মা লক্ষ্মী।

কার্ পানে, মা, চেয়ে আছ
মেলি দুটি করুণ আঁখি!
কে ছিঁড়েছে ফুলের পাতা,
কে ধরেছে বনের পাখী!
কে কারে কি বলেছে গো,
কার প্রাণে বেজেছে ব্যথা,
করুণায় যে ভরে এল
দুখানি তোর আঁখির পাতা!
খেতে খেতে মায়ের আমার
আর বুঝি হল না খেলা!
ফুলের গুচ্ছ কোলে প’ড়ে
কেন মা এ হেলাফেলা!
অনেক দুঃখ আছে হেথায়,
এ জগৎ যে দুঃখে ভরা,
তোমার দুটি আঁখির সুধায়
জুড়িয়ে গেল নিখিল ধরা!

লক্ষ্মী আমার বল্ দেখি মা
লুকিয়ে ছিলি কোন্ সাগরে!
সহসা আজ কাহার পুণ্যে
উদয় হলি মোদের ঘরে!
সঙ্গে ক’রে নিয়ে এলি
হৃদয়-ভরা মেহের সুধা,
হৃদয় চেলে মিটিয়ে যাবি
এ জগতের প্রেমের ক্ষুধা।
থামো, থামো, ওর কাছেতে
কয়োনা কেউ কঠোর কথা,
করুণ আঁখির বালাই নিয়ে
কেউ কারে দিওনা ব্যথা!
সইতে যদি না পারে ও,
কেঁদে যদি চলে যায়—
এ ধরণীর পাষাণ প্রাণে
ফুলের মত ঝরে যায়!
ওযে আমার শিশির কণা,
ওরে আমার সাজেঁর তারা।

কবে এল, কবে যাবে,
এই ভয়েতে হইরে সারা!