলেন