লেখকের কথা/গল্প লেখার গল্প
গল্প লেখার গল্প
বাংলা তেরোশ’ পঁয়ত্রিশ সাল। কলেজে পড়ছি বি. এস. সি। অনার্স নিয়েছি অঙ্কে। অঙ্কের মতো এমন আর কি আছে? এত জটিলতায় এমন চুল চেরা নিয়ম! রসায়ন ও পদার্থবিদ্যা তো অভিনব কাব্য— ছ্যাবলামি, নেকামি, হাল্কা ভাবপ্রবণতার চিহ্নও নেই।
ক্লাশে বসে মুগ্ধ হয়ে লেকচার শুনি, লেবরেটারীতে মশগুল হয়ে এক্সপেরিমেণ্ট করি: নতুন এক রহস্যময় জগতের হাজার সঙ্কেত মনের মধ্যে ঝিকমিকিয়ে যায়! হাজার নতুন প্রশ্নের ভাবে মন টলমল করে। ছেলেবেলা থেকে ‘কেন?’ নামক মানসিক রোগে ভুগছি, ছোট বড় সব বিষয়ের মর্মভেদ করার অদম্য আগ্রহ যে রোগের প্রধান লক্ষণ । খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সব জানা চাই। বিষয় তুচ্ছ হোক, জ্ঞান হিসাবে বিশেষ দাম না থাক, ছেলেমানুষেরও সেটা জানা থাক——যতক্ষণ সেটিকে তুলো ধুনো করে না ঘাঁটছি, হজম করা খাদ্যকে রক্তে মাংসে পরিণত করার মতো পরিণত না করছি উপলব্ধিতে, আমার শান্তি নেই । ক্লাশ এগিয়ে যায় বহুদূর, আমি মেতে থাকি দু’মাস আগে পড়ানো বিদ্যুতের এক অদ্ভুত ব্যবহার নিয়ে। স্বভাব আজও আমার যায়নি। একটু যা পড়ি আর একটু যা শুনি তাই নিয়েই ঘাঁটাঘাঁটি করে আমার সময় যায়— রাশি রাশি পড়া আর শোনার রীতিমাফিক পড়াশোনা হয়ে ওঠে না।
জ্ঞান সমুদ্রের তীরে একটি উপলখণ্ড কুড়িয়েই গিলে ফেলে আরেকটির দিকে হাত বাড়াতে পারি না—গেলার আগে পরে অনেক রকম প্রক্রিয়া করতে হয়। পাথর হজম করা তো সহজ নয়!
বিজ্ঞান প্রায় সুয়োরাণী হয়ে বসেছিল আমার উপর, শুধু আমার এই স্বভাবের জন্যে আমাকে আয়ত্ত করে উঠতে পারলো না। বৈজ্ঞানিকও হতে পারলাম না, পণ্ডিত ব্যক্তি হওয়াও ঘটে উঠলো না—জীবনটা কাটিয়ে দেবার ব্যবস্থা করতে হলো উপন্যাস লিখে।
তখন লিখতে আরম্ভ করার ইচ্ছা ছিল না—বিজ্ঞানের প্রেমে যখন হাবুডুবু খাচ্ছি। লিখতে শিখে লেখক হবার সাধ কবে জেগেছিল মনে নেই—বোধ হয় ছেলেবেলাতেই, লুকিয়ে লুকিয়ে যখন নিষিদ্ধ বই পড়তাম, তখন। বারো তেরো বছর বয়সের মধ্যে বিষবৃক্ষ, গোৱা, চরিত্রহীন পড়া হয়ে গিয়েছে। আর সে কি পড়া! এরকম একখানা বই পড়তাম আর তার ধাক্কা সামলাতে তিনচার দিন মাঠে ঘাটে, গাছে গাছে, নৌকায় নৌকায়, হাটবাজারে মেলায় ঘুরে আর হৈ চৈ মারামারি করে কাটিয়ে তবে সামলে উঠতাম। বড় ঈর্ষা হতো বই যাঁরা শেখেন তাঁদের ওপর। হয়তো সেই ঈর্ষার মধ্যেই লুকিয়ে ছিল একদিন লেখক হবার চেষ্টা করার সাধ।
লেখক হবার ইচ্ছে সম্বন্ধে হঠাৎ সচেতন হইনি। স্কুল জীবনের শেষের দিকে ইচ্ছেটা অল্পে অল্পে নিজের কাছে ধরা পড়েছিল। কিন্তু সে ইচ্ছে হাত মেলেছিল বহু দূরের ভবিষ্যতে—সঙ্গে সঙ্গে লেখবার তাগিদ যোগায়নি। অধিকাংশ স্কুল কলেজে হাতেলেখা মাসিকপত্র থাকে। সারা বাংলায় ছড়ানো গোটা দশেক স্কুলে আর মফস্বল ও কলকাতায় গোটা তিনেক কলেজে আমি পড়েছি। লিখবো?—এই বয়স আমার! বিদ্যাবুদ্ধি অভিজ্ঞতা কিছু আমার নেই। কোন্ ভরসায় আমি লিখবো? লেখা তো ছিনিমিনি খেলা নয়! বাড়িতে লুকিয়ে লেখার চেষ্টাও আমি কখন করিনি। আমার অধিকার নেই বলে।
