ঐতিহাসিক চিত্র/১৩১২/আষাঢ়-শ্রাবণ/চচ ও আরবীয়দিগের সিন্ধু অধিকার
চচ ও আরবীয়দিগের সিন্ধু অধিকার।
দিওয়াইজের পুত্ত্র সিহারসের রাজত্বকালে সিন্ধুদেশের রাজধানী আলোর অত্যন্ত সমৃদ্ধিশালী নগরী ছিল। সিহারস প্রবল প্রতাপশালী নরপতি ছিলেন। তাঁহার প্রজাবৃন্দের মধ্যে এক ব্যক্তিও তাঁহার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল না। এই সময়ে পারস্যদেশ হইতে নিমরজাধিপতি তাঁহার রাজ্য আক্রমণ করেন। দুই পক্ষে তুমুল যুদ্ধ হয়। সিহারসের সৈন্যগণ পলায়ন করে; কিন্তু সিহারস সম্মুখ যুদ্ধে নিহত হন। পারসীকগণ লুণ্ঠনাদি করিয়া স্বদেশে ফিরিয়া যায়। সিহারসের পুত্ত্র রায় সাহসী সিংহাসনে আরোহণ করেন।
এই সময়ে শিলাইজের পুত্ত্র চচ নামক এক ব্রাহ্মণ মালিক সাহসী রায়ের প্রধান সচিবের পদে নিযুক্ত হন। রাণী চচের প্রতি আকৃষ্ট হন এবং সাহসী রায়ের মৃত্যু হইলে চচ সিংহাসন অধিকার করিয়া বসিলেন। পরে রাণী সুভান দেওর সহিত তাঁহার বিবাহ হয়। চচ তাহার ভ্রাতা চন্দরকে আনাইয়া তাহাকে তাঁহার সহকারী পদে নিযুক্ত করিয়া আলোরে প্রতিষ্ঠিত করেন।
চচ বঙ্গদেশ জয় করিয়াছিলেন। জাপুর রাজকে যুদ্ধে নিহত করেন। সিক্কা, মুলতান প্রভৃতি জয় করিয়া কাশ্মীরের সীমান্ত পর্য্যন্ত সসৈন্যে গমন করেন। কাশ্মীররাজের সহিত তাঁহার রাজ্যের সীমা নির্দ্দেশ কার্য্য শেষ করিয়া আলোরে প্রত্যাবৃত্ত হন। চচ অনেক দিন স্বরাজ্যে না থাকায় অনেক করদ রাজগণ তাঁহাকে আর কর দিবেন না এইরূপ স্থির করিয়াছিলেন কিন্তু চচ কাশ্মীর হইতে ফিরিয়া এইরূপ ভাব দেখিয়া বুদাপুর ও শিওয়িস্তানের দিকে যাত্রা করিলেন। বুধপুরের অধিপতি কোটাল বিন ভাণ্ডারগু ভাগুর পুত্ত্রকে পরাস্ত করিয়া শিওয়িস্তানে গমন করিয়া তথাকার অধিপতি মাট্টাকে যুদ্ধে পরাস্ত করিলেন। কিন্তু তাহার প্রতি দয়া প্রকাশ করিয়া পুনরায় তাহাকে রাজ্য প্রত্যর্পণ করেন এবং তথায় নিজের একজন বিশ্বাসী কর্মচারীকে রাখিয়া আসেন।
ব্রাহ্মণাবাদের অধিপতি অঘম লোহান তাহাকে কর দিতে অস্বীকৃত হওয়ায় চচ ব্রাহ্মণাবাদ অভিমুখে সসৈন্যে যাত্রা করিলেন। দুই পক্ষে ভীষণ যুদ্ধ হইল। অনেকে নিহত ও আহত হইল। তখন অঘম পলায়ন পূর্ব্বক দুর্গাভ্যন্তরে প্রবেশ করিয়া দুর্গদ্বার বন্ধ করিয়াদিলেন। চচ দুর্গ অবরোধ করিয়া রহিলেন। এই দুর্গাবরোধ এক বৎসর কাল ছিল।
অঘম কনৌজাধিপতি রাসলের পুত্ত্র শতবানকে সাহায্যের জন্য লিখিয়া পাঠাইলেন। কিন্তু পত্ত্রের উত্তর আসিবার পূর্ব্বেই অঘমের মৃত্যু হইল। বুধ নৌবিহার মন্দিরের উপাসক বুধরাঘু নামক ব্যক্তি অঘমের অন্তরঙ্গ বন্ধু ছিল। তাহারই উপদেশে অঘম চচের হস্তে দুর্গ পরিত্যাগ করেন নাই। অঘমের, মৃত্যু হইলে তাহার পুত্ত্র সরবন্দ রাজ্যের শাসন ভার পাইলেন। এই খবরে বুধরাঘু স্বীয় মন্দিরে ফিরিয়া গেলেন। সরবন্দ দুর্গদ্বার চচকে খুলিয়া দিলেন। বুধরাঘুর বিষয় শুনিয়া চচ তাঁহাকে বধ করিবার আজ্ঞা প্রদান করিলেন। চচ সরবন্দের