পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ՀՏ वांश्लांग्न थगभं r kkS kkkk BBB kkk kkk kkk kkkBBBBB BBB BB ttB BBBBB মুসলমান ঐতিহাসিকগণ অনেক স্বলে কামরুপ ও কামত শব্দ তুলাৰ্বজ্ঞাপক সাবে ব্যবহার করিয়াছেন। আনুমানিক পঞ্চদশ শতাব্দীর প্রথম পাদে খ্যেনবংশীয় নীলধ্বজ কামতা রাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। কামদ বা কামতাদেবী তাঁহার উপাস্য দেবতা ছিলেন। দেীর নামানুসারে তিনি রাজ্যের নাম কামত রাজ্য এবং রাজধানীর নাম কামতাপুর রাখেন। সাধারণ লোকে এই দেবীকে গোস্বামিনী সবর্বাধিশ্বরী বা গোসানী নামে অভিহিত করিত। এই জন্য পরবর্তীকালে কামতাপুর গোসাঁনীমারি নামে পরিচিত হয়। নীলধজের পর যথাক্রমে চক্ৰধৃঙ্গ ও নীলাম্বর কামত রাজ্যের অধীশ্বর হন। নীলাম্বর অতি শক্তিশালী নৃপতি ছিলেন। তিনি বাহুবলে কামরূপ রাজ্যের অধিকাংশ স্থান ও আধুনিক রংপুর জেলার প্রায় সমগ্র অঞ্চল স্বীয় রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করেন। তাহার রাজ্যের দক্ষিণ সীমা ঘোড়াঘাট পয্যন্ত বিস্তৃত ছিল। বহিঃশত্রুর আক্রমণ হইতে রাজ্যরক্ষার জন্য নীলাম্বর রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে দুগ নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন। কামতাপুর হইতে ঘোড়াঘাট পৰ্য্যন্ত যে প্রাচীন রাজপথ আছে উহার পাশ্বে ঘোড়াঘাটের অদূরে নীলাম্বরের দুর্গের ভগ্নাবশেষ দৃষ্ট হয়। নীলাম্বরের রাজ্যকালেই কামত রাজ্যের পতন ঘটে । কথিত আছে, মন্ত্ৰী শচীপত্রের পুত্র কোনও বিশেষ গহিত কর্মের জন্য রাজা নীলাম্বর কত্ত্বক নিহত হন এবং তাঁহার মৃত দেহ রন্ধন করিয়া তাহার পিতা শচীপত্রিকে নিমন্ত্ৰণ করিয়া খাওয়ান হয় । ইহা জানিতে পারিয়া মৰ্ম্মাহত শচীপত্র নীলাম্বরের উপর প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য গৌড়েশ্বর ছলেন শাহকে কামতাপুর আক্রমণের জন্য প্ররোচিত করেন। বছ। বৎসর ধরিয়া কামতাপুর অবোরোধ করিয়া হুসেন শাহ ইহার দুর্ভেদ্য দুর্গ জয় করিতে পারেন নাই। অত:পর তিনি এক কৌশল অবলম্বন করিলেন। তিনি রাজা নীলাম্বরের নিকট দূত দ্বারা প্রস্তাব করিয়া পাঠাইলেন যে তাঁহার বেগমগণ কামতাপুরের মহারাণীর সহিত দেখা করিতে চাহেন, সুতরাং, বেগমগণের শিবিকাগুলি যেন দুর্গমধ্যে প্রবেশ করিবার ছাড়পত্র পায়। নীলাম্বর অসন্দিগ্ধচিত্তে ইহাতে সম্মতি দিলে ছসেন শাহ অস্ত্রশস্ত্রে সুসজ্জিত বহু সৈনিককে শিবিকায় আবৃত করিয়া দুর্গমধ্যে প্রেরণ করেন। তাহারা অকস্মাৎ শিবিক হইতে বাহির হইয়৷ অন্তঃপুর রক্ষিগণকে আক্রমণ করে ও নিরস্ত্র নীলাম্বরকে বন্দী করিয়া হুসেন শাহের নিকট আনয়ন করে । কথিত আছে, যে হুসেন শাহ নীলাম্বরকে একখানি লৌহপিঞ্জরে আবদ্ধ করিয়া গৌড় অভিমুখে প্রেরণ করেন, কিন্তু পথিমধ্যে নীলাম্বর কোনরূপে পলায়ন করিবার সুযোগ পান এবং অরণ্য মধ্যে আত্মগোপন করেন, ইহার পর আর তাহার কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই । রাজধানী কামতাপুর বহু প্রাচীরের দ্বারা সুরক্ষিত ও দুর্ভেদ্য ছিল। ধরলা নদীর ভাঙ্গনে ইহার অনেকস্থান বর্তমানে লুপ্ত হইয়া গেলেও যাহা বিদ্যমান আছে তাহা হইতেই নগরীটির বিশালতার কতকটা ধারণা করিতে পারা যায়। বুখানান হ্যামিলটন ১৮০৯ খৃষ্টাব্দে ইহার পরিধি ১৯ মাইল দেখিয়াছিলেন। পূবেৰ্ব এই স্থান অত্যন্ত জঙ্গলময় ছিল, কিন্তু এখন ইহার চারিদিকে চাষ আবাদ হওয়ায় এখানে যাইবার আর কোন অসুবিধা নাই। মহারাজা নীলধুজের প্রতিষ্ঠিত কামদা বা গোসানী দেবী প্রাচীন দুর্গমধ্যে এখনও নিত্যপূজা প্রাপ্ত হইতেছেন। বর্ষাকাল ভিন্ন অন্য সময়ে দিনহাট স্টেশন হইতে গোসানামারি পর্য্যন্ত গোযান পাওয়া যায়। - কোচবিহার—পাৰ্ব্বতীপুর জংশন হইতে ৭৪ মাইল দুর। ইহা কোচবিহার নামক করারাজ্যের রাজধানী। বাংলাদেশে দুইটি মাত্র করদ রাজ্য আছে, একটি কোচ বিহার, অপরটি ত্রিপুর। কোচ বিহার রাজ্যের পরিমাণ ফল ১,৩১৮ বগ মাইল। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কোচ বিহারের মহারাজা