লেখক:মুকুন্দরাম চক্রবর্তী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩ নং লাইন:
|শেষ_নাম = চক্রবর্তী
|প্রথম_আদ্যক্ষর = ম
|জন্মের_বছর = ১৫৪০
|মৃত্যুর_বছর =১৬০০
|বিবরণ =মধ্যযুগের বাঙালি কবি। ধারনা করা হয় তাঁর জন্ম ষোড়শ শতাব্দীর প্রথম দিকে। তাঁর বিখ্যাত কাব্য চণ্ডীমঙ্গলকাব্য। এর রচনাকাল ১৫৭৫ অব্দের কাছাকাছি সময় বলে বিবেচনা করা হয়। তিনি রাজা রঘুনাথের সমসাময়িক ছিলেন। রাজা রঘুনাথ তাকে কবি কঙ্কন উপাধি প্রদান করেন। তার পূর্ণ নাম হচ্ছে কবি কঙ্কন মুকুন্দরাম চক্রবর্তী। মুকুন্দরাম তার চন্ডীমঙ্গল কাব্যের নামকরণ করেন অভয়ামঙ্গল। তিনি তার কাব্যে উপন্যাসের বীজ বপন করেছেন। আধুনিক যুগের সাহিত্য সমালোচকগণ তার সম্পর্কে বলেছেন - মুকুন্দরাম চক্রবর্তী মধ্যযুগে জন্মগ্রহণ না করে আধুনিক যুগে জন্মগ্রহণ করলে কাব্য না লিখে উপন্যাস লিখতেন।দামন্যা—বধমান । হৃদয় মিশ্র। মিশ্র তাঁদের নবাব-দত্ত উপাধি। মসলমান ডিহিদার মামদে সরিপের অত্যাচারে উৎপীড়িত হয়ে সম্ভবত ১৫৭৫ খী, দামন্যা ছেড়ে মেদিনীপুরের আরত্না গ্রামের বাঁকুড়া রায়ের কাছে গেলে তিনি তাঁর কবিত্বশক্তির পরিচয় পেয়ে তাঁকে নিজ পত্রের শিক্ষাগর নিযুক্ত করেন। এখানেই বিদ্যালোচনায় মনোনিবেশ করে কিছুদিন পরে চণ্ডীমঙ্গল' কাব্যগ্রন্থ লিখে 'কবিকঙ্কণ উপাধি পান। গ্রন্থের রচনাকাল সম্ভবত ১৫৯৪ - ১৬০৬ খ্রী, মধ্যে। কর্ণরসের এই গ্রন্থটি প্রাচীন সমাজের একটি সবাঙ্গসুন্দর আলেখ্য। অনাড়শবর কবিত্ব-শক্তির প্রসাদে তাঁর কাব্যে উপন্যাসের বর্ণনা-নৈপুণ্য, নাটকের ঘটনা-সঙ্ঘাত এবং বিচিত্র জীবনরস প্রকাশলাভ করেছে। মধ্যযুগীয় বাংলা সাহিত্যে তিনি বিশেষ উচ্চাসন অধিকার করে আছেন।
}}