১৩৩৫ সালেও,—যে বছর আমি প্রথম লেখা লিখি, আমার এ মনোভাব বদলায়নি। বরং আরও স্পষ্ট একটা পরিকল্পনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বয়সের সীমা ঠিক করেছি। তিরিশ বছর বয়সের আগে কারো লেখা উচিত নয় আমি সেই বয়সে লিখবো। এর মধ্যে তৈরি হয়ে নিতে হবে সব দিক দিয়ে। কেবল অভিজ্ঞতা সঞ্চয় নয়। নিশ্চিন্ত মনে যাতে সাহিত্য চর্চা করতে পারি তার বাস্তব ব্যবস্থাগুলিও ঠিক করে ফেলবো।
হ্যাঁ, তখন আমার বিজ্ঞানের দিকে ঝোঁক পড়েছে। কিন্তু তাতে কি এসে যায়? তখনও আমি বিশ্বাস করিনি, আজও বিশ্বাস করি না যে, বিজ্ঞানের সঙ্গে সাহিত্যের বিরোধ আছে। তবে এ কথা সত্য যে, কেউ একসঙ্গে বৈজ্ঞানিক ও সাহিত্যিক হতে চাইলে তাকে দিয়ে বিজ্ঞান বা সাহিত্য কোনটারই বিশেষ উপকার হয় না। কিন্তু একথাও সত্য যে, এযুগে বিজ্ঞান বাদ দিয়ে সাহিত্য লেখা অসম্ভব—তাতে শুধু পুরানো কুসংস্কারকেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে। সাহিত্য বাদ দিয়ে বৈজ্ঞানিক হলে, তিনি ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায় হিংস্র মানুষের হাতে মারণাস্ত্রই তুলে দেবেন— তাঁর আবিষ্কারকে মানুষ মানুষকে ধ্বংস করার কাজে ব্যবহার করবে। বিজ্ঞান ও সাহিত্যের সম্বন্ধ এযুগের অতি প্রয়োজনীয় যুগধর্ম।
স্বীকার করছি, ১৩৩৫ সালে এসব তত্ত্বকথা মানতাম না—অস্পষ্ট অনুভূতি ছিল মাত্র। কিন্তু বিজ্ঞান-প্রেমের সঙ্গেই দৃঢ়তর হতো লেখার সঙ্কল্প। কলেজ থেকে তখনকার বালিকা-বালীগঞ্জের বাড়িতে ফিরতাম, আলোহীন পথহীন অসংস্কৃত জলার মতো লেকের ধারে গিয়ে বসতাম— চেনা অচেনা কোন একটি প্রিয়ার মুখ স্মরণ করে একটু চলতি কাব্যরস উপলব্ধি করার উদ্দেশ্যে। ভেসে আসতো নিজের বাড়ির আত্মীয়-স্বজন আর পাড়াপড়শীর মুখ, জীবনের অকারণ জটিলতায় মুখের চামড়া যাদের কুঁচকে গিয়েছে। ভেসে আসতে। স্টেশনে ট্রেনে ডেলি প্যাসেঞ্জারদের মুখ—তাদের আলাপ আলোচনা, ভেসে আসতো কলেজে সহপাঠীদের মুখ—শিক্ষার খাঁচায় পোৱা তারুণ্য-সিংহের সব শিশু, প্রাণশক্তির অপচয়ের আনন্দে যারা মশগুল। তারপর ভেসে আসতো খালের ধারে. নদীর ধারে, বনের ধারে বসানো গ্রাম—চাষী, মাঝি, জেলে, তাঁতিদের পীড়িত ক্লিষ্ট মুখ। লেকের জনহীন স্তব্ধতা ধ্বনিত হতো ঝিঁঝির ডাকে, শেয়াল ডেকে পৃথিবীকে স্তব্ধতর করে দিতো, তারারা চোখ ঠারতো আকাশের হাজার ট্যারা চোখের মতো, কোনদিন উঠতো চাঁদ। আর ওই মুখগুলি—মধ্যবিত্ত আর চাষা ভূষো—ওই মুখগুলি আমার মধ্যে মুখর অনুভূতি হয়ে চ্যাচাতো—ভাষা দাও—ভাষা দাও।
আমি কি জানি ভাষা দিতে?
