একদিন এই দেহ ঘাস থেকে ধানের আঘ্রাণ থেকে এই বাংলার
জেগেছিল; বাঙালী নারীর মুখ দেখে রূপ চিনেছিল দেহ একদিন;
বাংলার পথে পথে হেঁটেছিল গাংচিল শালিখের মতন স্বাধীন;
বাংলার জল দিয়ে ধুয়েছিল ঘাসের মতন স্ফুট দেহখানি তার;
একদিন দেখেছিল ধূসর বকের সাথে ঘরে চ’লে আসে অন্ধকার
বাংলার; কাঁচা কাঠ জ্বলে ওঠে—নীল ধোঁয়া নরম মলিন
বাতাসে ভাসিয়া যায় কুয়াশার করুণ নদীর মতো ক্ষীণ;
ফেনসা ভাতের গন্ধে আমমুকুলের গন্ধ মিশে যায় যেন বার বার;

এই সব দেখেছিল; রূপ যেই স্বপ্ন আনে—স্বপ্নে যেই রক্তাক্ততা আছে,
শিখেছিল সেই সব একদিন বাংলার চন্দ্রমালা রূপসীর কাছে;
তারপর বেত বনে, জোনাকি ঝিঁঝিঁর পথে হিজল আমের অন্ধকারে
ঘুরেছে সে সৌন্দর্যের নীল স্বপ্ন বুকে ক’রে,—রূঢ় কোলাহলে

গিয়ে তারে—

ঘমন্ত কন্যারে সেই—জাগাতে যায় নি আর—হয়তো সে কন্যার হৃদয়
শঙ্খের মতন রুক্ষ, অথবা পদ্মের মতো—ঘুম তবু ভাঙিবার নয়৷