রাজসিংহ (১৮৮৫)/একাদশ পরিচ্ছেদ
একাদশ পরিচ্ছেদ।
এই সময়ে, একবার মাণিকলালের কথা পাড়িতে হইল।
মাণিকলাল রাণার নিকট হইতে বিদায় হইয়া, প্রথমে আবার সেই পর্ব্বতগুহায় ফিরিয়া গেল। আর সে দস্যুতা করিবে, এমত বাসনা ছিল না, কিন্তু পূর্ব্ববন্ধুগণ মরিল কি রাঁচিল তাহা দেখিবে না কেন? যদি কেহ একেবারে না মরিয়া থাকে তবে তাহার শুশ্রূষা করিয়া বাঁচাইতে হইবে। এই সকল ভাবিতে ভাবিতে মাণিকলাল গুহাপ্রবেশ করিল।
দেখিল, দুইজন মরিয়া পড়িয়া রহিয়াছে। যে কেবল মূর্চ্ছিত হইয়াছিল, সে সংজ্ঞালাভ করিয়া উঠিয়া কোথায় চলিয়া গিয়াছে। মাণিকলাল তখন বিষণ্ণচিত্তে বন হইতে একরাশি কাট ভাঙ্গিয়া আনিল— তদ্দ্বারা দুইটি চিতা রচনা করিয়া দুইটি মৃতদেহ তদুপরি স্থাপন করিল। গুহা হইতে প্রস্তর ও লৌহ বাহির করিয়া অগ্ন্যুৎপাদনপূর্ব্বক চিতায় আগুন দিল। এইরূপ সঙ্গীদিগের অন্তিমকার্য্য করিয়া সে স্থান হইতে চলিয়া গেল। পরে মনে করিল যে, যে ব্রাহ্মণকে পীড়ন করিয়াছিলাম, তাহার কি অবস্থা হইয়াছে, দেখিয়া আসি। যেখানে অনন্ত মিশ্রকে বাঁধিয়া রাখিয়াছিল, সেখানে আসিয়া দেখিল যে, সেখানে ব্রাহ্মণ নাই। দেখিল, স্বচ্ছসলিলা পার্ব্বত্যা নদীর জল একটু ময়লা হইয়াছে—এবং অনেক স্থানে বৃক্ষশাখা, লতা গুল্ম তৃণাদি ছিন্ন ভিন্ন হইয়াছে। এই সকল চিহ্নে মাণিকলাল মনে করিল যে, এখানে বোধ হয় অনেক লোক আসিয়াছিল। তার পর দেখিল, পাহাড়ের প্রস্তরময় অঙ্গেও কতকগুলি অশ্বের পদচিহ্ন লক্ষ্য করা যায়—বিশেষ অশ্বের ক্ষুরে যেখানে লতা গুল্ম কাটিয়া গিয়াছে, সেখানে অর্দ্ধ গোলাকৃত চিহ্ণ সকল স্পষ্ট। মাণিকলাল মনোযোগপূর্ব্বক বহুক্ষণ ধরিয়া নিরীক্ষণ করিয়া বুঝিল যে এখানে অনেকগুলি অশ্বারোহী আসিয়াছিল।
চতুর মাণিকলাল তাহার পর দেখিতে লাগিল অশ্বারোহিগণ কোন্দিক্ হইতে আসিয়াছে— কোন্দিকে গিয়াছে। দেখিল কতকগুলি চিহ্নের সম্মুখ দক্ষিণে—কতকগুলির সম্মুখ উত্তরে। কতকদূর মাত্র দক্ষিণ গিয়া চিহ্ন সকল আবার উত্তরমুখ হইয়াছে। ইহাতে বুঝিল অশ্বারোহিগণ উত্তর হইতে এই পর্য্যন্ত আসিয়া আবার উত্তরাংশে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়াছে।
এই সকল সিদ্ধান্ত করিয়া মাণিকলাল গৃহে গেল। সে স্থান হইতে মাণিকলালের গৃহ দুই তিন ক্রোশ। তথায় রন্ধন করিয়া আহারাদি সমাপনান্তে, কন্যাটিকে ক্রোড়ে লইল। তখন মাণিললাল ঘরে চাবি দিয়া কন্যা ক্রোড়ে নিষ্ক্রান্ত হইল।
মাণিকলালের কেহ ছিল না—কেবল এক পিসীর ননদের মায়ের খুল্লতাতপুত্ত্রী ছিল। সম্বন্ধ বড় নিকট—"সইয়ের বউয়ের বকুলফুলের—” ইত্যাদি। সৌজন্যবশতই হউক আর আত্মীয়তার সাধ মিটাইবার জন্যই হউক—মাণিকলাল তাহাকে পিসী বলিয়া ডাকিতেন।
মাণিকলাল কন্যা লইয়া সেই পিসীর বাড়ী গেল। ডাকিল,
“পিসী গা?”
