এতদ্দেশীয় স্ত্রীলোকদিগের পূর্ব্বাবস্থা/ক্ষত্রিয় নারীদিগের বীরভাব

ক্ষত্রিয় নারীদিগের বীরভাব।

 ক্ষত্রিয় নারীরা বীরভাবে অনুরাগিণী ছিলেন। স্পার্টা দেশে মাতা পুত্রকে যুদ্ধে গমন কালীন বলিতেন। দেখিও পুত্র! রণে পরাঙ্মুখ হইয়া পলায়ন করিও না। হয় তো জয়ী হইয়া প্রত্যাগমন করিও, নতুবা তোমার মস্তক যেন চর্ম্মোপরি আনীত হয়। রাজপুত্র যদুবংশ প্রভৃতি ক্ষত্রিয়বংশীয় অঙ্গনারা বীরভাব প্রকাশ করিতেন। উদয়পুরের রাণার কন্যা স্বামীকে যুদ্ধে পলায়ন করিয়া আসিতে দেখিয়া দ্বার রক্ষককে বলিলেন, দ্বার বন্ধ কর ও স্বামিকে বলিলেন আপনার কর্তব্য এই ছিল, হয় যুদ্ধে জয়ী হওয়া নয় যুদ্ধে প্রাণ ত্যাগ করা—পলায়ন করা কাপুরুষের কার্য্য; বুন্দি রাণী যুদ্ধে আপনার পুত্রের মৃত্যু হইয়াছে শুনিয়া আহ্লাদিত হইয়াছিলেন।

 দ্রোণপর্ব্বে ভীম অর্জ্জুনকে এই বলিয়াছিলেন, “হে ভ্রাতঃ! আমার বাক্য শ্রবণ কর। ক্ষত্রিয় কামিনীরা যে কার্য্য সাধনের নিমিত্তে পুত্র প্রসব করেন, এক্ষণে সেই কার্য্য সাধনের সময় উপস্থিত হইয়াছে।”