সহিত সন্ধি স্থাপন করিলেন। অঘমের স্ত্রীকে নিজে বিবাহ করিলেন এবং সরবন্দের সহিত তাঁহার ভ্রাতুষ্পত্রের কন্যার বিবাহ দিলেন। ইহার পর চচ বুধরাঘুকে বধ করিবার অভিপ্রায়ে তাহার মন্দিরের দিকে যাত্রা করিলেন তথায় উপস্থিত হইয়া দেখিলেন যে বুধরাঘু আসনে উপবিষ্ট হইয়া হস্তে মৃত্তিকা লইয়া মূর্ত্তি রচনা করিতেছেন। বুধরাঘুর পশ্চাতে এক ভীষণ জায়া মূর্ত্তি চচের নয়নগোচর হইল, ইহাতে চচ অত্যন্ত ভীত হইলেন এবং তাঁহাকে বধ করা দূরে থাকুক কিরূপে বুধরাঘুকে তুষ্ট করিবেন তাহারই চেষ্টা করিতে লাগিলেন। এবং সাওয়ান্দশীতে যে জীর্ণ বুধ নৌভিহার মন্দির ছিল উহার সংস্কার করিবেন এইরূপ অঙ্গীকার করিয়া ব্রাহ্মণাবাদে প্রত্যাগমন করিলেন। ব্রাহ্মণাবাদের রাজস্ব নির্দ্ধারণ করিয়া কিরমান অভিমুখে যাত্রা করিলেন। সেখান হইতে কামরান ও আরমাবেল হইয়া আলোরে প্রত্যাগমন করেন এবং ৪০ বৎসর রাজত্বের পর চচের মৃত্যু হয়।
চচের মৃত্যুতে তাহার ভ্রাতা চান্দর সিংহাসনে আরোহণ করেন। ইনি ৮ বৎসর রাজত্ব করিয়া পরলোক গমন করিলে চচের পুত্ত্র দাহির আলোর অধিকার করিলেন ও চন্দরের পুত্ত্র রাজ ব্রাহ্মণাবাদ অধিকার করিলেন; কিন্তু এক বৎসর পরেই রাজের মৃত্যু হওয়ায় চচের জ্যেষ্ঠ পুত্ত্র বর্ষিয়া ভগ্নী মাঞি বাইকে সঙ্গে লইয়া ব্রাহ্মণাবাদে রহিলেন। ভগ্নী বিবাহযোগ্যা হইয়াছে দেখিয়া বর্ষিয়া ৭০০ শত অশ্বারোহী ৫০০ শত পদাতিক সঙ্গে দিয়া ভগ্নীকে ভ্রাতা দাহিরের নিকট ভাটিয়া রাজের সহিত বিবাহ দিবার জন্য পাঠাইয়া দিলেন। কিন্তু দাহির জ্যোতিষীগণের নিকট শুনিলেন যে বুইয়ের স্বামী হিন্দ ও সিন্দুদেশের রাজা হইবে। ইহা শুনিয়া দাহির নিজেই ভগ্নীকে বিবাহ করিলেন। বর্ষিয়া ইহা শুনিয়া দাহিরকে শাস্তি দিবার ইচ্ছায় আলোর অভিমুখে যাত্রা করিলেন কিন্তু আলোরে আসিয়া বর্ষিয়ার মৃত্যু হইল। দাহির স্বমগ্র সিন্দুদেশের রাজা হইলেন। এই সময়ে ইরাক ও মাকারনের শাসন কর্ত্তা হাজাজ তাঁহার এক নিকট আত্মীয় মহম্মদ কাসিমকে সিন্ধু আক্রমণ করিতে পাঠাইয়া দেন। কাসিম দেবল অধিকার করিয়া সীগুয়ীস্তান যাত্রা করেন। সেখানে তুমুল যুদ্ধ হয় এবং কাসিম যুদ্ধে জয়ী হন।
নিরুন পর্ব্বতদুর্গ অতিক্রম করিয়া মিহরান নদীতীরে আসিয়া কাসিম সৈন্য সমাবেশ করিলেন এবং তথা হইতে দাহিরের নিকট দূত প্রেরণ করেন, দূত ফিরিয়া আসিলে তিনি একজন সেনাপতিকে ৬০০ অশ্বারোহীর সহিত দাহিরে পুত্ত্র যুকির বিরুদ্ধে প্রেরণ করেন। যাহাতে যুকি পিতার সহিত যোগ দিতে না পারেন ইহাই উদ্দেশ্য। এই সময়ে হাজাজ ২০০০ দুই সহস্র সৈন্য কাসিমের সাহায্যার্থে প্রেরণ করেন। মিরবানের তীরে দুই পক্ষে ৫ দিন ধরিয়া যুদ্ধ হওয়ার পর দাহির যুদ্ধে নিহত হন। তাঁহার ছিন্ন মুণ্ড ও পাতাকা কয়েকটী কাসিম হাজাজের নিকট প্রেরণ করেন। হাজাজ তাহ। পুনরায় খলিফ ওয়ালিদের নিকট পাঠাইয়া দেন। রাণী মাঞি বাই দুর্গ অধিকৃত হইলে, অগ্নি কুণ্ডে প্রাণত্যাগ করেন। কাসিম