পিসী বলিল, “কি বাছা মাণিকলাল! কি মনে করিয়া?”
মাণিকলাল বলিল, “আমার এই মেয়েটি রাখিতে পার পিসী?”
পিসী। কতক্ষণের জন্য?
মাণিক। এই দুমাস ছ মাসের জন্য?
পিসী। সে কি বাছা! আমি গরীব মানুষ—মেয়েকে খাওয়াব কোথা হইতে?
মাণিক। কেন পিসী মা, তুমি কিসের গরীব? তুমি কি নাতিনীকে দুমাস খাওয়াতে পার না?
পিসী। সে কি কথা? দুমাস একটা মেয়ে পুষিতে যে এক মোহর পড়ে।
মাণিক। আচ্ছা আমি সে এক মোহর দিতেছি—তুমি মেয়েটিকে দুমাস রাখ। “আমি উদয়পুরে যাইব—সেখানে আমি রাজসরকারে বড় চাকরি পাইয়াছি।”
এই বলিয়া মাণিকলাল, রানার প্রদত্ত আশরাফির মধ্যে একটা পিসীর সম্মুখে ফেলিয়া দিল; এবং কন্যাকে তাহার কাছে ছাড়িয়া দিয়া বলিল, “যা! তোর দিদির কোলে গিয়া বস্।”
পিসীঠাকুরাণী কিছু লোভে পড়িলেন। মনে মনে বিলক্ষণ জানিতেন যে, এক মোহরে ঐ শিশুর একবৎসর গ্রাসাচ্ছাদন চলিতে পারে—মাণিকলাল কেবল দুই মাসের করার করিতেছে। অতএব কিছু লাভের সম্ভাবনা। তার পর মাণিক রাজদরবারে চাকরি স্বীকার করিয়াছে—চাহি কি বড়মানুষ হইতে পারে, তা হইলে কি পিসীকে কখন কিছু দিবে না? মানুষটা হাতে থাকা ভাল।
পিসী তখন মোহরটা কুড়াইয়া লইয়া বলিল “তার আশ্চর্য্য কি বাছা—তোমার মেয়ে মানুষ করিব সে কি বড় ভারি কাজ! তুমি নিশ্চিন্ত থাক। আয় রে জান্ আয়!” বলিয়া পিসী কন্যাকে কোলে তুলিয়া লইল।
কন্যাসম্বন্ধে এইরূপ সন্দোবস্ত হইলে মাণিকলাল নিশ্চিত চিত্তে গ্রাম হইতে নির্গত হইল। কাহাকে কিছু না বলিয়া রূপনগরে যাইবার পার্ব্বত্যপথে আরোহণ করিল।
মাণিকলাল, এইরূপ বিচার করিতেছিল—ঐ অধিত্যকায় অনেকগুলি অশ্বারোহী আসিয়াছিল কেন? এখানে রাণাও একাকী ভ্রমিতে ছিলেন— কিন্তু উদয়পুর হইতে এতদূর রাণা, একাকী আসিবার সম্ভাবনা নাই। অতএব উহারা রাণার সমভিব্যাহারী অশ্বারোহী। তার পর, দেখা গেল উহারা উত্তর হইতে আসিয়াছে—উদয়পুর অভিমুখে যাইতেছিল— বোধ হয় রাণা মৃগয়া বা বনবিহারে গিয়া থাকিবেন—উদয়পুর ফিরিয়া যাইতেছিলেন। তার পর দেখিলাম, উহারা উদয়পুর যায় নাই। উত্তরমুখেই ফিরিয়াছে—কেন? উত্তরে ত রূপনগর বটে। বোধ হয় চঞ্চলকুমারীর পত্র পাইয়া রাণা অশ্বারোহী সৈন্য সমভিব্যাহারে তাহার নিমন্ত্রণ রাখিতে গিয়াছেন। তাহা যদি না গিয়া থাকেন তবে তাঁহার রাজপুতপতি নাম মিথ্যা। আমি তাঁহার ভৃত্য-আমি তাঁহার কাছে যাইব।—কিন্তু তাঁহারা অশ্বারোহণে গিয়াছেন—আমার পদব্রজে যাইতে অনেক বিলম্ব হইবে। তবে এক ভরসা, পার্ব্বত্যপথে অশ্ব তত দ্রুত যায় না এবং মাণিকলাল পদব্রজে বড় দ্রুতগামী।” মাণিকলাল দিবারাত্র পথ চলিতে লাগিল। যথাকালে সে রূপনগরে পৌঁছিল। পৌঁছিয়া দেখিল যে রূপনগরে দুই সহস্র মোগল অশ্বারোহী আসিয়া শিবির করিয়াছে কিন্তু রাজপুত সেনার কোন চিহ্ণ দেখা যায় না। আরও শুনিল পরদিন প্রভাতে মোগলেরা রাজকুমারীকে লইয়া যাইবে।
মাঞ্জিলাল বুদ্ধিতে একটি ক্ষুদ্রতর সেনাপতি। রাজপুতগণের কোন সন্ধান না পাইয়া, কিছুই দুঃখিত হইল না। মনে মনে বলিল, মোগল পারিবে না—কিন্তু আমি প্রভুর সন্ধান করিয়া লইব।
একব্যক্তি নাগরিককে মাণিক বলিল, আমাকে দিল্লী যাইবার পথ দেখাইয়া দিতে পার? আমি কিছু বকশিস দিব। নাগরিক সম্মত হইয়া কিছুদূর অগ্রসর হইয়া তাহাকে পথ দেখাইয়া দিল। মাণিকলাল তাহাকে পুরস্কৃত করিয়া বিদায় করিল, পরে দিল্লীর পথে, চারিদিক ভাল করিয়া দেখিতে দেখিতে চলিল। মাণিকলাল স্থির করিয়াছিল, যে রাজপুত অশ্বারোহিগণ অবশ্য দিল্লীর পথে কোথাও লুকাইয়া আছে। প্রথমতঃ কিছুদূর পর্য্যন্ত মাণিকলাল রাজপুতসেনার কোন চিহ্ণ পাইল না। পরে একস্থানে দেখিল, পথ অতি সঙ্কীর্ণ হইয়া আসিল। দুই পার্শ্বে দুইটি পাহাড় উঠিয়া, প্রায় অর্দ্ধক্রোশ সমান্তরাল হইয়া চলিয়াছে—মধ্যে কেবল সঙ্কীর্ণ পথ। দক্ষিণদিকে পর্ব্বত অতি উচ্চ—এবং দুরারোহণীয়—তাহার শিখরদেশ প্রায় পথের উপর ঝুলিয়া পড়িয়াছে। বামদিকে পর্ব্বত, অতি ধীরে ধীরে উঠিয়াছে। আরোহণের সুবিধা, এবং পর্ব্বতও অনুচ্চ। একস্থানে ঐ বামদিকে একটি রন্ধ্র বাহির হইয়াছে তাহা দিয়া একটু সূক্ষ্ম পথ আছে।