একদিন কলেজের কয়েকজন বন্ধু সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করছে। শৈলজানন্দ, প্রেমেন, অচিন্ত্য, নজরুল এদের নিয়ে সম্প্রতি হৈ চৈ পড়ে গিয়েছে বাংলার সাহিত্য ক্ষেত্রে—সাহিত্যের দুর্গরক্ষী সিপাইরা কাঠের বন্দুক উচিয়ে দুমদাম চীনা পটকা ফাটিয়ে লড়াই শুরু করেছে। আলোচনা গড়াতে গড়াতে এসে ঠেকলো মাসিকপত্রের সম্পাদকদের বুদ্ধিহীনতা, পক্ষপাতৃিত্ব, দলাদলি প্রবণতা ও উদাসীনতায়।
নাম করা লেখক ছাড়া ওরা কারুর লেখা ছাপায় না। দলের লেখক হলে ছাপায়—ব্যস্। অন্য কেউ পাত্তা পাবে না।
একজনের তিনটি লেখা মাসিকের আপিস থেকে ফেরত এসেছিল। সে সম্পাদকদের কুৎসিত একটা গাল দিলো— কলেজের ছেলেরা যা দেয়। সম্পাদকদের না হোক অন্যদের আমিও যে ধরনের গাল গায়ের জ্বালায় কম বয়েসে দিয়েছি।
তর্কে আমার চিরদিনের বিতৃষ্ণা। অবিবেচক ছেলেটার অন্যায় মন্তব্যে বড় রাগ হলো।
বললাম, ‘কেন বাজে কথা বকছো? ভালো লেখা কি এত সস্তা যে, হাতে পেয়েও সম্পাদকেরা ফিরিয়ে দেবেন? মাসিকগুলি তো পড়ো, মাসে ক'টা ভালো গল্প বেরোয় দেখেছো? সম্পাদকেরা কি পাগল যে, ভালো গল্প ফিরিয়ে দিয়ে বাজে গল্প ছাপবে? ভালো দূরে থাক, চলনসই একটা গল্প পেলে সম্পাদকেরা নিশ্চয় সাগ্রহে সেটা ছেপে দেয়।’
খানিক তর্কের পর প্রশ্ন হলো: ‘তুমি কি করে জানলে, প্রবোধ?’
প্রবোধ? প্রবোধ আবার কে? পুরানো দিনের কথা বলার কি বিপদ! এখানে আবার বলে নিতে হবে যে, মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল, অফিসিয়াল নাম ছিল শ্রীপ্রবোধকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়—মানিক নামে তাকে ডাকতো শুধু বাড়ির লোক। ডাকনামের কাছে কি করে আসল নাম হার মানলো পরে বলছি।
প্রশ্ন শুনে ভাবলাম, তাই তো! সাধারণ বুদ্ধিতে যা মনে হয়, সেটা তো প্রমাণ নয়! কোনদিন মাসিক বা মাসিকের সম্পাদকের ত্রিসীমানায় যাইনি—কি করে এদের বোঝাবো যে, সম্পাদকেরা ভালো গল্প পেলেই আদর করে ছাপান— এমন কি চলনসই গল্প পর্যন্ত! বললাম, ‘আমি জানি।’ অনেক কথা কাটাকাটির পর বাজি রাখা হলো। কি বাজি রাখা হয়েছিল বলবো না— আপনারা হয়তো ভাববেন কলেজে পড়বার সময় ছেলেগুলো এমন বখাটে হয়!
বাজি হলো এই। আমি একটি গল্প লিখে তিন মাসের মধ্যে ভারতবর্ষ, প্রবাসী বা বিচিত্রায় ছাপিয়ে দেবো। যদি না পারি—সে কথা আর কেন?
