চিঠিপত্র (দশম খণ্ড, ১৯৬৭)/দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখিত/১

(পৃ. মুখবন্ধ-)
  ►


দীনেশচন্দ্র সেনকে লিখিত

[জুন ১৮৯৮]

ওঁ

সাদর সম্ভাষণমেতৎ

 দীর্ঘকাল হইল ত্রিপুরায় পত্র লিখিয়াও এ পর্য্যন্ত যখন কোন উত্তর পাওয়া গেলনা তখন সেখানকার আশা একপ্রকার পরিত্যাগ করিতে হয়। আমার বোধ হয় সাহিত্যানুরাগী ব্যক্তিদিগের নিকট চাঁদা করিয়া এ কার্য্যে হস্তক্ষেপ করা যাইতে পারে। এ সম্বন্ধে আপনার মত কি? বিষয় কর্ম্মোপলক্ষ্যে আমাকে প্রায় সর্ব্বদাই মফস্বলে ঘুরিয়া বেড়াইতে হয়— এবং বিচিত্র কর্ম্মের দায়ে আমার উদ্বেগের বোঝা ক্রমশঃ বাড়িয়া উঠিতেছে— নতুবা আমি কিছুকাল কলিকাতায় স্থির নিশ্চিন্তভাবে থাকিতে পারিলে ইতস্ততঃ চেষ্টা করিতে পারিতাম।

 “পুত্রযজ্ঞ” গল্পটি সম্পুর্ণ আমার নহে। ইহা আমার ভ্রাতুষ্পুত্র সমরেন্দ্রের রচনা, তবে উহাতে আমারো কিছু হাত আছে। “শিক্ষাপ্রণালী” শ্রীযুক্ত রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী মহাশয়ের লেখা। “ঢাকা” লিখিয়াছেন “সিরাজদ্দৌলা”-প্রণেতা শ্রীযুক্ত অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়। ভারতী যাহাতে আপনাদের সমালোচনার যোগ্য হয় তৎসম্বন্ধে আমার চেষ্টার ত্রুটি হইবে না— কেবল আশঙ্কা এই যে, নানা কাজের মধ্যে উদ্ভ্রান্ত হইয়া পাছে সম্পাদকের মনের মত আদর্শ রক্ষা করা অসাধ্য হইয়া পড়ে। ইতি ১০ই আষাঢ় ১৩০৫

ভবদীয়
শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর