পাতা:রাজর্ষি-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৪৩: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

→‎মুদ্রণ সংশোধন করা হয়নি: "8३ t রাজর্ষি রাজা বলিলেন, “তুমি আমারই কাছে থাকে, আর কোথাও য..." দিয়ে পাতা
(কোনও পার্থক্য নেই)

১৯:৩৫, ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8३ t রাজর্ষি রাজা বলিলেন, “তুমি আমারই কাছে থাকে, আর কোথাও যাইতে হইবে না— রঘুপতি তোমার কী করিবে ।” "R নক্ষত্ররায় রাজার হাত দৃঢ় করিয়া ধরিলেন, রঘুপতি র্তাহাকে টানিয়া লইবে বলিয়া আশঙ্কা হইতেছে । একাদশ পরিচ্ছেদ নক্ষত্ররায় রাজার হাত ধরিয়া অরণ্যের মধ্য দিয়া যখন গৃহে ফিরিয়} আসিতেছেন তখনও আকাশ হইতে অল্প অল্প আলো আসিতেছিল, কিন্তু অরণ্যের নীচে অত্যন্ত অন্ধকার হইয়াছে । যেন অন্ধকারের বদ্যা আসিয়াছে, কেবল গাছগুলোর মাথা উপরে জাগিয়া আছে । ক্রমে তাহাও ডুবিয়া যাইবে— তখন অন্ধকারে পূর্ণ হইয়া আকাশে পৃথিবীতে এক হইয়া যাইবে । প্রাসাদের পথে না গিয়া রাজা মন্দিরের দিকে গেলেন । মন্দিরের সন্ধ্যা-আরতি সমাপন করিয়া একটি দীপ জালিয় রঘুপতি ও জয়সিংহ কুটিরে বসিয়া আছেন। উভয়েই নীরবে আপন আপন ভাবনা লইয়} আছেন। দীপের ক্ষীণ আলোকে কেবল র্তাহাদের দুই জনের মুখের অন্ধকার দেখা যাইতেছে। নক্ষত্ররায় রঘুপতিকে দেখিয়া মুখ তুলিতে পাৰিলেৰ না ; রাজার ছায়ায় দাড়াইয়া মাটির দিকে চাহিয়া রছিলেন— রাজা তাহাকে পাশে টানিয়া লইয়া দৃঢ়রূপে তাহার হাত ধরিয়া দাড়াইলেন ও স্থিরনেত্রে রঘুপতির মুখের দিকে একবার চাহিলেন ; রঘুপতি তীব্র দৃষ্টিতে নক্ষত্ররায়ের প্রতি কটাক্ষপাত করিলেন। অবশেষে রাজা রঘুপতিকে প্ৰণাম করিলেন, নক্ষত্ররায়ও তাহার অনুসরণ করিলেন। রঘুপতি প্ৰণাম গ্রহণ করিয়া গভীরস্বরে কছিলেন, “জয়োপ্ত— রাজ্যের কুশল ?” রাজা একটুখানি থামিয়া বলিলেন,(ঠাকুর, আশীর্বাদ করুন, রাজ্যের ம்ே