ভর্ত্তৃহরি

যোগী তুমি, ভোগী তুমি, তুমি রাজকবি।
দেখেছ কখনো বিশ্ব শুধু নারীময়,
আবার দেখেছ বিশ্ব শুধু ব্রহ্মময়,
সুবর্ণে গৈরিকে আঁকো সেই দুই ছবি॥

ক্ষণিকের জ্যোতিকণা জানো শশিরবি,
বিশ্বরূপে মুগ্ধ তবু, সৌন্দর্য্যে তন্ময়।
অসীম আঁধার-মগ্ন অনন্ত সময়
আত্মজ্যোতি-দীপালোকে শূন্য দেখ সবি॥

নাস্তিকের শিরোমণি, অস্তিকের রাজা!
তব ধর্ম্ম মনোরাজ্যে বহুরূপী সাজা॥

নাহি জান কারে বলে ভয় কিম্বা আশা।
ভুক্তি মুক্তি তোমা কাছে সমান অসার।
সত্য শুধু মানবের অনন্ত পিপাসা,—
রত্ন দিয়ে তাই গাঁথো বৈরাগ্যের হার!