কথামালা (১৮৮৫)/কৃষক ও কৃষকের পুত্রগণ
(পৃ. ৩৭-৩৮)
কৃষক ও কৃষকের পুত্রগণ
এক কৃষক কৃষিকর্ম্মের কৌশল সকল বিলক্ষণ অবগত ছিল। সে, মৃত্যুর পূর্ব্ব ক্ষণে, ঐ সকল কৌশল শিখাইবার নিমিত্ত, পুত্রদিগকে কহিল, হে পুত্রগণ! আমি এক্ষণে ইহলোক হইতে প্রস্থান করিতেছি। আমার যে কিছু সংস্থান আছে, অমুক অমুক ভূমিতে অনুসন্ধান করিলে, পাইবে। পুত্রেরা মনে করিল, ঐ সকল ভূমির অভ্যন্তরে, পিতার গুপ্ত ধন স্থাপিত আছে।
কৃষকের মৃত্যুর পর, তাহারা, গুপ্ত ধনের লোভে, সেই সকল ভূমির অতিশয় খনন করিল। এই রূপে, যার পর নাই পরিশ্রম করিয়া, তাহারা গুপ্ত ধন কিছু পাইল না বটে; কিন্তু, ঐ সকল ভূমির অতিশয় খনন করাতে, সে বৎসর এত শস্য জন্মিল যে, গুপ্ত ধন না পাইয়াও, তাহারা পরিশ্রমের সম্পূর্ণ ফল প্রাপ্ত হইল।