নাপোলিয়ন্ প্রভৃতি অনেক দস্যু সুদক্ষ সেনাপতি ছিলেন। রাজা হইলে লোকে আর দস্যু বলে না। মাণিকলাল রাজা নহে—সুতরাং আমরা তাহাকে দস্যু বলিতে বাধ্য। কিন্তু রাজদস্যুদিগের ন্যায় এই ক্ষুদ্র দস্যুরও সেনাপতির চক্ষু ছিল। পর্ব্বতনিরুদ্ধ সঙ্কীর্ণ পথ দেখিয়া সে মনে করিল, রাণা যদি আসিয়া থাকেন তবে এইখানেই আছেন। যখন মোগল সৈন্য এই সঙ্কীর্ণ পথ দিয়া যাইবে এই পর্ব্বতশিখর হইতে রাজপুত অশ্ব বজ্রের ন্যায় তাহাদিগের মস্তকে পড়িতে পারিবে। দক্ষিণদিকের পর্ব্বত দুরারোহণীয়; অশ্বারোহিগণের আরোহন ও অবতরণের অনুপযুক্ত, অতএব সেখানে রাজপুতসেনা থাকিবে না—কিন্তু বামের পর্ব্বত হইতে তাহাদিগের অবতরণের বড় সুখ! মাণিকলাল তদুপরি আরোহণ করিল। তখন সন্ধ্যা হইয়াছে।
উঠিয়া কোথায়ও কাহাকে দেখিতে পাইল না। মনে করিল, খুঁজিয়া দেখি, কিন্তু আবার ভাবিল, রাজা ভিন্ন অর কোন রাজপুত আমাকে চিনে না; আমাকে মোগলের চর বলিয়া হঠাৎ কোন অদৃশ্য রাজপুত মারিয়া ফেলিতে পারে। এই ভাবিয়া সে আর অগ্রসর না হইয়া, সেই স্থানে দাঁড়াইয়া বলিল, “মহারাণার জয় হউক।”
এই শব্দ উচ্চারিত হইবা মাত্র চারি পাঁচ জন শস্ত্রধারী রাজপুত অদৃশ্য স্থান হইতে গাত্রোত্থান করিয়া দাঁড়াইল, এবং তরবারি হস্তে মাণিকলালকে কাটিতে আসিতে উদ্যত হইল।
একজন বলিল, “মারিও না।” মানিকলাল দেখিল,স্বয়ং রাণা।
রাণা বলিল, “মারিও না। এ আমাদিগের স্বজন।” যোদ্ধৃগণ তখনই আবার লুক্কায়িত হইল।
রাণা মাণিককে নিকটে আসিতে বলিলেন, সে নিকটে আসিল। এক নিভৃত স্থলে তাহাকে বসিতে বলিয়া স্বয়ং সেইখানে বসিলেন। রাজা তখন তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন,
“তুমি এখানে কেন আসিয়াছ?”
মাণিকলাল বলিল, “প্রভু যেখানে ভৃতা সেইখানে যাইবে। বিশেষ যখন আপনি এরূপ বিপজ্জনক কার্য্যে প্রবৃত্ত হইয়াছেন, তখন যদি ভৃতা কোনও কার্য্যে লাগে, এই ভরসায় আসিয়াছে। মোগলেরা দুই সহস্র—মহারাজের সঙ্গে একশত। আমি কি প্রকারে নিশ্চিন্ত থাকিব? আপনি আমাকে জীবনদান করিয়াছেন—একদিনেই কি তাহা ভুলিব?”
রাণা জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমি যে এখানে আসিয়াছি তুমি কি প্রকারে জানিলে?”