আমি জানতাম পারবো। কোনদিন এক লাইন লিখিনি, কিন্তু গল্প তো পড়েছি অজস্র।সাহিত্য হবে না, সৃষ্টি হবে না, কিন্তু সম্পাদক ভোলানো গল্প নিশ্চয় হবে। আমি কেন, যে-কেউ চেষ্টা করলেই এরকম গল্প লিখতে পারে।
ভাবতে লাগলাম কি নিয়ে গল্প লিখবো! প্রেমের গল্প? হ্যাঁ, প্রেমের গল্পই লিখতে হবে। বাংলা মাসিকের প্রায় সব গল্পই একরকম প্রেম নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লেখা হয়। একটা ছেলে আর একটা মেয়ে, তাদের প্রেম হলো, বিয়েতে বাধা পড়লো, বাধা কেটে মিলন হলো, এই রকম গল্প একটা লিখবো ফেনিয়ে ফাঁপিয়ে! মন সায় দিলো না। বললো, প্রেমের গল্প লিখতে চাও লেখো, কিন্তু পচা দুর্গন্ধ ছ্যাবলামির গল্প লিখো না—বাংলার ছেলেমেয়েগুলো যে গোল্লায় গেল এরকম গল্প পড়ে পড়ে।
আবার বললো মন, কেন, প্রেম কি তুমি দেখোনি সংসারে? এত মেলামেশা করলে মানুষের সঙ্গে? যে প্রেম বাস্তব জগতে দেখেছো—তাকেই ফেনিয়ে ফাঁপিয়ে স্বপ্ন জগতের প্রেম করে দাও। তাও ভালো হবে ন্যাকামির চেয়ে।
তখন মনে পড়লো পূর্ববঙ্গের এক স্বামী-স্ত্রীর কথা। বাস্তব জীবনে নাটকীয় প্রেমের চরম অভিজ্ঞতা ওদের দেখেই আমি পেয়েছিলাম। স্বামী বাঁশি বাজাতেন। বাঁশের বাঁশি নয়, ক্ল্যারিওনেট। প্রায় পায়ে ধরে তাঁকে আসরে বাজাতে নিয়ে যেতে হতো—গিয়েও খুশি হলে বাজাতেন, নইলে বাজাতেন না। বাড়িতে বাজাতেন—শুধু স্ত্রীকে শ্রোতা রেখে। বছরখানেক আমি শুনেছিলাম। বেশিক্ষণ বাজালে তাঁর গলা দিয়ে রক্ত পড়তো।
এদের অবলম্বন কবে এক ঘোরালো ট্র্যাজিক প্লট গড়ে তুলে গল্প লিখলাম। নাম দিলাম অতসী মামী। ভাবলাম, এই উচ্ছ্বাসময় গল্প, এই নিছক পাঠকের মন ভুলানো গল্প, এতে নিজের নাম দেবো না। পরে যখন নিজের নামে ভালো লেখা লিখবো, তখন এইগল্পের কথা তুলে লোকে নিন্দে করবে। এই ভেবে বন্ধু ক'জনকে জানিয়ে, গল্পে নাম দিলাম ডাক নাম—মানিক। কল্পনাশক্তি একটা ভালো ছদ্মনামও খুঁজে পেলো না!
বাংলা মাসের মাঝামাঝি। বিচিত্রা আপিসে গিয়ে গল্পটা দিয়ে এলাম। কার হাতে জানেন? বন্ধুবর অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্তের হাতে। তিনি তখন বিচিত্রায় ছিলেন। আমি অবশ্য তখন চিনতেও পারিনি—পরিচয় হয় পরে।
তারপর দিন গুণছি। বিশ্বাস ঠিক আছে, তবু ভাবছি কবে গল্পটা পিয়ন ফেরত দিয়ে যায়।
মাসের মাঝামাঝি গল্প দিয়েছি—পরের মাসের কাগজে অবশ্যই বার হবে না। তবু ভাবছি, বিচিত্রা বার হলেই দেখতে হবে।
একদিন সকালে ভাবছি, কলেজ যাবো কি যাঁবো না। একজন ভদ্রলোক বাড়িতে এলেন।
তিনি বিচিত্রার সম্পাদক শ্রদ্ধেয় উপেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। সাহিত্য ও সাহিত্যিকের কর্তব্য সম্পর্কে শত মতবিরোধ সত্ত্বেও যিনি জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত আমায় স্নেহ করেছেন, বন্ধু হয়ে থেকেছেন।
আমি অবশ্য চিনতাম না। নিজেই পরিচয় দিলেন। এবং আমার ‘অতসী মামী' গল্পের জন্য পারিশ্রমিক বাবদ নগদ টাকা হাতে তুলে দিয়ে দাবী জানালেন, আর একটি গল্প চাই।
তারপর সব ওলোট পালট হয়ে গেল। সব ছেড়ে দিয়ে আরম্ভ করলাম লেখা।
হঠাৎ একটা গল্প লিখে মাসিকে ছাপিয়ে কি কেউ লেখক হতে পারে? হাত মক্স করতে হয়—কঠিন সাধনায় জীবনপাত পরিশ্রমে মক্স করতে হয়। কেরানীর রেশি খেটে লিখতে না শিখে জগতে আজ পর্যন্ত একটি ছোট খাটো লেখকও লেখক হতে পারেননি। হঠাৎ কি কেউ লিখতে শেখে, না পারে? সাহিত্য সাধনার জিনিস। এ সাধনার সূত্রপাত কি ভাবে হয় অনেক সাহিত্যিকের জীবনে তার চমকপ্রদ উদাহরণ আছে। আজ সাহিত্যিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘প্রথম লেখা’ লিখবার কাহিনীতে তার একটি নমুনা পাবেন।
এখনো আত্মীয়স্বজন আপশোস করেন, ‘তোর দাদা লেখাপড়া শিখে দু'হাজার টাকার চাকরি করছে, তুই কি করলি বলতো, মানিক?—না একটা বাড়ি, না একটা গাড়ি—’
আপনারা কি বলেন?