তাঁতীর সাজা

৩১

তির বাড়ী ব্যাঙের বাসা—
কোলা ব্যাঙের ছাঁ,
খায় দায়, গান গায়—
তাই রে—না রে না।


সুবুদ্ধি তাঁতীর ছেলের কুবুদ্ধি ঘনাল,
আঁক্‌‌ড়া বাড়ী নিয়ে তাঁতি ব্যাঙের ছাঁ মারিল।

একটা ছিল কোলা-ব্যাঙ বড়ই সেয়ানা,
লিখন পাঠায়ে দিল পরগণা পরগণা!


আজিডাঙ্গা কাজিডাঙ্গা মধ্যে ধনেখালি,
সেখান থেকে এল ব্যাঙ— চোদ্দ হাজার ঢালী।

হুগলীর সহরে ভাই, ব্যাঙের অভাব নাই,
সেখান থেকে এল ব্যাঙ— সনাতন সিপাই।

সূতা নাতা নিয়ে তাঁতি যায় মণিরহাটে,
একটা ছিল কোলা-ব্যাঙ আগুলিল পথে।

সূতা নাতা নিয়ে তাঁতি উঠ্‌‌লো গিয়ে ডালে,
একটা ছিল কোলা-ব্যাঙ থাপ্পড় দিল গালে।

সুতা নাতা নিয়ে তাঁতি নাব্‌‌লো গিয়ে ভূঁয়ে,
একটা ছিল কোলা-ব্যাঙ মারলো লাথি মুয়ে!

ব্যাঙের লাথি খেয়ে তাঁতি যায় গড়াগড়ি,
চোদ্দ হাজার ব্যাঙ উঠিল পিঠের উপর চড়ি।
পায়ের চাপে বোকা তাঁতি করে হাই-ফাঁই,
না মার, না মার মোর তাঁতিরে গোঁসাই।