মাণিকলাল তখন আদ্যোপান্ত সকল বলিল। শুনিয়া রাণা সন্তুষ্ট হইলেন। বলিলেন, “আাসিয়াছ ভালই করিয়াছ— আমি তোমার মত সুচতুর লোক একজন খুঁজিতেছিলাম। আমি যাহা বলি পারিবে?”
মাণিকলাল বলিল, “মনুষ্যের যাহা সাধ্য তাহা করিব।”
রাণা বলিলেন “আমরা একশত যোদ্ধামাত্র; মোগলের সঙ্গে দুই হাজার—আমরা রণ করিয়া প্রাণত্যাগ করিতে পারি, কিন্তু জয়ী হইতে পারিব না। যুদ্ধ করিয়া রাজকন্যার উদ্ধার করিতে পারিব না। রাজকন্যাকে আগে বাঁচাইয়া পরে যুদ্ধ করিতে হইবে। রাজকন্যা যুদ্ধক্ষেত্রে থাকিলে তিনি আহত হইতে পারেন। তাঁহার রক্ষা প্রথমে চাই।”
মাণিকলাল বলিল, “আমি ক্ষুদ্রজীব, আমি সে সকল কি প্রকারে বুঝিব, আমাকে কি করিতে হইবে তাহাই আজ্ঞা করুন।
রাণা বলিলেন, “তোমাকে মোগল অশ্বারোহীর বেশ ধরিয়া কল্য মোগলসেনার সঙ্গে আসিতে হইবে। রাজকুমারীর শিবিকার সঙ্গে সঙ্গে তোমাকে থাকিতে হইবে। এবং যাহা যাহা বলিতেছি তাহা করিতে হইবে।” রাণা তাহাকে সবিস্তারিত উপদেশ দিলেন। মাণিকলাল শুনিয়া বলিলেন,
“মহারাজের জয় হউক! আমি কার্য্য সিদ্ধ করির। আমাকে অনুগ্রহ করিয়া একটি ঘোড়া বক্সিস করুন।”
রাণা। আমরা একশত যোদ্ধা একশত ঘোড়া। আর ঘোড়া নাই যে তোমায় দিই। অন্য কাহারও ঘোড়া দিতে পারিব না—আমার ঘোড়া লইতে পার।
মাণিক। তাহা প্রাণ থাকিতে লইব না। আমাকে প্রয়োজনীয় হাতিয়ার দিন।
রাণা। কোথা পাইব? যাহা আছে তাহাতে আমাদের কুলায় না। কাহাকে নিরস্ত্র করিয়া তোমাকে হাতিয়ার দিব? আমার হাতিয়ার লইতে পার।
মাণিক। তাহা হইতে পারে না। আমাকে পোষাক দিতে আজ্ঞা হউক।
রাণা। এখানে যাহা পরিয়া আসিয়াছি, তাহা ভিন্ন আর পোষাক নাই। আমি কিছুই দিব না।
মাণিক। মহারাজ! তবে অনুমতি দিউন আমি যে প্রকারে হউক এ সকল সংগ্রহ করিয়া লই।
রাণা হাসিলেন। বলিলেন, “চুরি করিবে?”
মাণিকলাল জিহ্বা কাটিল। “আমি শপথ করিয়াছি, যে আর সে কার্য্য করিব না।”
রাণা। তবে কি করিবে?
মাণিক। ঠকাইয়া লইব।
রাণা হাসিলেন। বলিলেন,
“যুদ্ধকালে সকলেই চোর—সকলেই বঞ্চক। আমিও বাদশাহের বেগম চুরি করিতে আসিয়াছি-চোরের মত লুকাইয়া আছি। তুমি যে প্রকারে পার, এ সকল সংগ্রহ করিও।”
মাণিকলাল প্রফুল্লচিত্তে প্রণাম করিয়া বিদায় হইল।