রেখাক্ষর-বর্ণমালা/প্রথম খণ্ড/প্রথম অধ্যায়
রেখাক্ষর বর্ণমালা॥
প্রথম খণ্ড॥
প্রথম অধ্যায়॥
বত্রিশ হলবর্ণ।
ব্যঞ্জন বরণ নহে চৌত্রিশের কম।
কা’রে রাখি, কারে ঠেলি, সমস্যা বিষম॥
এক বএ বস্ আছে — দুই ব কি জন্য?
জ্যান্ত-ন দন্ত্য-ন পে’লে কে চাহে মূর্দ্ধণ্য?
ণত্ব ণ পড়িল সরি’ দেখি’ বেগতিক।
বরণমালা’র আর মাড়া’বে না দিক্॥
অন্ত্যস্থ বএর আর দেরি সহিল না।
পলাইল রাতারাতি — ঘুচিল যন্ত্রনা॥
এ-দুটা আছিল মোর দু-চক্ষের বিষ।
চৌত্রিশের দুই গেল, রহিল বত্রিশ॥
বর্গে বর্গে বসি’ গেল বর্ণ আট আট।
চারি আটে হয়ে গেল বত্রিশ ভরাট্॥
কচবর্গ — ক-চ খ-ছ গ-জ ঘ-ঝ — লভ’।
তপবর্গ তেম্নি — ত-প থ-ফ দ-ব ধ-ভ॥
ন-ট ঙ-ঠ ম-ড ঞ-ঢ — নটদল পষ্ট।
র-স ল-ষ য-শ হ-ক্ষ, রস-বশ অষ্ট॥
শূন্যের শূন্যত্ব।
শবদের অন্তে মাঝে বসে যবে সুখে,
বেরো’য় য়-ড়-ঢ় বুলি য-ড-ঢ’র মুখে॥
জানো যদি, কেন তবে শূন্য দেও নীচে?
চেনা বামুনের গলে পৈতে কেন মিছে!
নীচের ছত্তর-চারি চেঁচাইয়া পঢ়’—
যাবৎ না হয় তাহা কণ্ঠে সড়গড়’॥
পাঠ।
আষাঢে ঢাকিল নভ’ পযোধর-জালে।
বাযস উডিযা বসে ডালের আডালে॥
ঘনরবে ময়ূরের আনন্দ না ধরে।
খুলিযা খডমজোডা ঢুকিলাম ঘরে॥