দূর পৃথিবীর গন্ধে ভ’রে ওঠে আমার এ বাঙালীর মন
আজ রাতে; একদিন মৃত্যু এসে যদি দূর নক্ষত্রের তলে
অচেনা ঘাসের বুকে আমারে ঘুমায়ে যেতে বলে,
তবুও সে ঘাস এই বাংলার অবিরল ঘাসের মতন
মউরির মৃদু গন্ধে ভ’রে র’বে;―কিশোরীর স্তন
প্রথম জননী হয়ে যেমন ননীর ঢেউয়ে গলে
পৃথিবীর সব দেশে―সব চেয়ে ঢের দূর নক্ষত্রের তলে
সব পথে এই সব শান্তি আছে: ঘাস―চোখ―শাদা হাত―স্তন―


কোথাও আসিবে মৃত্যু―কোথাও সবুজ মৃদু ঘাস
আমারে রাখিবে ঢেকে―ভোরে, রাতে, দু’-পহরে পাখির হৃদয়
ঘাসের মতন সাধে ছেয়ে র’বে―রাতের আকাশ
নক্ষত্রের নীল ফুলে ফুটে র’বে;―বাংলার নক্ষত্র কি নয়?
জানি নাকো; তবুও তাদের বুকে স্থির শান্তি―শান্তি লেগে রয়:
আকাশের বুকে তারা যেন চোখ―শাদা হাত―যেন স্তন―ঘাস―।