দুর্গস্থ প্রায় ৬০০০ সৈনিকের প্রাণ বধ করেন ও অপর দাস দাসী যাহারা ছিল, তাহাদিগকে সপুত্ত্র পরিবার শৃঙ্খলাবদ্ধ করিয়া লইয়া যান। দাহিরের পুত্ত্র জয়সিয় (জয়সিংহ) পলায়ন করিয়া জয়ধুর ও পরে তথা হইতে কাশ্মীর রাজের নিকট আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। কিছু দিন পরে জয়সিয় কুরজ রাজ দারোহর রায়ের নিকট গমন করেন। সেখানে দারোহর রায়ের ভগ্নী জানকী জয়সিয়ের প্রতি আকৃষ্ট হইয়া রাত্রিকালে তাঁহার শয়ন কক্ষে প্রবেশ করেন এবং জয়সিয় কর্ত্তৃক প্রত্যাখ্যাত হইয়া ক্রোধে প্রাতঃকালে স্বীয় ভ্রাতার নিকট জয়সিয় তাঁহার সতীত্ব নাশের চেষ্টা করিয়াছেন এরূপ মিথ্যা অভিযোগ করেন। দারোহর রায় জয়সিয়কে আহারের নিমন্ত্রণ করিয়া তাঁহাকে হত্যা করিবেন এরূপ ষড়যন্ত্র করেন; কিন্তু একটী ভৃত্যের সাহায্যে এবিষয় জানিতে পারিয়া জয়সিয় তথা হইতে পলায়ন করেন ও জালন্ধরের সীমান্তে কসর নামক স্থানে যাইয়া অবস্থান করিতে থাকেন।
এদিকে কাসিম দাহিরের দুর্গ অধিকার করিয়া কোন ব্রাহ্মণকে তথায় পাইলেন না। কিন্তু পরদিবস তাঁহার সৈন্যগণ প্রায় এক সহস্র ব্রাহ্মণকে আনিয়া উপস্থিত করিল। তাহাদের মধ্যে অনেককে ইসলামধর্ম্মে দীক্ষিত করাইলেন এবং যাহারা ইসলামধর্ম্ম গ্রহণ করিল না, তাহদের উপর অধিক করের ব্যবস্থা করিলেন। এই সময়ে একজন স্ত্রীলোক দাহিরের অপর স্ত্রী লাদিকে আনিয়া উপস্থিত করিল। কাসিম স্ত্রীলোকটীর নিকট লাদিকে ক্রয় করিয়া নিজে বিবাহ করিলেন। এবং লাদির দুই অবিবাহিত কন্যাকে খালিফের নিকট প্রেরণ করিলেন। এইরূপে সিন্ধুদেশে আরবীয়দিগের অধিকার হইল।
দাহিরের কন্যাদ্বয়কে খালিফ সম্মুখে আনয়ন করাইয়া উহাদিগের নাম জিজ্ঞাসা করিলেন। উহারা উত্তর করিল সূর্য্যাদেও ও পরমলদেও। কনিষ্ঠাকে তিনি সম্মুখ হইতে লইয়া যাইতে বলিলেন এবং অপরটীর রূপে মুগ্ধ হইয়া তাহাকে নিকটে ডাকিলেন। সে উত্তর করিল যে, “আমরা আপনার নিকট প্রেরিত হইবার পূর্ব্বে সেনাপতি মহম্মদ কাসিমের নিকট তিন দিবস ছিলাম। অতএব আমরা আপনার উপযুক্ত হইতে পারি না। ইহা আপনাদের রীতি হইতে পারে, কিন্তু সম্রাটদিগের এরূপ রীতি গর্হিত।” ইহা শ্রবণে খালিফ ক্রোধান্ধ হইয়া কাসিমের নিকট এই আজ্ঞা পাঠাইলেন যে, তুমি আপনাকে একখণ্ড চর্ম্মে অপরের দ্বারা আবৃত করাইয়া আমার নিকট প্রেরিত হইবে। কাসিম আজ্ঞাপত্র প্রাপ্তিমাত্র সকলকে বলিলেন যে, আমাকে চর্ম্মে আবৃত কর। তাহাই করা হইল। চর্ম্মাবৃত হইয়া কাসিম দুইদিনের মধ্যে প্রাণত্যাগ করিলেন। তাহার চর্ম্মাবৃত দেহাবশেষ খালিফের নিকট প্রেরিত হইল। তখন খালিফ দাহিরের কন্যাদ্বয়কে ডাকাইয়া সেই দেহ দেখাইলেন এবং বলিলেন যে, দেখ আমার অনুজ্ঞায় কাসিম আপন প্রাণ দান করিয়াছে। তখন দাহিরের জ্যেষ্ঠা কন্যা অবগুণ্ঠন উন্মোচন করিয়া বলিলেন যে, তাঁহারা মিথ্যা বলিয়া তাঁহাদের পিতৃহত্যার প্রতিশোধ লইয়াছেন। খালিফ ইহাতে ক্রোধান্বিত হইয়া কন্যাদ্বয়কে একটী প্রকোষ্ঠে বদ্ধ করিয়া উহার দ্বার ইষ্টকদ্বারা চিররুদ্ধ করিবার আদেশ দিলেন।[১]
