খুকুমণির ছড়া/১৬৫

ঢ্যাম্-কুড়্‌‌-কুড়

১৬৫

ও-পারে জন্তিগাছটি জন্তি বড় ফলে,
গো-জন্তির মাথা খেয়ে, প্রাণ কেমন করে।
প্রাণ করে আই ঢাই, গলা হ’ল কাঠ,
কতক্ষণে যাব রে ভাই, হরগৌরীর মাঠ।

হরগৌরীর মাঠে রে ভাই, পাকা পাকা পান,
পান কিনিলাম,   চূণ কিনিলাম,
ননদ ভা’জে খেলাম।
একটি পান হারালে, দাদাকে ব’লে দিলাম।
দাদা দাদা ডাক ছাড়ি, দাদা নেইকো বাড়ী,
সুবল সুবল ডাক ছাড়ি, সুবল আছে বাড়ী।
আজ সুবলের অধিবাস, কাল সুবলের বিয়ে,
সুবলকে নিয়ে যাব আমি দিঙ্‌‌নগর দিয়ে
দিঙ্‌‌নগরের মেয়েগুলি নাইতে নেমেছে,
চিকণ চিকণ চুলগুলি ঝাড়্‌‌তে লেগেছে,
গলায় তাদের তক্তিমালা, রক্ত ছুটেছে
পরণেতে ডুরে শাড়ী, ঘুরে পড়েছে,
দুই দিকে দুই কাতলা মাছ ভেসে উঠেছে,
একটি নিলেন গুরুঠাকুর, একটি নিলেন টিয়ে,
টিয়ের মার বিয়ে, লাল গাম্‌ছা দিয়ে।
অশথের পাতা ধনে   গৌরী বেটি কনে,
নকা বেটা বর,—
ঢ্যাম্-কুড়্‌‌-কুড় বাদ্দি বাজে, চড়ক্‌‌ডাঙ্গায় ঘর!