সাজগোজ শেষ। এখন মঞ্চের আলো
জ্বলে আর নেভে। বিবেকের গান
শুরু হয়ে গেছে। সাজঘরে পর্দার আড়ালে
সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে রয়েছে যত কুশীলব।
তারস্বরে বাজাও আবহ-ঢোল। একে একে
আসরে নামুক ভাঁড় ও সন্ন্যাসী,
মন্ত্রী ও চাঁড়াল। এলোচুলে লবঙ্গলতিকা
ছুটে এসে কেঁদে কেঁদে গেয়ে যাক
বিরহের গান। জগঝম্প বাজুক নাকাড়া
তরোয়াল ঘোরাতে-ঘোরাতে
মঞ্চ দাপিয়ে বেড়াক সেনাপতি। মহাযুদ্ধে
কাঁপুক মেদিনী। শৌর্যভরা
ভাষণের তেজে পুড়ে ছাই হোক হতভম্ব
গ্রামীণ দর্শক। প্রেমের সংলাপে
শিস আর তালির তুফান উঠে কাঁপুক আকাশ
তারপর মঞ্চ ফাঁকা হয়ে যাক,
চারদিকে ছড়িয়ে থাকুক পোড়া বিড়ি, বাসি ফুল,
ঘাম আর চোখের জলের নোনা দাগ।

রাজভবন, সভাকক্ষ (সভা শুরু হওয়ার আগে), গৌহাটি, দুপুর ১১-৫৫॥ ২১.০৯.১১