মহম্মদ কাসিমের এই ভীষণ মৃত্যুসম্বন্ধে অনেক গীতিকাব্য ও কবিতা প্রচলিত আছে।[২]
- ↑
চচ ও তাহার ভ্রাতা চন্দর
রাজ।
বর্ষিয় দাহির মাঞিবাই
(স্ত্রী বাই ও লাদি)
জয়সিয় যুকি সূর্য্যাদেও পরমলদেও
(কন্যা) (কন্যা)৬৪১ খৃষ্টাব্দে চচবংশীয় এক ব্যক্তি সিন্ধু প্রদেশে ব্রাহ্মণ রাজ্য স্থাপন করেন তাহারও পূর্ব্ব হইতে চচ জনপদের নামকরণ হইয়া থাকিবে।
পূর্ব্বে সিন্ধুপ্রদেশে রায়বংশ রাজত্ব করিতেন, এক জন চচ ব্রাহ্মণ গিয়া তাঁহার নিকট হইতে রাজ্য কাড়িয়া লন। কাহারও মতে ইনিই প্রথম চতুরঙ্গ খেলা বাহির করেন।
চচবংশ ৪৭৯ খৃষ্টাব্দ হইতে প্রায় ১৩৭ বর্ষ প্রবল প্রতাপে রাজত্ব করিয়াছিলেন। আরবীয়গণ এই বংশ উচ্ছেদ করিবার উদ্দেশে সিন্ধুপ্রদেশে অগমন করেন। এই উপলক্ষ করিয়া ৭৫৩ খৃষ্টাব্দে আরবী ভাষায় “চচ নামা’ নামক গ্রন্থ রচিত হয়। ১২১৬ খৃষ্টাব্দে মুহম্মদ নামে এক ব্যক্তি “তারিখ ই হিন্দ্ ও সিন্দ্” নাম দিয়া এই গ্রন্থ পারস্য ভাষায় অনুবাদ করেন। বিশ্বকোষ।
- ↑ Elliot's History of India, Chachnama, হইতে সংগৃহীত।
“Buddhisn, which prevailed all through Sind and the mountainous districts to the west, had given place to Brahmanism about the niddle of the 7th century, when the lBrahman Chach usurped the throne of Sind.* * * *It was not until two unsuccessful attempts had been made to reach Debal that Hajaj, the governor of Trak and Makran, appointed his relative, the boy-general Mahommed Kasim to the command of a fresh force with the conquest of Sind in immediate view, but with the ulterior object of reaching China from the Indus.
* * * *With a force of 6000 picked cavalry, 6000 camelmen and 3000 baggage animals, Mahomed Kasim traversed Makran, sending the same time five Cataputts by sea for the purpose of reducing Debal. He passed through Mukran from West to East, destroying the Buddhist city of Armail (Las Bela) Momte and finally captured Debal on the 1st May 712. From that point his onward progress was triumphant * * * He extended his conquest northward to the borders of Kashmir, and Established an Arab dynasty in Sind which lasted for three centuries, * * These three centuries of Arab occupation of the lndns valley mark the Zenith of Arab ascendancy in Asia.”—Col Sir T. H. Holdich in the Euc. Brittanica.
এই লেখাটি ১ জানুয়ারি ১৯২৯ সালের পূর্বে প্রকাশিত এবং বিশ্বব্যাপী পাবলিক ডোমেইনের অন্তর্ভুক্ত, কারণ উক্ত লেখকের মৃত্যুর পর কমপক্ষে ১০০ বছর অতিবাহিত হয়েছে অথবা লেখাটি ১০০ বছর আগে প্রকাশিত হয়েছে ।